আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
15 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
edited by
১. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ উস্তায।
★আমি স্বপ্নে দেখি আমি পড়তে যাচ্ছি। বোরকা নিকাব পড়া। এমন সময় ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমি পড়তে না যেয়ে বাজারে মধ্যে দিয়েই আমার কাজিনের দোকানে চলে আসি, আমি খুবই লজ্জা পাচ্ছিলাম বৃষ্টিতে হাটতে। আমার কাজিন আর তার ছেলে দোকানে খাবার খাচ্ছিল তখন। আমাকে ভিতরে যেয়ে রেস্ট নিতে বললে আমি ভীষণ লজ্জা পেয়ে সাইডে দাড়িয়ে ছিলাম। দাড়ানোবস্থায়ও আমি ভীষণ লজ্জা পাচ্ছিলাম

★এরপর দেখি আমাদের কাফেলা (আমি একটি অনলাইন কাফেলায় মুয়াল্লিমা হিসেবে যুক্ত আছি আলহামদুলিল্লাহ) থেকে একটি মাসজিদ নির্মাণ করেছেন উস্তাযা। সেখানে আমাদের সবাইকে ইনভাইট করেছিলেন । আমি গিয়েছি সেখানে।  আমি গিয়ে দেখি কাফেলার আরও দুজন আপু সেখানে।
একজন আপু দেওয়ালে আর্ট করা পেপার লাগাচ্ছে, কিন্তু ভালো হচ্ছে না, পেইন্টিং পেপারগুলোও সুন্দর না, ঠিকভাবে লাগাচ্ছেও না কেমন যেন বিরক্তি ভাব। আমি মনে মনে ভাবছি ইশ আমাকে যদি এ দায়িত্ব দেওয়া হতো আমি খুব সুন্দর করে লাগাতাম পেইন্টিং গুলো! যদি জানতাম পেইন্টিং লাগানো হবে তাহলে আমার করা পেইন্টিং গুলোও নিয়ে আসতে পারতাম। খুব আফসোস হচ্ছিল।
.
এরপর সেখানে আরও কয়েকজন বোন আসছে। তো আমি দেখি পুরো জায়গাজুড়ে ময়লা।  আমি একটা ঝাড়ু নিয়ে বিশাল এরিয়া পুরোটা খুব সুন্দর করে ঝাড়ু দিচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম অন্তত এটুকু ছ্বদকায়ে জারিয়া হিসেবে আমার নাম থাকুক। কেউ একজন নিষেধ করেছিলেন যে এতো কষ্ট করে ঝাড়ু দিতে হবে না, আমি ভাবছিলাম মসজিদে ভালো যা-ই করব সবই সওয়াব। মাসজিদটা খুব সুন্দর লাগছিল (মানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন)
ঝাড়ু দেয়া শেষে আরও কিছু হলো কিন্তু মনে নেই। এরপর দেখি আমার সাথে দুজন বাচ্চা একজন ছেলে একজন মেয়ে। খুব সম্ভবত দেখেছি ওরা দুজন আমার সন্তান। উস্তাযারা হাসব্যান্ড আমার বাচ্চাদের সহ আমাদের ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন পুরো এরিয়ায়।
এরপর সেখানে আরও কাজ করি। শেষে উস্তাযা আসলে আমি উস্তাযা কে সকল ঘটনা বর্ণনা করি। উস্তাযা খুব হ্যাপি ছিলেন। একটু লাউডলি হাসছিলেন, দেখতে খুব খুব খুব সুন্দর ছিলেন মাশাআল্লহ। উস্তাযার হাসব্যান্ড তখন চেয়ারে বসা ছিলেন, সেখানে তিনিও অন্যদের সাথে গল্প করতে ছিল।
এক পর্যায়ে উস্তাযা আমাকে বললেন, জানো মসজিদ বানিয়েছি কিন্তু মাসজিদ /মাদ্রাসা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না/কেউ এটাকে নিচ্ছে না। আমি বলি - উস্তাযা আর একটু সবর করেন দেখবেন এটা মাসজিদ হবে, মাদ্রাসাও হবে ইংশাআল্লহ। এরপর আরও কিছু করছিলাম সেখানে। ঘুরছিলাম তখন একপাশে পানি ছিল(বৃষ্টির পানি সম্ভবত)  আমি আমার বাচ্চাদেরসহ কয়েকজন আপু খুব কেয়ারফুলি রাস্তা পার হচ্ছিলাম।
এরপর সেখান থেকে চলে আসার সময় কেউ একজন বললেন, এটা কবুল হয়েছে,এটা মাসজিদ হিসেবে কবুল হয়েছে। আমি স্পষ্ট শুনতে পেলাম একটা সাউন্ড 'কবুল হয়েছে।' মানে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল মাসজিদটা কবুল হয়েছে
আমি খুশিতে আলহামদুলিল্লাহ পড়ছিলাম বারবার।
এরপর সেখান থেকে বিদায় নিয়ে গেটের সামনে আসি তখন দেখি বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি স্বামী আমাকে আর দুইজন সন্তানকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। ঢাকার ব্যস্ত রাস্তা খুব সাবধানে পার করে দিচ্ছিলেন আমার এবং বাচ্চাদের হাত ধরে।
★আমরা কিছুদূর যাওয়ার পরে, আমি বুঝতে পারছি আমার দাতে সমস্যা হচ্ছে, মুখে হাত দিয়ে চেক করছিলাম। দেখি উপরের মাড়ির একটি দাত নড়ে। আমি দাতটিকে টান দেই। সেটি মূলসহ আমার হাতে চলে আসে কোনোরকম ব্যাথা ছাড়া, আমি দাতটি হাতে এনে আমার হাজব্যান্ডকে দেখাচ্ছিলাম। তিনি পাশে বসে সাত্বনা দিচ্ছিল আর বলছিল তোমার কষ্ট হয়নি তো!! এরপর দেখি দাতের মধ্যে ছোট ছোট কয়েকটি দানা ঢুকে আছে। এরপরই ঘুম ভেঙে যায়।
এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি হবে উস্তায?
বি.দ্র: ★আমাদের কাফেলা থেকে মাসজিদ এবং মাদ্রাসা দুটোই নির্মাণাধীন আলহামদুলিল্লাহ কমপ্লিটও হয়েছে দুটোউ নাকি ুকটা সেটা শিউর না এখনও। আমি খুব বেশি ছ্বদকাহ করতে পারিনি। ব্যস্ততায় সেভাবে আপডেটও দেখা হয়নি।

