আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার স্বামী পরকীয়াতে লিল্প ছিলো, আর সেই সময় আমার সাথে অনেক ঝগড়া হতো।ঝগড়ার সময় প্রায়ই কেনায়া তালাকের কথা বলতেন।পরবর্তীতে ঠান্ডা মাথায় বলতেন এগুলো রাগে অভিমানে আমাকে থামানোর জন্য বা আমাকে চুপ করারনোর জন্য ভয়ে দেখানো জন্য বলেছে।তখন আমি জানতাম না সে পরকীয়ায় লিপ্ত।পরে যখন জানলাম তখন তার নিয়ত নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।যেহেতু সে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলো, স্বাভাবিক ভাবেই সেই মেয়েত প্রতি তার আবেগ বেশি কাজ করেছে।আমাকে ছেড়ে দিতে চাইবে এটাই আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক।তার মানে মনে হতেই পারে তার নিয়ত তালাকেরই ছিলো।কিন্তু সে কখনোই এটা স্বীকার করেনা বা মেনে নেয় না সে তালাকের নিয়তেই এগুলো বলছে।কিন্তু আমার খুব ভয় হচ্ছে।আমার কি স্বামীর কথাই মেনে নেয়া উচিত? আমার স্বামী নামাজ পরে কিন্তু এত বেশি এসব নিয়ে ভাবেনা গভীরভাবে।মানে সে প্রায় কিছুই অনেক ক্যাজুয়ালি নেয়।আল্লাহ কে ভয় পায় কিন্তু আমার মত এত বেশি না।আমি বুঝতে পারছি না আমার কি তার কথাই বিশ্বাস করা উচিত কিনা।এখন সে পরকীয়া বাদ দিয়েছে।আমাকে কাছে মাফ চেয়েছে।আমার সাথে সংসার করতে চায় ভালো ভাবে বলেছে।

এর মাঝে দুইদিন আমাকে শর্ত তালাকের কথাও বলেছে।শর্ত পাওয়াও গেছে একবার।কিন্তু সে বলেছে এটাই সে রাগে বলেছে।যে কারণে শর্ত তালাকের কথা বলেছিলো সেই ব্যাপার টা যে সত্য না এটা সে জেনেও রাগে বলেছিলো কথাটা।

আমার সম্পর্ক টা কি হালাল আছে? আমার স্বামীর কথা কি আমার বিশ্বাস করা উচিত? দয়া করে উওর দিন।

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর এমনিতেই বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার স্বামী আপনাকে শর্ত যুক্ত তালাক দিয়েছিল আর সেই শর্ত পাওয়া গিয়েছে,সুতরাং আপনার উপর এক তালাক পতিত হবে। 

আপনি এরপর উক্ত স্বামীর কাছে শরীয়তের বিধান মেনে ফিরিয়ে যাওয়ার পর উক্ত শর্ত আবার পাওয়া গেলে বা অন্য শর্তটি পাওয়া গেলেও আর তালাক পতিত হবেনা।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

وشرط الحنث في قولہ إن خرجت مثلاً فأنت طالق أو إن ضربت عبدک فعبدي حر لمرید الخروج والضرب فعلیہ فورًا؛ لأن قصدہ المنع عن ذٰلک الفعل عرفًا ومدار الأیمان علیہ، وہٰذہ تسمی یمین الفور۔ (درمختار، الأیمان / باب الیمین في الدخول والخروج والسکنیٰ، مطلب في یمین الفور ۵؍۵۵۳-۵۵۴ زکریا، ۳؍۷۶۱-۷۶۲ دار الفکر بیروت، وکذا في البحر الرائق / باب الیمین في الدخول ۴؍۳۱۵ کوئٹہ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি বলে তুমি যদি বের হও,,তাহলে তুমি তালাক, অথবা তুমি যদি তোমার গোলামকে প্রহার করো,তাহলে আমার গোলাম আযাদ,তাহলে এটির বিধান তাৎক্ষনিক হবে।
কেননা তার উদ্দেশ্য ছিলো ঐ কাজ থেকে সেই সময়েই বিরত রাখা,( সারাজীবন এর জন্য নয়)।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

ago by
আমার স্বামীর সাথে কি আমার সংসার বহাল আছে? এখন আমার করনীয় কি? বুঝতে পারিনি আপনার উওর টা।ক্লিয়ার করে যদি বলতেন।
ago by
উওর দিন প্লিজ, আমাকে বললেন শরীয়ত অনুযায়ী যেভাবে যাওয়া দরকার যেতে।আমাকে যদি বুঝিয়ে বলতেন কিভাবে যাওয়া দরকার? কিভাবে স্বামীর সাথে থাকতে হবে? বিয়ে করতে হবে আবার? কি করতে হবে? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...