আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১.সাহস বাড়ানোর উপায় কি? সাহস খুবই কম। এইজন্য দিনের পথে চলা ,এবাদত করা ,মানুষের সামনে দিনের কথা বলা ইত্যাদিও খুবই বাধা গ্রস্থ হয়। ভালো কাজ করলেও মনে হয় মানুষ বুঝি এটা খুব খারাপ চোখে দেখছে। এমন কিছু ভাবি যেটা আসলে ওই মানুষটা ভাবছেই না। অনুমান বা ধারণা বেশি করি।

২.যেকোনো কাজেই মনোযোগ এর অভাব। সারাক্ষণ খুব বিক্ষিপ্ত চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরে। এগুলো সামনে এগোতে দেয় না, কাজটাও ঠিকমতো করা হয় না, । কি ভাবে পরিত্রাণ পাওয়া যায়
৩.আসরের ওয়াক্তে ফরজ নামাজের পর মাগরিবের আগে কুরআন তেলাওয়াত করা যায় না - এটা কি আসলে সত্যি?

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
ইসলামী স্কলারগন বলেছেনঃ- 
মনের সাহস বা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে  ‘তাওয়াক্কুল’ বা আল্লাহর উপর ভরসা বাড়াতে হবে। কেননা যাবতীয় কাজ আল্লাহর উপর ভরসা ও তাঁর সাহায্য ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়। এই তাওয়াক্কুলের সুফল অনেক।

 তাওয়াক্কুল যত শক্তিশালী হবে মনের সাহসও তত বেশি পরিলক্ষিত হবে। 

হাসান বসরি রহ. বলেন,
إن توكل العبد على ربه أن يعلم أن الله هو ثقته 

‘মালিকের উপর বান্দার তাওয়াক্কুলের অর্থ, আল্লাহই তার নির্ভরতার স্থান- একথা সে মনে রাখবে’। (জামেউল উলূম ওয়াল হিকাম, পৃঃ ৪৩৭) 

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ

‘যে আল্লাহর উপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট।’ (সূরা ত্বলাক : ৩)


★প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই/বোন,
কিছু আমলের পরামর্শ থাকবে, ইনশাআল্লাহ মনের সাহস বৃদ্ধি পাবে—

 (لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) 

বেশি করে পড়তে পারেন। 

★তুমি সকাল-সন্ধ্যায় বলবেনঃ-

اللهم إني أعوذ بك من الجُبن والبخل، وأعوذ بك من غلبة الدين وقهر الرجال

★আল্লাহর জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করলে মনের সাহস ও  আত্মবিশ্বাস বৃৃদ্ধি পায়।
সুতরাং বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করবেন,ও কুরআন তিলাওয়াত করুন।

বেশি বেশি ইয়া-মুহাইমিনু পাঠ করবেন।
 মাশায়েখগণ বলেন, যে ব্যক্তি গোসল করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে খাস দিলে ১০০ বার “ইয়া-মুহাইমিনু” এই নামটি পড়বে আল্লাহ তালা তার মনের ভিতর থেকে সকল প্রকার ভয় দূর করে দিবেন। মনে সাহস বৃদ্ধি পাবে।

(কিছু তথ্য সংগৃহীত)

আরো জানুনঃ- 

(০২)
আপনি যে কাজ করবেন,সেই কাজকে একটি রোজকার প্রক্রিয়াতে পরিণত করুন। মানে রোজ একই সময় কাজের অভ্যাস জরুরি।

টিভি,মোবাইল ফোন, ট্যাব, কম্পিউটার, ইন্টারনেটসহ যাবতীয় মন বিক্ষিপ্ত করার সামগ্রী কাজের সময় দুরে রাখাই ভাল। 

কাজের সময়কে আলাদা আলাদা ভাগে ভাগ করুন।

রোজ কি কাজ করবেন, সেটা আগে নির্দিষ্ট করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা শেষ করার চেষ্টা করুন। এক টানা ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করলে মনোযোগ থাকেনা।

একটি কাজের জন্য একটি সময় বেঁধে ফেলুন। ওই সময় ঐ কাজটি করুন তারপর একটি ছোট্ট বিরতি নিতে দিন। 

এতো ঘন্টা কাজ করতেই হবে,এমন কোনো বাড়াবাড়ি করবেননা। 

কিছু সময় নিজের মতো কিছু করার জন্য বের করবেন।
প্রত্যাহ ব্যায়াম বা খেলা ধুলা করতে পারেন।

(০৩)
এটি কোনোভাবেই সঠিক নয়।
সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। 

যেকোনো সময় কুরআন তিলাওয়াত করা যায়,কোনো সময়েই নিষিদ্ধ নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...