আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
”You can not kill an Idea, You can not kiss an Idea"
~ from the movie 'V for ভেন্দেত্তা'


"দ্বীনি মুহাম্মাদের মধ্যে কোন পরিবর্তন আনা হবে যখন আমি জীবিত রয়েছি? ওয়াল্লাহি, রাসুলুল্লাহর যুগে এরা যাকাতের ঊটের সাথে পাঠানো ঊট বাঁধার দড়ি দিতে যদি অস্বীকার করে, তবুও আমি এদের বিরুদ্ধে জি*হা*দ করবো"

~ খালিফাতুর রাসুল আবা বাকর ইবন আবি কুহাফা


"যে অবনমন এসেছে সেটা এসেছে, এই অবস্থায় বিস্তর কিছু করতে গেলে উম্মাতকে আরও বলিদান দিতে হবে"

~ আব্দুল্লাহ ইবন উমার।


সোশিওসাইকোলজির বিপর্যস্ততার  প্রেক্ষাপট যদি ধরে নেই কোন আইডিয়া ডেভেলপড করা হয়েছিল, তবে সেটা ছিল আলী ইবন আবি তালিব রাঃ এর ব্যাপারে ২টা মতবাদ ঢালাওভাবে প্রচলন, ১ম আলী হলেন দুনিয়ার বুকে আল্লাহর আবতার, incarnation of God; ২য় প্রত্যেক নাবী এবং রাসুলের একজন ওয়াসীহ থাকে, মুহাম্মাদ (রাসুলুল্লাহ সাঃ) এর ওয়াসীহ হলেন আলী ইবন আবী তালিব।

আমরা পরিস্থিতিকে ক্ষমা করতে পারি, সময়কে ক্ষমা করতে পারি, কিন্তু মানুষকে ক্ষমা করতে পারি না। যেমন এই মতবাদ গ্রহণ করা মানুষকে আমাদের জন্য ক্ষমা করা দায়, এই বিপর্যস্ততা, উম্মাতের এই অবনমন যদি কোন আইডিয়ার কারণে হয়ে থাকে তবে দোষী তারা যারা এই আইডিয়াকে গ্রহণ করেছিল, এবং তদ্বানুযায়ী আমল করেছে।


ইসলামের প্রতিষ্ঠা হওয়া একটা রেভ্যুলুশন ছিল। রেভ্যলুশনের বৈশিষ্ট্য হল যে এটা কাউন্টার রেভ্যুলুশন ফেইস করে। শির্কের সমস্ত প্রলেপকে সরিয়ে ডিভাইন তাওহীদের উপর বেইস করে ইসলাম প্রতিষ্ঠীত হয়েছিল, বলার অপেক্ষা রাখে না যে কাউন্টার রেভ্যুলুশান যেটা হয়েছিল সেটার ভিত্তিতে তাওহীদের উপরই আঘাত হানা হয়েছিল। এছাড়া সাংগঠনিক পর্যায়ে, গোত্রীয় ব্যবস্থাকে উপড়ে ফেলে মুত্তাকী ও যোগ্য মানুষের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার যে কনসেপ্ট ইসলাম এস্টাবলিশ করেছিল, সেটার এগেইন্সটেও কাউন্টার রেভ্যুলুশান হিসবে গোত্রীয় দ্বন্দকেই আবার জাগ্রত করা, এটাও সেই আইডিয়ার আওতায় পড়ে। শিয়া মতবাদকে 'সাবাই' মতবাদ বলা ভুল হবে না।
খারেজীদের প্রতিষ্ঠাই এই মতকে নিয়ে হয়, যে উপস্থিত পরিস্থিতে তাদের দৃষ্টিতে যেটা সঠিক মনে হচ্ছে সেটাতেই তারা নিজেদেরকে ডেডিকেট করে, আইডিওলজি কি বলছে সেটাকে গুরুত্ব দেয়া তাদের কাছে হেয় ব্যাপার। কিন্তু এই বিভৎস রকমের পর্যদুস্ততা সৃষ্টি করার পর ফির্কা-ওয়ারিয়াতের ভিত্তি হিসেবে কোন একটা মতবাদ গৃহীত হবে, এই দায়টাও তাদেরকেই নিতে হবে। আব্দুল্লাহ ইবন সাবা ওয়াজ ওয়ান ম্যান অনলি।


আইডিয়া গৃহীত হয়েছিল সে সময়, যেটা আজ পর্যন্ত অক্ষত আছে। আহতে তাশাইয়ার এই ভিত্তিগত বিশ্বাসকে কেউ হত্যা করতে পারে নি এখনো। You can not kill an idea. শিয়া মতবাদের প্রারম্ভ যদি সেখানে রয়েছে বলে ধরে নেই, তবে আজকের শিয়ারা যা কিছু করে, যে স্বরূপতা উপস্থাপন করে, সেটা তাদের সেই ভিত্তিগত বিশ্বাসকে ঠিক রেখে, সুন্নিদের কাছে লাঞ্চিত হওয়ার প্রতিবাদস্বরূপ, সুন্নিদের সাথে বিরোধিতার প্রতিমূর্তিস্বরূপ যে স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করেছে সেটার ফলাফলে আমরা তাদের আমাল-গত পার্থক্য দেখতে পাই, আমালের অনেক বিষয় আছে যেটা নিঃসন্দেহভাবে বিরোধিতা করার যোগ্য। তবে তাদের আমালকে দুরস্ত করা, বা এটাকে বেইস করে তাদের সমালোচনা করা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না।

