আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।আমার একটা মাসআলা জানার ছিলো।খুব জরুরি।তাড়াতাড়ি উত্তর দিলে ভালো হয় হুজুর।


ঝগড়ার এক পর্যায়ে,

স্বামী বলে:যেহেতু হারাম রিলেশনশিপে জড়ানোর জন্য এখনো কষ্ট পাচ্ছো((বলে রাখা ভালো - বিয়ের আগে তাদের কয়েকমাসের মতো প্রেমের সম্পর্ক ছিলো)),তোমার অগোছালো লাইফ টা গোছাতে পারতেছ না,তাই এগুলো বাদ দিয়ে তোমার মত করে লাইফ টা গোছায় নাও।আমার জন্য আর লাইফ টা নষ্ট কইরো না।

তখন স্ত্রী বলে: তাহলে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে তোমার।পারবা?

স্বামী বলে: আমার পারা আর না পারা দিয়ে তোমার কি দরকার?তোমার লাইফ তুমি গোছায় নিবা।

স্ত্রী বলে: তুমি না ছাড়লে তো আমি অন্য কোথাও গোছাতে পারবো না।

স্বামী বলে: তুমি গোছাতে পারো।

স্ত্রী বলে: ছেলেরা একসাথে ৪ বউ রাখতে পারে।মেয়েরা ২ হাজবেন্ড রাখতে পারে না।ডিভোর্স না হলে সেকেন্ড বিয়ে জায়েজ না মেয়েদের।

স্বামী বলে: তো এখন কি করতে হবে আমাকে?

স্ত্রী বলে: এটার জন্য যা ভালো মনে হয় সেটাই করো।

স্বামী বলে: তুমি আমাকে বলো কি করতে হবে?
স্ত্রী বলে: আমার জীবন থেকে সরে যেতে চাইলে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।যদি পারো আমাকে ছেড়ে দিয়ে অনেক দূরে চলে যাও।যেনো কোনোদিন তোমার সাথে দেখা না হয়।

স্বামী বলে: আমি সরে যাবো কিনা সেটা কি বলছি একবারও?

স্ত্রী বলে: এই সম্পর্ক টা বয়ে বেড়ানো পসিবল হচ্ছে না আমার।
স্বামী বলে: তুমি বলছো তোমার লাইফ নষ্ট হচ্ছে।মনে করো আমি নেই।এটা ভেবে যা করার লাইফ টা গোছানোর জন্য করে নাও।আমি মারা গেছি ভেবে নাও।হাজবেন্ড মারা গেলে তো বিয়ে করতে পারে মেয়েরা।

স্ত্রী বলে: জীবন টা কি নাটক মনে হয় তোমার?আল্লাহর বিধান গুলো কি চেহারা দেখতে দিছে?

স্বামী বলে: যদি এটাতে প্রবলেম হয় তাহলে তুমি আমাকে ছেড়ে দিতে পারো।

স্বামীর এই ধরনের কথার মাধ্যমে স্ত্রী কি তালাকের অধিকার পাবে?পেলে সেটা কখন?স্ত্রী যখন ২য় বিয়ে করতে চাইবে তখন? নাকি যে কোনো সময় তালাক দিতে পারবে?


এক্ষেত্রে স্বামীর মনে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো কিনা জানা নেই।


মেহেরবানী করে তাড়াতাড়ি জানাবেন।খুব অশান্তিতে আছি।

1 Answer

0 votes
by (676,920 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।)
(বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)

তালাকের অধিকার প্রদাণের মূহুর্ত সময়কালের কোনো উল্লেখ না থাকলে,
তালাকের অধিকার দেয়ার পর মজলিসের ভিতরে সেই অধিকারকে গ্রহণ করা যাবে এবং ফিরিয়েও দেয়া যাবে। মজলিস শেষ হওয়ার পর স্ত্রীর আর সেই অধিকার গ্রহণের সুযোগ থাকবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/67418

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরনমতে স্ত্রী মজলিসের ভিতর তালাকের অধিকার পাবে। মজলিস থেকে উঠার পর আর তালাক দেয়া যাবে না।স্ত্রীর আর তালাকের অধিকার বাকী থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...