আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
18 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম

স্বামী থাকে ঢাকায়।ঘটক বলেছে যে বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী একসাথে থাকবে।কিন্তু বিয়ের পর স্বামী বলতেসে সে স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখবে না।স্ত্রীকে থাকতে হলে গ্রামে স্বামীর বাবা মার সাথে থাকতে হবে। আর না হলে নিজের বাপের বাড়ি থাকতে হবে।স্বামীর কাজের চাপের কারনে মাসে ২ বার বা তার বেশিও আসতে পারে না। স্ত্রী গ্রামে থাকতে পারতেসে না।সে শহরে বড় হয়েছে এখন স্বামীকে কোনভাবেও রাজী করানো যাচ্ছে না।

এই ক্ষেত্রে তালাক হলে ইসলামের দৃষ্টিতে কে দায়ী হবে?আল্লাহ এই পরিস্থিতিতে কি করতে উৎসাহ দিয়েছেন।

1 Answer

0 votes
ago by (669,390 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কোনো পুরুষ ধোকা দিয়ে বিয়ে করলে, এক্ষেত্রে শরয়ী বিধান হলো
ﻟَﻮْ اﻧْﺘَﺴَﺐَ اﻟﺰَّﻭْﺝُ ﻟَﻬَﺎ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺴَﺒِﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻇَﻬَﺮَ ﺩُﻭﻧَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜُﻒْءٍ ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِﺛَﺎﺑِﺖٌ ﻟِﻠْﻜُﻞِّ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻛُﻔُﺆًا ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﺩُﻭﻥَ اﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻓَﻮْﻕَ ﻣَﺎ ﺃَﺧْﺒَﺮَ ﻓَﻼَ ﻓَﺴْﺦَ ﻷَِﺣَﺪٍ.............الي ان قال ............ ﻟَﻜِﻦْ ﻇَﻬَﺮَ ﻟِﻲ اﻵْﻥَ ﺃَﻥَّ ﺛُﺒُﻮﺕَ ﺣَﻖِّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﻐْﺮِﻳﺮِ ﻻَ ﻟِﻌَﺪَﻡِ اﻟْﻜَﻔَﺎءَﺓِ ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﻇَﻬَﺮَ ﻛُﻔُﺆًا ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺣَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻷَِﻧَّﻪُ ﻏَﺮَّﻫَﺎ، ﻭَﻻَ ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟِﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ ﻷَِﻥَّ اﻟﺘَّﻐْﺮِﻳﺮَ ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﺼُﻞْ ﻟَﻬُﻢْ،
যদি স্বামী নিজেকে নিজস্ব বাস্তব বংশ ব্যতীত ভিন্ন বংশের লোক বলে দাবী করে,এবং পরবর্তীতে এর চেয়ে নিম্নমানের বংশ প্রমাণিত হয়,তাহলে সে উক্ত মেয়ের কু'ফু হতে পারবে না,এবং মহিলা ও মহিলার অভিবাবক সকলের জন্যই বিবাহকে কাযীর মাধ্যমে ভঙ্গ করা অধিকার থাকবে।
কিন্তু যদি পরবর্তীতে এমন বংশ প্রমাণিত হয়,যা উক্ত মেয়ের কু'ফু অবশ্য হবে(কিন্তু সে প্রথমে বাড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলো)তাহলে ও মহিলার বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে।যদিও ওলীর থাকবে না।
আর যদি তার বর্ণনাকৃত বংশের চেয়েও পরবর্তীতে উচ্ছ বংশ প্রমাণিত হয় তাহলে কারো বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে না।

(ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন)
বর্তমানে আমার কাছে এটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে যে,মহিলার জন্য ফসখের অধিকার স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্যই।কু'ফু র সমতা না থাকাতে নয়।
কেননা ছেলে মিথ্যা বলার পরও যদি তার এমন বংশ প্রমাণিত হয় যা ঐ মহিলার সমকক্ষ,তাহলেও মহিলার ফসখের অধিকার অর্জন হয়।এজন্য যে, পুরুষ মিথ্যা বলে মহিলাকে ধোকা দিতে চেয়েছিলো।এবং এজন্যই অভিবাবকদের জন্য ফসখের অধিকার অর্জন হবে না।কারণ সে অভিবাবকদের সাথে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি।(রদ্দুল মুহতার-৩/৫০১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/25515

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে তালাক হয়েও যায়, তাহলে তখন যেই ব্যক্তি বিয়ের সময় মিথ্যা বলেছিলো, তারই গোনাহ হবে।সে-ই দায়ী থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...