আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
28 views
in সালাত(Prayer) by (4 points)

আমাদের এলাকায় হানাফি মাজহাব ভিত্তিক নামাজ হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ আমার শতভাগ চেষ্টা থাকে মসজিদে জামাতের সাথেই নামাজ আদায় করা, অফিসের কারণে মসজিদে গিয়ে না পারলে তাও অফিসেই জামাতের সাথেই নামাজ আদায় করা, আলহামদুলিল্লাহ। মুশকিলটা হল, আমার অফিস শেষ ১৬:৩০ মিনিট এবং অফিসের গাড়ি ছাড়ার সময় ১৬:৪০। আজকের সময় অনুযায়ী এখানে আছরের নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ১৬:৪৩ এ। কিন্তু অন্যান্য মাজহাব অনুযায়ী সময় হবে, ১৫:২১। এবং অফিসের গাড়ি করে আমার বাসায় পৌছাতে আনুমানিক বাজবে ১৮:০০। তাই, আমরা কয়েকজন কলিগ মিলে ১৬:২৫ এর দিকে জামাত সহ নামাজ আদায় করে অফিসের গাড়ি চড়েই বাসায় যেতে পারি। এখন প্রশ্ন হল: 

১। চার ওয়াক্ত নামাজ হানাফি মাজহাবের সময় অনুযায়ী পড়ি, কিন্তু এক ওয়াক্ত অন্যান্য মাজহাবের সময় অনুযায়ী পড়ি (তাও জামাত পড়ার উদ্দেশ্যেই), এতে আমি কোন শরীয়াহর নিয়ম ভাংছি কিনা? আবার একটু ওয়াছওয়াছাও কাজ করে, আমি আমার ইচ্ছে অনুযায়ী নামাজ পড়ছি, মানে হল, নিজের যেটা সুবিধা সে সময় অনুযায়ী পড়ছি। এটা কি ঠিক হচ্ছে কিনা।

২। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্যই তো হওয়া উচিচ বলে মনে করি আমি জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করা, সেজন্যেই হানাফি সময়ের আগেই নামাজ পড়া (শুধুমাত্র আছরের নামাজ), কিন্তু আমাকে একজন বললেন, আমাকে নেকীর চিন্তা (যেটা জামাতে পড়লে পেতাম) সেটা বাদ দিয়ে হানাফি সময় অনুযায়ীই বাসায় গিয়ে একাই পড়া, যেহেতু যখন বাসায় যাব, তখন আর জামাত হবার সুযোগ নাই। বক্তব্যটা কি সঠিক?

৩। সৌদি আরবে কেন আছরের নামাজ হানাফি মাজহাবের সময় অনুযায়ী হয় না? 

৪। আমরা হজ্জ্ব/উমরাহ তে গেলে তো আছরের নামাজ হানাফি অনুযায়ী পড়ি না, এতে আমাদের শরীয়াহগত ভাবে কোন সমস্যা হচ্ছে না?

প্রশ্নগুলো দলিলসহ উত্তর দিবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (642,660 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আসরের শেষ সময় হলো- যতক্ষণ না সূর্য হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِلصَّلاَةِ أَوَّلاً وَآخِرًا وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الظُّهْرِ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَآخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُ الْعَصْرِ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ صَلاَةِ الْعَصْرِ حِينَ يَدْخُلُ وَقْتُهَا وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَصْفَرُّ الشَّمْسُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْمَغْرِبِ حِينَ تَغْرُبُ الشَّمْسُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْعِشَاءِ الآخِرَةِ حِينَ يَغِيبُ الأُفُقُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ يَنْتَصِفُ اللَّيْلُ وَإِنَّ أَوَّلَ وَقْتِ الْفَجْرِ حِينَ يَطْلُعُ الْفَجْرُ وَإِنَّ آخِرَ وَقْتِهَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ "

হান্নাদ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নণা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন সালাতের জন্য রয়েছে শুরু এবং শেষ। সূর্য হেলে পড়ার সাথে শুরু হয় যুহরের ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় আসরের ওয়াক্ত যখন আসে। আসরের ওয়াক্ত আসার সাথে শুরু হয আসরের ওয়াক্তের আর তাঁর শেষ হয় সূর্য কিরণ হলদে হয়ে গেলে। সূর্য ডোবরা সাথে শুরু হয় মাগরিবের ওয়াক্তের আর শেষ হয় দিগন্তের আলোর রেশ যখন মিলিয়ে যায়। দিগন্তের আলোর রেশ মিলিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় ইশার ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় রজনীর অর্ধযামে। সুবহে সাদিকের উন্মেষের সাথে শুরু হয় ফজরের ওয়াক্তের আর এর শেষ হয় সূর্য উঠার সাথে। - সহিহাহ ১৬৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ " أَقِمْ مَعَنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ " . فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ مِنَ الْغَدِ فَنَوَّرَ بِالْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ وَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ فَأَقَامَ وَالشَّمْسُ آخِرَ وَقْتِهَا فَوْقَ مَا كَانَتْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ إِلَى قُبَيْلِ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ " أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ " . فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا . فَقَالَ " مَوَاقِيتُ الصَّلاَةِ كَمَا بَيْنَ هَذَيْنِ "

