আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
32 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি যখন আস্তে আস্তে দ্বীনের পথে আসা শুরু করি তখন একটা ছেলে আর সাথে আমার কথা হয় কিন্তু আমি তাকে অনেক বুঝায় যে আমি হারামে যাবো না । কিন্তু ও আমাকে সুইসাইড আরো অনেক কিছুর কথা বলে।ভয় আমাকে বলে ও এতিম ওর কেও নাই আমি যেনো থাকি । আমি অনেক বেশি ইমোশনাল আমিও ওর কথা মেনে নেয় । কিন্তু বলি আমরা কথা বলব না আল্লাহ ভাগ্গে রাখলে হবে ।কিন্তু ও আমাকে একদিন ফোন এর মধ্যে বলে হঠাৎ কল দিয়ে যে বলো আলহামদুল্লিলাহ ।আমিও বলি পরে বলে বিয়ে হয়ে গেছে ।আমি যেহেতু জেনরাল লাইন আমি কিছুই বুঝি না আবার আমি নেট এ খুজতে গিয়ে দেখি এক একজন এক এক কথা বলে তাই আমি ভাবী যদি সত্যি বিয়ে হয় আমার উচিৎ এটা মেনে নেওয়া কারণ তালাক আল্লাহ আর অনেক অপছন্দের। কিন্তু তাও সন্দেহ থেকে আমরা একদিন একটা জায়গায় বসে ওর 2জন বন্ধু সহ ইজাব কবুল করি । তারপর আমি আস্তে আস্তে জানতে পারি ও আসলে ল নিয়ে না আরবি নেয়া পড়তাছে , ওর মা বাবা আসে সব আসে , ওর বাড়ি ঢাকা না আরও অনেক দূর। আমর ওর থেকে বিশ্বাস এ উঠে গেছে ও কসম করেও অনেক মিথ্যা বলে। সব চেয়ে বড় কথা ওর আর আমর ফ্যামিলি স্ট্যাটাস একদম মিলে না।আমি আমার মাবাবা আর একটা মাত্র মেয়ে । আমি ওদের ও অনেক বুঝাইসি ওর মানবে না। আর ওয়াল্লাহি গত একবছর আমি কোনো মানুষিক শান্তি পাই নাই কিন্তু তালাক ও চাই নাই এটা ভেবে যে আমার আল্লাহ নারাজ হবে । কিন্তু আমি আর পারতেছিনা । আমাকে একটু বলবেন...

1। তালাক নেওয়া কি জায়েজ ?

2। ও আমাকে বলে আমি নাকি কখনও সুখী হবো না , আল্লাহকে আমি নাকি নারাজ করতাসে শয়তান কে খুশি করে
3। ও যে কান্না করতাসে আল্লাহ আর কাছে এটা কি অভিশাপ হয়ে আসবে ? আমি এতদিন অনেক সহ্য করসি আর না আর চাই না ও কে তাও আমাকে বলে আমি ওর উইফ আমার ওপর ওর হক আসে আমি যেনো আল্লাহ আর কাছে জবাব দেই ।         কিন্তু যে মানুষ টার চেহারাও দেখতে ইচ্ছা করতাসে না তাকে কিভাবে ? আমি কি করবো আমার আর শান্তি  লাগতাসে না। ও কিছুই করে না , আর এইদিকে আমার মা বাবা আমাকে দিন রাত অনেক কথা বলে আমি ওদের কে আর কষ্ট দিতে চাই না । আপনি আমার প্রশ্ন শুনে একটু আপনি নিজের বোন মনে করে উত্তর  দিবেন

1 Answer

0 votes
ago by (671,580 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো পুরুষ ধোকা দিয়ে বিয়ে করলে, এক্ষেত্রে শরয়ী বিধান হলো
ﻟَﻮْ اﻧْﺘَﺴَﺐَ اﻟﺰَّﻭْﺝُ ﻟَﻬَﺎ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺴَﺒِﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻇَﻬَﺮَ ﺩُﻭﻧَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜُﻒْءٍ ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِﺛَﺎﺑِﺖٌ ﻟِﻠْﻜُﻞِّ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻛُﻔُﺆًا ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﺩُﻭﻥَ اﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻓَﻮْﻕَ ﻣَﺎ ﺃَﺧْﺒَﺮَ ﻓَﻼَ ﻓَﺴْﺦَ ﻷَِﺣَﺪٍ.............الي ان قال ............ ﻟَﻜِﻦْ ﻇَﻬَﺮَ ﻟِﻲ اﻵْﻥَ ﺃَﻥَّ ﺛُﺒُﻮﺕَ ﺣَﻖِّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﻐْﺮِﻳﺮِ ﻻَ ﻟِﻌَﺪَﻡِ اﻟْﻜَﻔَﺎءَﺓِ ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﻇَﻬَﺮَ ﻛُﻔُﺆًا ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺣَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻷَِﻧَّﻪُ ﻏَﺮَّﻫَﺎ، ﻭَﻻَ ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟِﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ ﻷَِﻥَّ اﻟﺘَّﻐْﺮِﻳﺮَ ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﺼُﻞْ ﻟَﻬُﻢْ،
যদি স্বামী নিজেকে নিজস্ব বাস্তব বংশ ব্যতীত ভিন্ন বংশের লোক বলে দাবী করে,এবং পরবর্তীতে এর চেয়ে নিম্নমানের বংশ প্রমাণিত হয়,তাহলে সে উক্ত মেয়ের কু'ফু হতে পারবে না,এবং মহিলা ও মহিলার অভিবাবক সকলের জন্যই বিবাহকে কাযীর মাধ্যমে ভঙ্গ করা অধিকার থাকবে।
কিন্তু যদি পরবর্তীতে এমন বংশ প্রমাণিত হয়,যা উক্ত মেয়ের কু'ফু অবশ্য হবে(কিন্তু সে প্রথমে বাড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলো)তাহলে ও মহিলার বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে।যদিও ওলীর থাকবে না।
আর যদি তার বর্ণনাকৃত বংশের চেয়েও পরবর্তীতে উচ্ছ বংশ প্রমাণিত হয় তাহলে কারো বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে না।

(ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন)
বর্তমানে আমার কাছে এটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে যে,মহিলার জন্য ফসখের অধিকার স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্যই।কু'ফু র সমতা না থাকাতে নয়।
কেননা ছেলে মিথ্যা বলার পরও যদি তার এমন বংশ প্রমাণিত হয় যা ঐ মহিলার সমকক্ষ,তাহলেও মহিলার ফসখের অধিকার অর্জন হয়।এজন্য যে, পুরুষ মিথ্যা বলে মহিলাকে ধোকা দিতে চেয়েছিলো।এবং এজন্যই অভিবাবকদের জন্য ফসখের অধিকার অর্জন হবে না।কারণ সে অভিবাবকদের সাথে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি।(রদ্দুল মুহতার-৩/৫০১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/25515

মুহতারামাহ!
যেহেতু ঐ ছেলে আপনাকে ধোকা দিয়েছে, তাই আপনি  তালাক চাইতে পারবেন। এখনই আপনি তালাক চেয়ে নিবেন।

আল্লাহ সুখ দিবেন না, তার অভিশাপ এগুলো কিছুই কবুল হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 36 views
0 votes
1 answer 74 views
asked Mar 22 in সালাত(Prayer) by Samia firoz (18 points)
0 votes
1 answer 84 views
0 votes
1 answer 121 views
asked Oct 27, 2024 in সালাত(Prayer) by Samia firoz (18 points)
...