আর একটা বিষয় হচ্ছে, ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত রাখার জন্য আমাদের ইতিহাসের হুকুমরানরা এই ইন্তিসারকে, এই অবনমনকে বা এই মতভেদাভেদকে রাজনৈতিক গুটি হিসেবে যে ব্যবহার করেছেন, আর তাতে যে সামাজিক ব্যধি তৈরি হয়েছে, ঘৃণার যে সূর উঠে এসেছে এবং এখনো উঠে, সেটাও একটা ফ্যাক্ট।

পারস্যবাসীর নিজ জাতিগত অহম, রেসিয়াল সুপেরিয়রিটিতে বিশ্বাসী হওয়া, তাদের ইতিহাস তাদের এই অহমকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য করে। আর তাদের মত জাতির শৌর্য উষ্ট্রারোহী আরবদের হাতে পদানত হওয়া তাদের কখনো মনঃপুত হয় নি। তাদের ঐশ্বর্যের বিরুদ্ধের কথা, তাদের শানের বিরুদ্ধের কথা। স্বতন্ত্রতা যদি তাদের জাতিগত ডিমান্ড হয়, তবে ইসলামের স্বতন্ত্র ভার্সন দাবী করাও যেন তাদের একটা জাতিগত দাবী। সাবাই মতবাদে আলী রাঃ কে যখন আল্লাহর আবতার বলা হল, আর রাসুলের ওয়াসীহ বলা হল, যেই হিসেবে বাকি ৩ খালিফার খিলাফাতকে গাসীবানা খিলাফাত কারার দেয়া হল; ঠিক এটাই যেন পারস্য জাতির কাছে সবচেয়ে প্রিয় হয়ে উঠলো, মুসলিম হওয়ার পরও। এখানে একটা কথা উল্লেখ্য যে তারা উমার রাঃ এর হত্যাকারী আবু লুলু ফিরোজকে, তারা 'বাবা সুজাউদ্দীন' বলে ডাকে। যেই তিনজনের খিলাফাতে পারস্যের শৌর্য পদানত হয়েছিল, যাদের বিরুদ্ধে তাদের এত ঘৃণা ছিল, তাদেরই বিরুদ্ধে একটা আইডিয়া, একটা মতবাদ এটা বলছে যে এই ৩ জনের খিলাফাত গাসীবানা, ওয়াসীহ-এ-রাসূল হওয়ার কারণে প্রথম দিন থেকে খিলাফাতের উপর অধিকার আলী রাঃ এর ছিল। অতএব এই মতবাদ পারস্যবাসীর মধ্যে প্লেগের মত ছড়িয়ে পরে। যেটা তার চূড়ান্ত অবস্থায় পৌছায় সাভাবী আমলে, যখন শিয়া মতবাদকে রাষ্ট্রীয় মতবাদ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়।


তবে,

সুন্নি মতবাদে এই ফতোয়া সর্বজন স্বীকৃতি পাওয়া যে, 'বিজয়ী বেশে পাওয়ারের ভিত্তিতে কেউ ক্ষমতা অধিকৃত করলে সে নেতৃত্বের অধিকারী', শিয়া মতবাদে এই ফতোয়ার রদ হওয়া, সাথে জাস্ট সেটার উপরেই ডিটারমেনেন্ট থাকা যেটা আইডিওলজি বলেছে।

এটাকে প্রশংসা না করে পারা যায় না। যদিও পুরো শিয়া সমাজ ইমাম মাহদির অপেক্ষায় বসেছিল, তাদের হিসেবে তাদের ১২ তম ইমাম, মাহদি, যতক্ষণ না আসবে তারা মাঠে নামবে না; কিন্তু আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী পুরো শিয়া সমাজকে এই মর্মে সংগঠিত করতে পেরেছিলেন যে 'মাহদি যখন আসবে তখন আসবে, আমরা এভাবে বসে থাকতে পারি না, কমপক্ষে মাহদির পথ উন্মোচিত রাখতে আমরা সংঘবদ্ধ হতে পারি'; আর তারপর সংগঠিত হয় ইতিহাসের ৩য় শ্রেষ্ঠ বিপ্লবের। ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে সেই সময়, মায়েরা কোলের শিশুকে বুকে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল তখন। এই জজবাও কেবল শিয়াদের মধ্যে পাওয়া যায়, সুন্নীদের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য নেই। শিয়াদেরকে নিয়ে যখন কথা বলছি এটাও উল্লেখ করার বিষয়।


Yet their excessive belief is contradictory with basic belief of Islam. যদি বলি তারা পথ থেকে বিচ্যুত সম্ভবত ভুল হবে না। আল্লাহ আমার ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা করুক, যদি কোন ত্রুটি থেকে থাকে।


উপরের কথাগুলোর  মাঝে শিয়া প্রীতি বা সু্ন্নী বিদ্বেষী ভাব প্রকাশ পায় কিনা???
আর এই কথাগুলোর ত্রুটি কি কি হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (680,280 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির ব্যাপারে উলামায় কেরামের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। মতবিরোধপূর্ন প্রশ্নগুলো উত্তর দেওয়ার জন্য স্থান, কাল, পাত্র অনেক কিছুই জানার প্রয়োজন হয়। যেটা অনলাইনে জানা সম্ভব হয় না।
তাই এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,

فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ

তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন!!

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/36


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...