আহমদ ইবনু মানী, হাসান সাববাহ আল বাযযার এবং আহমদ ইবনু মুহাম্মদ ইবনু মূসা (রহঃ) ..... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন একবার জনৈক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানতে চাইল। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন ইনশাআল্লাহ তুমি আমাদের সাথে সালাতে দাঁড়াও। পরে তিনি বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং সুবাহে সা’দিকের উন্মেষের সাথে সাথে ফজরের সালাত আদায় করলেন। সূর্য হেলে পড়ার সাথে সাথে বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং যুহরের সালাত আদায় করলেন। পরবর্তীতে তিনি আবার বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং আসরের সালাত আদায় করলেন আর সূর্য তখনও ছিল উর্ধ্বাকাশে উজ্জ্বল; পরে মাগরিবের নির্দেশ দিলেন। যখন সূর্য অস্তমিত হল; ইশার নির্দেশ দিলেন যখন শাফাক অর্থাৎ দিগন্তের লালিমার পরবর্তী সাদা রেশও মিলিয়ে গেল।

পরবর্তী দিন তিনি বিলালকে ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং খুব ফর্সা হলে পর ফজরের সালাত আদায় করলেন; সূর্যের প্রখর তেজ প্রশমিত ও খুবই শীতল হলে যুহরের নির্দেশ দিলেন; আসরের ইকামতের নির্দেশ দিলেন তখন, যখন পূর্বদিনের তুলনায় সূর্য আরও বেশি নেমে গেল; পরে মাগরিবের নির্দেশ দিলেন এবং শাফাক দিগন্তে মিলিয়ে যাওয়ার পূর্বে তা আদায় করলেন; ইশার ইকামতের নির্দেশ দিলেন এবং রাত্রির এক তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত হওয়ার পর তা আদায় করলেন। তাঁরপর বললেন সালাতের ওয়াক্তের সম্পর্কে যে ব্যক্তি জানতে চেয়েছিল সে কোথায়? ঐ ব্যক্তি বলল, এই যে আমি। তিনি বললেন এই দুই ওয়াক্তের মধ্যবর্তী সময়ই হল সালাতের ওয়াক্ত। - ইবনু মাজাহ ৬৬৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
https://ifatwa.info/39115 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যেহেতু এ বিষয়ে আমাদের ইমামদের মাঝেই মতভেদ হয়ে গেছে। তাই ফক্বীহগণ বলেন, উত্তম ও সতর্কতা এটাই যে, বস্তুর ছায়া দ্বিগুণ হওয়ার আগে আসরের নামায পড়বে না। তবে যদি কেউ পড়ে নেয়, তাহলে মতভেদ থাকার কারণে নামাযকে বাতিল বলা যাবে না। বরং সহীহ হয়ে গেছে বলেই ধতব্য হবে। 

তাই ফিতনার আশংকা না হলে আলাদা পড়া উত্তম। তবে ফিতনার শংকা হলে এক সাথে পড়া যাবে।

হাদীস শরীফে এসেছে   
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَا أُخْبِرُكَ، صَلِّ الظُّهْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ.وَالْعَصْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَيْكَ.

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, আমি তোমাদের জানাচ্ছি যে, যখন তোমার ছায়া তোমার সমান হয়, তখন যোহরের নামায পড়, আর যখন তা দ্বিগুণ হয়, তখন আসরের নামায পড়। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২, ৯, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২০৪১, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২১৭৩৪}
,

قال المشائخ: ينبغى أن لا يصلى العصر حتى يبلغ المثلين، ولا يؤخر الظهر إلى أن يبلغ المثل ليخرج من الخلاف فيها، (الحلبى الكبير، كتاب الصلاة، بحث فروع فى شرح الطحاوى-227، رد المحتار، كتاب الصلاة-1/359، البحر الرائق، كتاب الصلاة-1/425-426، حاشية الطحطاوى على الدر المختار، كتاب الصلاة-1/173) 
যার সারমর্ম হলো ২ মিছিল হওয়ার পর আছরের নামাজ পড়বে,এক মিছিল পর্যন্ত জোহরের নামাজ দেড়ি করবেনা
যাতে ইমামদের ইখতিলাফ থেকে বাঁচা যায়।
,
বিস্তারিত  জানুন 
,
★সুতরাং যদিও এই ছুরতে  ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ এর মতের উপর আমল করলে নামাজ হয়ে যাবে,এক্ষেত্রে হানাফি মাযহাবের বাইরে আমল হচ্ছে,এমনটি বলা যাবেনা,তবে সতর্কতা মূলক ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মতের উপর আমল করাই উত্তম।

