আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার লাভ ম্যারেজ হয়েছে। রিলেশনে থাকা অবস্থায় সে আমি ব্যতীত আরো অনেক মেয়ের সাথে কথা বলেছে। যা আমি বিয়ের পরে জানতে পারি। এমন কি কিছু অস্বাভাবিক ছবি ও মেসেজ আমার সামনে আসে। যেগুলো দেখে আমি অনেক বেশি ভেঙে পড়েছি। অনেক ভালবাসতাম  । সে যখন যা বলতো সব কথা শুনতাম যাতে আমায় সে ছেড়ে অন্য কারোর কাছে না যায় । এত কষ্ট করার পরও সেই ধোঁকা খেলেম । এখন এইসব কিছু আমি ভুলে যেতে চাই কিন্তু আমি কোনভাবেই ভুলতে পারছি না। ভিতর থেকে একদম ভেঙে যাচ্ছি ।  এছাড়াও তাকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সেবন করতে দেখা যায়। যখন তাকে মানা করলাম সে বলল যে আমি এগুলো প্রতিদিন তো খাই না মাঝে মাঝে খাই।  বলে যে বাদ দিয়ে দিব কিন্তু দেয় না। অনেক কান্নাকাটি করছি অনেক হাতে পায়ে ধরে ও ঠিক করতে পারিনি। আমি সবকিছু ভুলে গিয়ে স্বাভাবিক হতে চাই কিন্তু কোন ভাবেই পারছি না। কষ্টে অনেক সময় আজেবাজে চিন্তাভাবনা মাথায় আসে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা হয়। এখন আমার কি করনীয় ?আমি কি করবো আর যদি আমি আত্মহত্যা করেও ফেলি এর পরিণাম কি হতে পারে ?

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া কোন মহিলা তার স্বামী থেকে তালাক চাওয়া হারাম ও কবীরা গুনাহ্।

সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

أَيُّمَا امْرَأَةٍ سَأَلَتْ زَوْجَهَا طَلَاقًا فِيْ غَيْرِ مَا بَأْسٍ ؛ فَحَرَامٌ عَلَيْهَا رَائِحَةُ الْـجَنَّةِ.

‘‘যে কোন মহিলা কোন মারাত্মক সমস্যা ছাড়া নিজ স্বামীর নিকট তালাক চাইলো তার উপর জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে’’। (আবূ দাউদ ২২২৬; তিরমিযী ১১৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২০৫৫)

ইসলামী স্কলারগন বলেছেন, যেসব কারণে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে তা হলোঃ-

★যদি কোনো বাস্তবসম্মত কারণে উভয়ের পক্ষে একসঙ্গে বসবাস করাটা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বামীর কাছ থেকে তালাক চাওয়ার অনুমতি আছে।

★যদি স্বামীর মাঝে দৈহিক এমন ত্রুটি থাকে, যার কারণে দাম্পত্যজীবনের স্বাভাবিকতা খুবই দুরূহ হয়ে যায়। যেমন—পাগল হওয়া, যৌন অক্ষম হওয়া, কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হওয়া। 
বলা বাহুল্য, স্বামীর মাঝে উক্ত ত্রুটিগুলো থাকা অবস্থায় স্ত্রীকে ভালোভাবে রাখা সম্ভব নয়।

★স্বামী স্ত্রীর আবশ্যকীয় জরুরত তথা ভরণ-পোষণ দিতে অক্ষম হলে। কেননা, এটা স্ত্রীর মৌলিক অধিকার। 

★শরিয়ত নির্দেশিত কারণ ছাড়া স্বামী স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়া বা জুলুম করা।

এটা শারীরিকভাবেও হতে এবং মানসিকভাবে হতে পারে। যেমন—স্ত্রীকে মারধর করা, গালাগাল করা, স্ত্রীকে তার পিতা-মাতার সঙ্গে দেখা সাক্ষাতে বাধা প্রদান করা, বেপর্দা কিংবা হারাম কাজে স্ত্রীকে জোরপূর্বক বাধ্য করা। 

★স্বামীর মধ্যে দ্বিনদারির প্রতি অবহেলা চরম পর্যায়ের হলে। যেমন—নামাজ না পড়া, মদ পান করা, পরকীয়া কিংবা চারিত্রিক অন্যায়-অপকর্মে লিপ্ত হওয়া। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার স্বামীকে বুঝাবেন এবং হারাম সম্পর্ক বাদ দিয়ে দ্বীনের পথে নিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া চালিয়ে যাবেন।

আপনার স্বামীকে আপনি দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে পাঠাতে পারেন তাকে বলবেন চিল্লায় যেতে।

এরপরও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে পারিবারিকভাবে মুরুব্বিদের মাধ্যমে আপনার স্বামীকে বুঝাবেন।

এতেও কাজ না হলে সেক্ষেত্রে আপনি তার সাথে ঘর সংসার করতে না চাইলে তালাক চাইতে পারেন।

স্বামী তালাক না দিলে সেক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে খোলা করতে পারেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...