আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
২০২০ এ আমাদের পরিচয় হয়,প্রেমের দিকে না গিয়ে আমরা প্রথমেই ২জন পরিবার কে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলি,এর ৫/৭ দিন পর আমার মাকে জানাই আমি ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে চাই,তখন উনি সম্মতি দেন,যেন আমরা নিজেরা বিয়ে করে নেই,কিন্তু আমাদের বিয়ে আরো ৫/৭ দিন আগেই হয়েছে,বিয়েতে আমার হাসবেন্ড এর ২বন্ধু শাক্ষি দেয়, পরে একমাসের মাথায় আমার বাবাও জানতে পারে এবং মেনে নেন,ওদের পরিবার ও শীগ্রই জানতে পারে। সবাই ই মেনে নেন।

আমার বাবা জানতে পারার আগেই আমরা একসাথে ছিলাম।

আমাদের বিয়ের সময় আমার স্বামীর আর্থিক অবস্থা খারাপ ছিলো,সামাজিক ভাবেও ওরা আমাদের সমকক্ষ ছিলোনা।

আমি জানতে পেরেছি হানাফি মাজহাব অনুযায়ী নিজেরা বিয়ে করলে, ছেলেদের কুফু মেয়েদের সমান বা বেশি না থাকলে বিবাহ বাতিল হয়ে যায়।

এখন আমার প্রশ্ন আমাদের বিয়ে কি তাহলে হয়নি?

বা আমার বাবা জানতে পারার আগে আমরা যে একসঙ্গে ছিলাম,তা কি জেনা হয়েছে?
আমাদের কি অবিভাবকদের নিয়ে পুনরায় বিয়ে করে নেওয়া উচিত?

বিষয়টা নিয়ে আমি খুব পেরেশানি তে আছি,দয়া করে জানালে উপকৃত হতাম।

1 Answer

0 votes
by (670,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780
চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1525

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু ছেলের কু'ফু আপনাদের সমকক্ষ ছিলনা, তাই সন্তান জন্ম গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত বিয়েতে অভিযোগ দায়ের করার অধিকার মেযের বাবার থাকবে। পরবর্তীতে যখন আপনার বাবা সম্মতি প্রদান করেন, তখন আপনাদের বিয়েতে আর কোনো সমস্যা নেই। বাবার সম্মতির পূর্বে সহবাস হয়ে থাকলে যিনা হবে না।


لما في الفتاوي الشامية:
"(فنفذ نكاح حرة مكلفة  بلا) رضا (ولي)، والأصل أن كل من تصرف في ماله تصرف في نفسه، وما لا فلا".(3/ 55، کتاب النکاح ، باب الولی، ط: سعید)

وفي بدائع الصنائع:
"الحرة البالغة العاقلة إذا زوجت نفسها من رجل أو وكلت رجلاً بالتزويج فتزوجها أو زوجها فضولي فأجازت جاز في قول أبي حنيفة وزفر وأبي يوسف الأول، سواء زوجت نفسها من كفء أو غير كفء بمهر وافر أو قاصر، غير أنها إذا زوجت نفسها من غير كفء فللأولياء حق الاعتراض"(2/ 247،کتاب النکاح، فصل ولایۃ الندب والاستحباب فی النکاح، ط: سعید )

وفي الفتاوى الهندية:
"ثم المرأة إذا زوجت نفسها من غير كفء صح النكاح في ظاهر الرواية عن أبي حنيفة - رحمه الله تعالى - وهو قول أبي يوسف - رحمه الله تعالى - آخراً وقول محمد - رحمه الله تعالى - آخراً أيضاً، حتى أن قبل التفريق يثبت فيه حكم الطلاق والظهار والإيلاء والتوارث وغير ذلك، ولكن للأولياء حق الاعتراض ... وفي البزازية: ذكر برهان الأئمة أن الفتوى في جواز النكاح بكراً كانت أو ثيباً على قول الإمام الأعظم، وهذا إذا كان لها ولي، فإن لم يكن صح النكاح اتفاقاً، كذا في النهر الفائق، ولا يكون التفريق بذلك إلا عند القاضي، أما بدون فسخ القاضي فلا ينفسخ النكاح بينهما".(1/ 292، کتاب النکاح، الباب الخامس فی الاکفاء فی النکاح، ط: رشیدیہ)

وفي الفتاوي الشامية:
"ونظم العلامة الحموي ما تعتبر فيه الكفاءة فقال: 
إن الكفاءة في النكاح تكون في ... ست لها بيت بديع قد ضبط
نسب وإسلام كذلك حرفة ... حرية وديانة مال فقط"(3/ 86، کتاب النکاح، باب الکفاءۃ، ط: سعید) 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...