আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
689 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
  1. কোন কারণে যদি পুরুষের  বা মহিলার  লিঙ্গ থেকে হালকা  আঠালো তরল পদার্থ বের হয়  কিন্তু বীর্যপাত না হয় তাহলে কি অজু   ভেঙ্গে যাবে এবং  গোসল করতে হবে কি ?

 

  1. কেউ যেনা করা অবস্থায় মারা গেলে সে কি কাফের অবস্থায় মারা যাবে ?  কারণ আমি একটা হাদিসে দেখেছিলাম যে চেনা করা অবস্থায় মানুষের ঈমান বের হয়ে উপরে ভাসতে থাকে ? 

 

  1. আরাফ কি ?  জান্নাত এবং জাহান্নামের মধ্যবর্তী  স্থানে  কারা থাকবে ?  এবং সেখান থেকে  কারা জান্নাতী এবং জাহান্নামী হবে ? 

 

  1. ঈমানের স্তম্ভ  6  টি   ইসলামের  স্তম্ভ পাঁচটি  এরমধ্যে যদি একটি কেউ কেউ অস্বীকার করে তাহলে সে কি কাফের হয়ে যাবে  এবং ঈমান এবং ইসলামের স্তম্ভ কে আলাদাভাবে কেন রাখা হলো যেহেতু দুইটাই  পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে ?

  2. ইসলামী খিলাফত ছাড়া আর অন্য কোন মানব সৃষ্ট শাসন ব্যবস্থা মেনে নিলে  সে কি কাফের হয়ে যাবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
জবাব
(১)

প্রস্রাব ব্যতীত যৌনাঙ্গ থেকে যা কিছু বাহির হয় তা তিন প্রকারঃ- 

(১)মনি(বীর্য)
(২)মযি
(৩)ওদী 

উপরোক্ত তিনপ্রকারেরর মধ্যে 
শুধুমাত্র মনি বের হলে গোসল ফরজ হবে।অন্যান্যগুলো বের হলে গোসল ফরজ হবেনা।বরং গোপনাঙ্গ ধৌত করে ওজু করে নিলেই পবিত্রিতা অর্জিত হবে।এক্ষেত্রে গোসলের কোনো প্রয়োজন পড়বেনা।
যেমনঃ- ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে.............
الْمَذْيُ يَنْقُضُ الْوُضُوءَ وَكَذَا الْوَدْيُ وَالْمَنِيُّ إذَا خَرَجَ مِنْ غَيْرِ شَهْوَةٍ
মযি অজুকে ভেঙ্গে দেয় ঠিক তেমনিভাবে ওদী এবং ঐ মনি যা কামুত্তেজনা বতীত বাহির হয় তাও ওজুকে ভেঙ্গে দেয়।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া -১/১০)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-1689

(২)
যিনা অবস্থায় ঈমান বাহির হয়ে উক্ত ব্যক্তির উপরে ছায়র মত থাকে,উক্ত ব্যক্তিকে ফেলে রেখে অন্য কোথাও সে চলে যায় না,সে হিসেবে আমরা বলবো,
যিনা অবস্থায় মারা গেলে তার ঈমান থাকবে,তবে সে চরম পর্যায়ের গোনাহরত অবস্থায় মারা যাওয়ার কারণে তার শাস্তি অনেক বেশী হবে।

(৩)

আরাফ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌ وَعَلَى الأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلاًّ بِسِيمَاهُمْ وَنَادَوْاْ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَن سَلاَمٌ عَلَيْكُمْ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ
উভয়ের মাঝখানে একটি প্রাচীর থাকবে এবং আরাফের উপরে অনেক লোক থাকবে। তারা প্রত্যেককে তার চিহ্ন দ্বারা চিনে নেবে। তারা জান্নাতীদেরকে ডেকে বলবেঃ তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তারা তখনও জান্নাতে প্রবেশ করবে না, কিন্তু প্রবেশ করার ব্যাপারে আগ্রহী হবে।
وَإِذَا صُرِفَتْ أَبْصَارُهُمْ تِلْقَاء أَصْحَابِ النَّارِ قَالُواْ رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন তাদের দৃষ্টি দোযখীদের উপর পড়বে, তখন বলবেঃ হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না।

وَنَادَى أَصْحَابُ الأَعْرَافِ رِجَالاً يَعْرِفُونَهُمْ بِسِيمَاهُمْ قَالُواْ مَا أَغْنَى عَنكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ
আরাফবাসীরা যাদেরকে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনবে, তাদেরকে ডেকে বলবে তোমাদের দলবল ও ঔদ্ধত্য তোমাদের কোন কাজে আসেনি।
أَهَـؤُلاء الَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لاَ يَنَالُهُمُ اللّهُ بِرَحْمَةٍ ادْخُلُواْ الْجَنَّةَ لاَ خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلاَ أَنتُمْ تَحْزَنُونَ
এরা কি তারাই; যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম খেয়ে বলতে যে, আল্লাহ এদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন না। প্রবেশ কর জান্নাতে। তোমাদের কোন আশঙ্কা নেই এবং তোমরা দুঃখিত হবে না।(সূরা আ'রাফ-৪৬--৪৯)


যাদের নেকি বদি প্রায় সমান সমান তারাই মূলত আ'রাফে থাকবেন।এবং কাফিরদের নাবালক বাচ্ছারা আ'রাফে থাকবে।

(৪)এ প্রশ্নটি পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।জাযাকাল্লাহ।

(৫)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১৫৪০


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...