সূরা ফাতিহা রোগীর ওপর পড়া যেতে পারে। এটি “রুকইয়াহ” হিসেবে প্রমাণিত:
“সূরা ফাতিহা দ্বারা রুকইয়াহ করার বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। সহীহ বুখারী: 2276
পদ্ধতি:
রোগীর গায়ে ফুঁক দিয়ে বা পানি পড়ে পান করানো যায়।
২. আয়াতুল কুরসী (সূরা বাকারা: ২৫৫)
আয়াতুল কুরসী পড়ে ফুঁক দিলে বা পানিতে পড়ে পান করালে শিফা লাভ হয়।
৩. সূরা আল-ইখলাস, ফালাক ও নাস
রসূল (ﷺ) রাত্রে ও সকালে এই তিনটি সূরা পড়তেন, রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
পদ্ধতি:
৩ বার করে পড়ে নিজে বা রোগীর গায়ে ফুঁক দিন।
৪. সূরা ইউসুফ: ৮৪–৮৬ ও ৯৩ নং আয়াত
ইয়া'কুব (আঃ) চোখের অন্ধত্ব থেকে সুস্থ হয়েছিলেন ইউসুফ (আঃ)-এর জামা চোখে লাগিয়ে। এই আয়াতগুলোতে শিফার দোয়ার শিক্ষা আছে।
★হাদীসের দোয়া ও আমলসমূহ
১. রাসূল (ﷺ)-এর শেখানো রোগী সুস্থতার দোয়া
أَذْهِبِ الْبَاسَ رَبَّ النَّاسِ، اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي، لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا
“হে মানুষের প্রভু! কষ্ট দূর করে দাও। তুমি চিকিৎসক। তোমার ছাড়া অন্য কারো শিফা নেই। তুমি এমন শিফা দাও যাতে কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।”
সহীহ মুসলিম: 2191
২. হাত বুলিয়ে দোয়া পড়া
“বিসমিল্লাহ” তিনবার পড়ে রোগীর জায়গায় হাত রেখে সাতবার নিচের দোয়া পড়া:
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ، أَذْهِبِ الْبَاسَ، وَاشْفِ أَنْتَ الشَّافِي... (উপরের দোয়া)
৩. তিনবার বলুন:
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
অর্থ:
“আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আকাশ ও জমিনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।”
আবু দাউদ: 5088, তিরমিযি: 3388 (সাহাবিদের মতে সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার পাঠ করলে কোনো ক্ষতি হয় না)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরআনের উল্লেখিত সূরাগুলো ও হাদীসে বর্ণিত দোয়াগুলো পানিতে পড়ে আপনি খেতে পারেন,উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিতে প্রত্যহ আমল করতে পারেন,সেই পানি দিয়ে গোসল করতেও পারেন।।
আরো পরামর্শ:
তাওবা ও ইস্তেগফার বেশি বেশি করুন।
সাদকাহ/দান রোগ দূর করার মাধ্যম হয় (হাদীস অনুযায়ী)।
আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল এবং সবর রাখুন।
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বজায় রাখুন।
হালাল ও পরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণ করুন।
পরিস্কার পরিচ্ছন থাকুন।