আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পবিত্রতা (Purity) by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
কেউ যদি  কোরআন শরীফ ছুঁয়ে  কাউকে কথা  দেয় এমনভাবেঃ"আমি  অমুক সালের অমুক  তারিখের  আগে এই বিষয়ে আর কথা বলবো না,যদি  বলি তাহলে  আমি, আমার মা-বাবা- ভাই কাফির/ কাফির  হয়ে যাবো।"

১)এখন  যাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, সে নিজেই যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে ঐ বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেয়,তাহলে কি ঐ বিষয়ে কথা বলা যাবে???

২) যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে  কথা বলা জরুরী  হয়,তাহলে এখন কিভাবে  কথা বলা যাবে?
কথা বলা  জরুরী  হলে এখন করনীয়  কি?

৩)শপথটা ভাঙলে কি তারা সত্যিই কাফের হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (710,840 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
কেউ যদি  কোরআন শরীফ ছুঁয়ে  কাউকে কথা  দেয় এমনভাবেঃ"আমি  অমুক সালের অমুক  তারিখের  আগে এই বিষয়ে আর কথা বলবো না,যদি  বলি তাহলে  আমি, আমার মা-বাবা- ভাই কাফির/ কাফির  হয়ে যাবো।" 
এমন কথা বলা কখনো উচিৎ হবে না।যদি কেউ বলে, এবং সে পরবর্তীতে অমুক তারিখের আগে কথা বলে,তাহলে তাকে অবশ্যই কাফফারা দিতে হবে।তবে সে কাফির হবে না। হ্যা, এমন কথা বলার পর কথামত জীবন পরিচালনা না করলে সে অবশ্যই গোনাহগার হবে।


সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)এখন  যাকে কথা দেওয়া হয়েছিল, সে নিজেই যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে ঐ বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেয়,তাহলেও ঐ বিষয়ে কথা বলা যাবে
না। এবং কথা বললে কাফফারা দিতে হবে।

(২) যদি  অমুক  সালের অমুক  তারিখের  আগে  কথা বলা জরুরী  হয়,তাহলে কাফফারা প্রদানপূর্বক কথা বলতে হবে।বা কথা বলার পর কাফফারা দিতে হবে।

(৩)শপথটা ভাঙলে যদিও তারা কাফের হবে না,তবে অবশ্যই তাদেরকে কাফফারা দিতে হবে।এবং তাওবাহ করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...