★আমি অবিবাহিত
جزاك الله خيرا في الدنيا والأخرة

২. From someone
আসসালামু আলাইকুম। আমি একটি বিষয়ের সঠিক পরামর্শ জানতে চাই। অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু সমাধান পাচ্ছি না।
ঘটনাটি আমার বোনের। আপুর বিয়ে হয়েছে আজ প্রায় ৬ বছর। সবকিছু ভালোই ছিল সমস্যা শুরু হয় যখন ভাইয়ার চাকরি চলে যায়। ভাইয়ার মেজাজ দিন দিন খারাপ হতে থাকে। এক পর্যায়ে আপু বাবার বাড়ি চলে আসে। ভাইয়া একদিন ফোন করে এবং আপুর কাছে টাকা চায়। আপু জানায় এই মুহুর্তে তাকে টাকা দেয়া সম্ভব না। কিছু দিন আগেও আপু তাকে টাকা জোগার করে দিয়েছে। তো চাপ শুরু করেন তিনি। রাগারাগির এক সময় তিনি তালাক, তালাক,তালাক বলে দেয়। মুখে ফোনের মাধ্যমে। বলে কল কেটে দেয়। এর বেশ কয়েকদিন পর রাগ কমলে তিনি আপুকে মেসেজ করেন যে তিনি আপুর সাথে দেখা করতে আসছেন। আপু যেন তার সাথে দেখা করে। আপু নিষেধ করে তিনি তখন আবার রেগে যায়। মেসেজের মাধ্যমে জানায় যে আপু দেখা না করলে তিনি আপুকে তালাক দিবেন। তিনি মেসেজের মাধ্যমে ১ তালাক, ২ তালাক,৩ তালাক লিখে পাঠায়। আবার রাগ করলে ক্ষমা চায় এবং বলে মুখে বললে নাকি তালাক হয় না। আপু তার জায়গায় অনড় ছিলেন তিনি জানায় যে হয়ত তাদের মধ্যে তালাক হয়ে গেছে। এর দুইদিন পর তিনি কল করেন আপুকে তার বাসায় যেতে বলেন। আপু রাজি হয় না। তিনি রেগে যান এবং মেসেজের মাধ্যমে জানায় তোকে এবার সত্যিই তালাক দিলাম।
এমতাবস্থায় করনীয় কি। আপু যোগাযোগ রাখতে চায় না, কিন্তু তার স্বামী বিশ্বাস করতে রাজি না যে তালাক হয়ে গেছে। দয়া করে জানাবেন এখন কি করা উচিত।

1 Answer

0 votes
ago by (670,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বপ্ন ও তার ব্যাখ্যা বিশেষজ্ঞ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরিন রহ. বলেছেন :
 الرؤيا ثلاث : حديث النفس ، وتخويف الشيطان ، وبشرى من الله . (رواه البخاري في التعبير) 
স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে। মনের কল্পনা ও অভিজ্ঞতা। শয়তানের ভয় প্রদর্শন ও কুমন্ত্রণা ও আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সুসংবাদ। (বর্ণনায় : বুখারি)

হযরত আবু রাযিন আল-উক্বাইলী রাঃ বলেন নবী কারীম সাঃ বলেছেন
، عَنْ أَبِي رَزِينٍ العُقَيْلِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رُؤْيَا المُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ أَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ، وَهِيَ عَلَى رِجْلِ طَائِرٍ مَا لَمْ يَتَحَدَّثْ بِهَا، فَإِذَا تَحَدَّثَ بِهَا سَقَطَتْ». 
মু'মিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের চল্লিশভাগের এক ভাগ(অর্থাৎ তা সত্যরূপ পরিনত হয়ে থাকে),যে স্বপ্ন দেখেছে স্বপ্নটা তার উপর ঘুর্ণায়মান থাকে যতক্ষণ না কারো কাছে ব্যক্ত করে,অতঃপর যখন সে কারো কাছে ব্যক্ত করে (এবংঐ ব্যক্তি এর কোনো ব্যখ্যা প্রদান করে) তখন ঐ ব্যখ্যা অনুযায়ীই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়।(তিরমিযি হাদীস নং ২২৭৮)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/734


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার অধিকাংশ স্বপ্নই কল্পনা নির্ভর। 

(২)
মেসেজের মাধ্যমে জানায় যে আপু দেখা না করলে তিনি আপুকে তালাক দিবেন। তিনি মেসেজের মাধ্যমে ১ তালাক, ২ তালাক,৩ তালাক লিখে পাঠায়।
এখন আপনার আপু দেখা না করলে তিন তালাক হয়ে যাবে।

"মেসেজের মাধ্যমে জানায় তোকে এবার সত্যিই তালাক দিলাম।" এদ্বারা এক তালাক পতিত হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...