আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
17 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমি অজু করার সময় ক্রম মানি না। এক জায়গায় দেখলাম হাত কবজি অবধি৩ বার ধুয়ে পরের স্টেপে কুনুই অবধি ধুলো। আবার কোথাও পড়েছি আগে কবজি অবধি, তারপর মুখ নাক,,, এভাবে।  আমি আগে কবজি অবধি ৩ বার, কুনুই অবধি ৩ বার,,  মুখ মাসাহ ৩ বার, কুলি ৩ বার নাকে পানি ৩ বার ( মাঝে মাঝে নাকে পানি দেই না,, ১/২ বার কুলি করি নি,, আমি জানি এগুলো সুন্নাহ), তারপর মাথা মাসা একবার,  দুই পা ৩ বার করে ধুই। আমি অনেক দিন ধরে এভাবেই অজু করি। কারো একটা ওয়াজ এ শুনেছি সিকুয়েন্স মেইন্টেইন করা উচিত তবে না করলে , ও অজু হবে। আমার কি অজু হয়েছে?  যদি না হয় সহী নিয়ম টা জানাবেন ইনশাআল্লাহ। আর আমি এতদিনের নামাজের কি করবো,,,, যদি সহী না হয়। আমার কি গুনাহ হবে? আর কোনো বিষয়ে আমি একুরেট ইনফরমেশন কিভাবে পাব,,,,,নিকটস্থ হুজুর ওনাদের থেকে জানার সুযোগ নেই,,আমি মেয়ে। অন লাইন  দুই রকম ইনফরমেশন পাই। এখন ভয় করছে।  পরিবার থেকে জানার সুযোগ নেই, মুসলিম নয় তারা। তাই আমার যদি কিছু জানতে হয়,, আমি কিভাবে জানবো,, এমন পরিস্থিতি হয় যে তৎক্ষনাৎ জানা লাগবে,, নাহলে সমস্যা হবে,এমন অবস্থায় আমি কি করবো জানাবেন ইনশাআল্লাহ।

1 Answer

0 votes
ago by (668,070 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অজুতে তিনবার ধৌত করা অর্থ হল, প্রত্যেক ধৌত করার অঙ্গ সমূহকে নতুন পানি দ্বারা তিনবার ধৌত করা উদ্দেশ্য।
ওজুর নিয়মঃ-ওজুর কিছু ফরয(অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়)  রয়েছে এবং কিছু সুন্নাত(অত্যাবশ্যকীয় নয় তবে সচরাচর রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত) এবং কিছু মুস্তাহাব(উত্তম ও ভালো)। এবং কিছু মাকরুহ রয়েছে যা বর্জনীয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/6410

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআনে বর্ণিত অজুর আয়াতের অঙ্গ সমূহ ধৌত করার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সুন্নত। সুতরাং অজুর অঙ্গসমূহকে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ধৌত করা না হলে, অজুতে কোনো সমস্যা হবে না। 
وفي حاشية ابن عابدين:
"(قوله: المذكور في النص) أي الترتيب المذكور في آية الوضوء. وفيه إشارة إلى أنه ليس المراد في قول الكنز وغيره: والترتيب المنصوص النص الأصولي، بل المراد المذكور، إذ ليس في الآية ما يفيد الترتيب؛ فلم يكن منصوصا عليه فيها (قوله: وهو مطالب بالدليل) أي أنه لا حاجة لنا إلى الدليل على عدم الافتراض، لأنه الأصل ومدعيه مطالب به ولم يوجد، وقد علم الترتيب من فعله - عليه الصلاة والسلام - فقلنا بسنيته أفاده في البحر۔" (الدر المختار مع رد المحتار ، باب سنن الوضوء ، ج:1،ص:122،ط:ایچ ایم سعید )


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...