https://ifatwa.info/12213/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,
আসরের সালাত দুই মিছিলের পর না এক মিছিলের পর এ নিয়ে উলামায়ে আহনাফদের মধ্যেও মতবিরোধ রয়েছে,এবং দুই অভিমতের উপর-ই ফাতাওয়া রয়েছে, তবে ইবনে আবেদিন শামী সহ অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম মনে করেন দুই মিছিলের পর-ই সুন্নাহ সম্মত ও উত্তম ।

এ সম্পর্কে উম্মে সালামাহ রাঃ থেকে বর্ণিত আছে
161 عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشَدَّ تَعْجِيلًا لِلظُّهْرِ مِنْكُمْ، وَأَنْتُمْ أَشَدُّ تَعْجِيلًا لِلْعَصْرِ مِنْهُ»: وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الحَدِيثُ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ نَحْوَهُ،
[حكم الألباني] :)صحيح (
ترمذي 

উম্মে সালামাহ রাঃ বলেনঃনবী কারীম সাঃসর্বদাই জোহরের নামায তারাতারি পড়তেন(এবং আসর দেরীতে দুই মিছিলের পর পড়তেন) অথচ তোমরা আসরের নামায তারাতারি পড়ে নাও।
আসরের নামায দুই মিছলের(আসল ছায়া ব্যতীত প্রতিটা জিনিষের দিগুন ছায়া) পর উত্তম নিম্নোক্ত হাদীসের দিকে তাকালে সেটা অনায়াসে বুঝা যায়। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/705

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
প্রত্যেক মুসলমানের উপর নির্দিষ্ট সময়ে সালাত আদায় করা ফরয,নির্দিষ্ট সময় মানে প্রত্যেক নামাযের নির্দিষ্ট ওয়াক্ত,আর নামাযের ওয়াক্ত সূর্যের সাথে সম্পর্কিত।সূর্যের নড়াচড়াই নামাযের সময়কে নির্ধারণ করে অর্থাৎ  সূর্যের পূর্ব থেকে পশ্চিম দিকের গতিবিধিকে কেন্দ্র করে নামাযের ওয়াক্ত নির্ণয়  করা হয়,তাই ওয়াক্তের পূর্বে নামায নাময আদায় হবেনা,এর থেকে বিরত থাকা সবার উচিৎ ।

আসরের নামায আসরের ওয়াক্তেই পড়তে হবে,এবং মাগরিবের নামায মাগরিবের ওয়াক্তে। হানাফি মাযহাবে গ্রহণযোগ্য মতানুসারে আসর দুই মিছিলের পর পড়া মুস্তাহাব।তবে এক মিছিলের পর যদি কেউ পড়ে নেয় তাহলেও আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সাধারণত উত্তম হচ্ছে আসরকে দুই মিছিলের পর পড়া।(আহসানুল ফাতাওয়া ২/১১৩)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে আপনার আসর নামাজ আদায় হয়ে যাবে। 

তবে পরামর্শ থাকবে, আপনি যেহেতু বিকাল ৬-০০ টায় বাসায় পৌছে যান,সুতরাং সেক্ষেত্রে আনুমানিক আরো এক ঘন্টার মতো আসরের ওয়াক্ত বাকি থাকে, তাই বাসায়/গন্তব্যে পৌছে আসর নামাজ পড়ে নিবেন।

কেননা এটিই আপনার জন্য উত্তম।
তবে বাসায় জামাত করলে পারলে জামাতের ছওয়াব মিলতো।

(০২)
প্রশ্নের বিবরন মতে উক্ত বক্তব্যের উপর আমল করার পরামর্শ থাকবে। 
হ্যাঁ, বাসায় এসে স্ত্রী/সন্তানকে নিয়ে জামাত করতে পারলে সেক্ষেত্রে জামাতে নামাজ আদায়েরও ছওয়াব মিলবে।

(০৩)
কারন তারা হানাফি মাযহাব অনুসারী নয়।

(০৪)
যেহেতু এ বিষয়ে আমাদের ইমামদের মাঝেই মতভেদ হয়ে গেছে। সুতরাং শরীয়াহগত ভাবে এতে কোন সমস্যা হচ্ছে না। 
এক্ষেত্রে হানাফি মাযহাবের বাইরে আমল হচ্ছে,এমনটি বলা যাবেনা।
এমতাবস্থায় সকলের আসর নামাজই শুদ্ধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 2,359 views
0 votes
1 answer 231 views
...