বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/5437/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
মাহরাম থাকা সফরের জন্য শর্ত। হজ্বের
জন্য নয়। তাইতো সফরের দূরত্ব থেকে কম দূরত্বে থাকা মহিলাদের জন্য হজ্ব ফরয হতে মাহরাম
থাকা জরুরী নয়। সে সকল মহিলা মাহরাম পুরুষ ছাড়াই একাকি হজ্ব করতে পারবে।
তবে সফরের দূরত্ব (৭৮ কি.মি.) পরিমাণ
দূরে যে সকল মহিলারা বসবাস করে যেমন বাংলাদেশী মহিলা, তাদের উপর হজ্ব
আদায় করা ফরয হয়না মাহরাম না থাকলে, কিন্তু হজ্বের অন্যান্য শর্ত পাওয়া গেলে মূল হজ্ব তার উপর আবশ্যক
হয়, কিন্তু আদায় করা ফরয হয়না।
,
হাদীস শরীফে এসেছে,
عن
أبي سعيد الخدري قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم لا يحل لإمرأة تؤمن بالله
واليوم الآخر أن تسافر سفرا يكون ثلاثة أيام فصاعدا إلا ومعها أبوها أو ابنها أو
زوجها أو أخوها أو ذو محرم منها
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ আল্লাহ তাআলা এবং কিয়ামত দিবসের উপর
ঈমান রাখেএমন কোন মহিলার জন্য জায়েজ নয়, তিন দিন বা এর চেয়ে অধিক দিনের সফর করে অথচ তার সাথে তার পিতা, তার ছেলে, বা তার স্বামী
বা তার ভাই কিংবা কোন মাহরাম না থাকে। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৩}
,
ফাতওয়ার কিতাবে রয়েছে,
فى
الهندية- وَمِنْهَا الْمَحْرَمُ لِلْمَرْأَةِ شَابَّةً كانت أو عَجُوزًاإذَا كانت
بَيْنَهَا وَبَيْنَ مَكَّةَ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ هَكَذَا في الْمُحِيطِ
وَإِنْ كان أَقَلَّ من ذلك حَجَّتْ بِغَيْرِ مَحْرَمٍ كَذَا في الْبَدَائِعِ
(الفتوى الهندية-2/218-219
যার সারমর্ম হলো হজ ফরজ হওয়ার অন্যতম
একটি শর্ত হলো মাহরাম থাকা,,,,(ফাতওয়ায়ে আলমগীরী-১/২১৮-২১৯)
,
মহিলারা কোনো অবস্থাতেই মাহরাম ছাড়া
হজ করতে পারবেন না। সুতরাং উক্ত মহিলার নিজের মাহরাম সঙ্গে থাকতে হবে। কারণ, হজে প্রত্যেক
মহিলার সঙ্গে তার নিজ মাহরাম থাকতেই হয়।
হাদীস শরীফে এসেছে, ইবনে আববাস রাযি.
থেকে বর্ণিত, নবী করীম ﷺ বলেছেন,
لاَ
تُسَافِرِ الْمَرْأَةُ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ، وَلاَ يَدْخُلُ عَلَيْهَا رَجُلٌ
إِلاَّ وَمَعَهَا مَحْرَمٌ ”. فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ
أَنْ أَخْرُجَ فِي جَيْشِ كَذَا وَكَذَا، وَامْرَأَتِي تُرِيدُ الْحَجَّ. فَقَالَ
” اخْرُجْ مَعَهَا
কোনো মহিলা তার মাহরাম ব্যতিরেকে
সফর করবে না এবং কোনো পুরুষ মাহরাম ছাড়া কোনো মহিলার নিকট যাবে না। অতপর এক ব্যক্তি
বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি অমুক সৈন্যদলের সাথে জিহাদে যেতে চাই
আর আমার স্ত্রী হজে যেতে চায়। নবী করীম ﷺ বললেন,
তুমিও তার সাথে হজে যাও। (সহীহ বুখারী ১৭৪০)
(বাদায়েউস সানায়ে ২/২৯৯; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৯৪; আদ্দুররুল মুখতার
২/৪৬৪; মুখতাসারুত তহাবী ৫৯; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৭; যুবদাতুল মানাসিক ৩২)
,
وَلَوْ
حَجَّتْ بِلَا مَحْرَمٍ جَازَ مَعَ الْكَرَاهَةِ الخ- (قَوْلُهُ مَعَ
الْكَرَاهَةِ) أَيْ التَّحْرِيمِيَّةِ لِلنَّهْيِ فِي حَدِيثِ الصَّحِيحَيْنِ «لَا
تُسَافِرْ امْرَأَةٌ ثَلَاثًا إلَّا وَمَعَهَا مَحْرَمٌ» زَادَ مُسْلِمٌ فِي
رِوَايَةٍ «أَوْ زَوْجٌ» (رد المحتار، كتاب الحج، مطبع كراچى-2/465
যদি মাহরাম ছাড়াই হজ আদায় করে, তাহলে মাকরুহ
এর সহিত হজ আদায় হয়ে যাবে।
,
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
মহিলারা কোনো অবস্থাতেই মাহরাম ছাড়া
হজ বা উমরা করতে পারবেন না। মাহরাম ছাড়া গেলে গোনাহ হবে। তবে যদিও এর দ্বারা হজ বা
উমরা আদায় হয়ে যাবে, তবে কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করে ক্ষমা চাইলে দয়ালু
আল্লাহ তাআলা আশা করি উক্ত হজ্জ বা উমরা কবুল করতে পারেন।