আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (15 points)
আসসালামু আ'লাইকুম।
১. এতদিন আমি জানতামনা ওজুর সময় দুই কানের লতিও ধুতে হয়। আমি যখন মুখমন্ডল ধুতাম তখন কানের লতির অর্ধেকের মত ভিজে আর মাথা মাসেহ করার সময় কানের লতির শুধু পিছনদিক পুরোটা ভিজাতাম। এতে কি ওজুগুলো হবে?

২. আমাদের ভিতরের উঠানে তেমন রোদ আসেনা দেখে বাইরের উঠানে সব কাপড় দিই৷ নরমাল পরিহিত কামিজ পায়জামা দিতেও লজ্জা লাগে। কিন্তু অন্তর্বাসও বাইরে দিতে হয়, যদিও এখন অনেক লজ্জা করার কারণে ঘরে এনে ইস্ত্রি দিয়ে শুকিয়েছি৷ আশেপাশে উঁচু বিল্ডিং থেকে দেখা যায়। এখানে কাপড় শুকানোর মাসআলা কী কোন কাপড়গুলো বাইরে দেয়া যাবে, আর কীভাবে এই পরিস্থিতিতে জীবানু মেরে নিরাপদে পর্দা রক্ষা করে কাপড় শুকানো যায়? নবীজি(সা.), উনার(সা.) স্ত্রীরা কীভাবে শুকাতেন?

আমার ধারণা ছিল উত্তরটা আমি আগেই খুজে পাব কিন্তু অনেককিছু লিখে সার্চ করলেও পাইনি

1 Answer

0 votes
by (639,720 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
https://ifatwa.info/5306/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  অযুর ভিতর কানের লতির বাহ্যিক অংশ পর্যন্ত পানি পৌছানো ফরজ। 

মুখমন্ডলের পরিসীমা হলো  কপালের চুলের গোড়া থেকে থুতনীর নিচ এবং উভয় কানের লতি পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।
একবার ধোয়া ফরয, তিন বার ধোয়া সুন্নাত।
(ইমদাদুল আহকাম  ১/৩৬৬) 
۔
আল্লাহ তায়ালা বলেন
يا أيها الذين آمنوا إذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا  وجوهكم 
হে ঈমানদার গন যখন তোমরা নামাজের জন্য দাড়াবে,তখন তোমাদের চেহারা ধৌত করবে,,,  
,
হাদীস শরীফে এসেছে  
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأُوَيْسِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَزِيدَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى الْمِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الْكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ، لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ".
হুমরান (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি ‘উসমান ইবনু আফফান (রাযি.)-কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিনবার ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। অতঃপর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তারপর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তাঁর মুখমন্ডল তিনবার ধুয়ে এবং দু’হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। অতঃপর মাথা মাসেহ করলেন। অতঃপর দুই পা টাখনু পর্যন্ত তিনবার ধুলেন। পরে বললেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম উযূ করবে, অতঃপর দু’রাক‘আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খেয়াল করবে না, তার পূর্বের গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ১৬০, ১৬৪, ১৯৩৪, ৬৪৩৩; মুসলিম ২/৩, হাঃ ২২৬, আহমাদ ৪৯৩, ৫১৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৬১)
,

মারাকিল ফালাহ গ্রন্থে আছেঃ   
قال فی مراقی الفلاح وحدہ ای جملۃ الوجہ طولا من مبدأ سطح الجبھۃ سواء کان بہ شعرام لاواالجبھۃ مااکتنفہ جبینان الیٰ اسفل الذقن وھی مجموع لحیتہ واللحی منبت اللحیۃ فوق عظم الاسنان لمن لیست لہ لحیتہ کثیفہ وفی حقہ الی مالاقی البشرۃ من الوجہ وحدہ عرضامابین شحمتی الاذنین ویدخل فی الغایتین جزعًا منھما لاتصالہ بالفرض والبیاض الذی بین العذاروالاذن علی الصحیح اھ ملخصاً، ص ۳۴
যার সারমর্ম হলো চেহারার পরিসীমা হলো কপালের অগ্রভাগ,(শেষমাথা) , চাই সেখানে চুল থাকুক বা না থাকুক, থেকে নিয়ে থুতনীর নিচ পর্যন্ত। 
এবং এককানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত।
কানের লতি অবশ্যই ধুতে হবে,এটাও ফরজের মধ্যে শামিল। 

অযুর ক্ষেত্রে উভয় কানের লতির গোড়া পর্যন্ত পানি পৌছানো নিশ্চিত করতে হবে।       
কানের ছিদ্রে পানি পৌছানো জরুরি নয়।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার অযুগুলো হবে

(০২)
মহিলাদের কিছু পোষাক তো এমন আছে,যেগুলোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
এগুলো যেনো পুরুষ এর দৃষ্টিতে না পড়ে,সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এই পোশাক গুলি উপর পুরুষ এর নজর পড়ে,এমন স্থানে নাড়িয়ে দেয়া কবিরাহ গুনাহ।
কেননা এক্ষেত্রে পরপুরুষ এর লেলুপ দৃষ্টি সেগুলোর দিকে পড়ে,আর তারা যৌন আকাঙখা করে,বা তাদের মাথায় কুচিন্তা বাসা বাধে।

আর তাদের কিছু কাপড় এমন আছে,যাহা স্বাভাবিক,যাহার দিকে পুরুষ এর সাধারণত সেভাবে কুদৃষ্টি পড়বেনা,সেই কাপড় গুলো যদিও বাহিরে নেড়ে দিলে গুনাহ হবেনা,তবে বর্তমান ফিতনার যামানা হিসেবে সেই কাপড় গুলোও পরপুরুষ এর চোখে পড়েনা,এমন স্থানে নাড়িয়ে দেয়া তাকওয়ার পরিচায়ক। 
(আহকামুল কুরআন ৩/৪২৪)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
বর্তমান ফিতনার যামানা হিসেবে নারীদের কোনো কাপড়ই বিনা প্রয়োজনে পর পুরুষ দেখতে পায়,এমন স্থানে শুকাতে দেয়া উচিত হবেনা।
এটিই তাকওয়ার পরিচায়ক। 

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু প্রয়োজন বশত আপনি পরিহিত কামিজ পায়জামা বাহিরে শুকাতে দিচ্ছেন,সুতরাং এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(এক্ষেত্রে সতর্কতামূলক ইস্তেগফার পাঠ করার পরামর্শ থাকবে।)

তবে কোনোক্রমেই অন্তর্বাস বাইরে দিবেননা।
প্রয়োজনে অন্য কোনো পদ্ধতিতে শুকাবেন।
অন্যথায় বাহিরে কোনো জামা/ওড়নার নিচে রেখে দিয়ে শুকাবেন।
যাতে বাহির থেকে দেখা না যায়।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...