আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
31 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,


‌১.ফেসবুকে শরীয়ত বিরোধী পোস্ট করে এমন ব্যাক্তিকে দাওয়াত বা ব্যাবসার জন্য ফ্রেন্ড বানানো
যাবে?

২.থ্রি-পিস ব্যাবসার ক্ষেত্রে বেপর্দা ছবিওয়ালা ক্যাটালগ থাকে। এক্ষেত্রে অনলাইনে ব্যাবসায় কাষ্টমারকে দেখানোর উদ্দেশ্যে আমি যদি যথাসম্ভব দৃষ্টি সংযত রেখে ছবি তুলে চেহারা ও হাত পা যদি ইডিট করে কালার দিয়ে ঢেকে দিই।আর তা কাষ্টমারকে দেখাই। তাহলে তা কি জায়েয হবে?

৩. ২ নং এর ক্ষেত্রে যথাসম্ভব দৃষ্টি সংযত রেখে বেপর্দা মেয়ের ক্যাটালগ এর ছবি তোলা জায়েয হবে?

৪.জামাতে সীররি নামাজের সময় তওবা করা কি জায়েজ?(গুণাহ করা ও না করা অবস্থায়)

৫.কোনো কারণে বায়ু ত্যাগ এর সময় যদি পায়খানা একটু বের হয় বা বের হওয়ার মত লাগে তখন তা পরিষ্কারে বিলম্ব করলে কি গুনাহ হবে?

৬. নামাজে সুরা নাসে "‌یُوَسۡوِسُ' এই অংশে ‌وِسُ এর "ওয়াও" এ মদ করলে কি নামাজ ভেঙ্গে যাবে? এবং এতে কি অর্থ বিকৃত হয়ে গুণাহ হবে?

৭.যদি মাহরাম বা নন মাহরামের সামনে প্যান্টের বেল্ট খুলে রাখি কিন্তু সতর ঢাকা থাকে। তবে তা কি জায়েয?

৮.প্যান্টে সতরের মধ্যে রানের উপর ছিদ্র আছে। কিন্তু আমি যদি জনসম্মুখে বের হই তবে তা কারো চোখে পড়ার সম্ভাবনা নেই।আর দুর থেকে ছিদ্রের দিকে তাকালে সতর দেখার সম্ভাবনা নেই।এই প্যান্ট পরে বাইরে বের হওয়া ক জায়েয?

৯.কেউ নামাজ পড়ছে আর তার সামনে আরেকজন বসে আছে।এখন তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করা কি জায়েজ?

১০.যদি নামাজের সুতরা এক হাতের কম হয় তবে নামাজি ব্যাক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম করার রুখসত আছে?

১১.  আমি যেখানে থাকি সেখান থেকে আমার নানী বড়ি  সফরের দূরত্বে রয়েছে।আমি যদি সেখানে যাওয়ার সময় সফরের নিয়ত করে না যাই। তবে কি আমাকে কসর করতে হবে? আর হ্যা আমি ভাড়া বাসায় থাকি।

১২.দুঃখজনকভাবে আমার থেকে কম বয়সী ছেলের সাথে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়েছিলাম।নানিবাড়ি থাকাকালীন আমরা একটি রুমে গিয়েছিলাম।সেখানে আমি ওর যৌনাঙ্গ হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই ওর বির্যপাত হলো যা বিছানায় পড়ল।পরে তা মুছে দেওয়া হলো।এখন এই বিছানা আমার না।এখন বির্য পড়ার ফলে আমার জানামতে বিছানা নাপাক হয়ে গিয়েছে।আমি এই কাজের পর তওবা করেছি। তবে আমি ঐ বিছানা পাক করিনাই।আর হ্যা এই রুমে সাধারণত কেউ থাকে না। এখন আমার করণীয় কি?

১৩. নন -মাহরাম কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেওয়া কি জায়েয?

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
হ্যাঁ, যাবে।

(০২)
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ

ﻭَﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﺒﺮِّ ﻭَﺍﻟﺘَّﻘْﻮَﻯ ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ

তরজমাঃসৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (সূরা মায়েদা-২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ فَإِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ "

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমণী মাত্রই আবরণীয় (বিষয়), যখন সে বের হয় তখন শায়ত্বন তাকে সুশোভিত করে তোলে (বা শায়ত্বন হাত আড় করে তার প্রতি তাকায়।)

(সহীহ : তিরমিযী ১১৭৩, ইরওয়া ২৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৬৬৯০।)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
জায়েজ হবেনা।
পুরো ছবি ঢেকে/মুছে দিতে হবে।

(০৩)
জায়েজ হবেনা।

(০৪)
এক্ষেত্রে সেজদায় কোরআনে বর্ণিত বা হাদিসে বর্ণিত শব্দাবলী দিয়ে দোয়া করা বা শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত শব্দগুলি দ্বারা দোয়া করা আর সেই দোয়ার মধ্যে তওবার নিয়ত করা যাবে।

(০৫)
এ অবস্থায় নামাজ না পড়লে বা কুরআন স্পর্শ না করলে গুনাহ হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যাবে না।

(০৭)
এটি নাজায়েজ নয়।
তবে কোনো কোনো সমাজে এটি শালীনতার খেলাফ কাজ। 

(০৮)
এতে সতরের কিছু অংশ দেখা যায় এবং ফাসেকদের সহিত সাদৃশ্যতা অবলম্বন হয়, তাই এটি জায়েজ নয়।

(০৯)
তার সামনে থেকে পিছনে চলে আসা জায়েজ আছে।

(১০)
না,নেই।

(১১)
আপনার নানির বাসা যদি আপনার স্থায়ী বাসা না হয় এবং সেখানে গিয়ে যদি ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করেন, সেক্ষেত্রে সেখানে গিয়ে আপনি কসর নামাজ আদায় করবেন।

(১২)
আপনি অন্যের মাধ্যমে হলেও বিছানার সেই অংশ পাক করবেন, বা সেই বিছানার মালিককে অন্য কোনো কথা বলে হলেও বিছানাটি নাপাক, তাহা পাক করা আবশ্যক,  এটি জানিয়ে দিবেন।

(১৩)
এক্ষেত্রে মনে মনে উত্তর দিতে পারবেন।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...