লেনেদেন চুক্তি ও ঈমান বিষয়ক

Question

ক) কিস্তিতে প্লট ক্রয়বিক্রয়ের সময় চুক্তিপত্রে কোনো কোনো বিক্রেতা কোম্পানি উল্লেখ করে যে, কিস্তি পরিশোধের কোনো পর্যায়ে ক্রেতা প্লট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলে মোট পরিশোধকৃত কিস্তিমূল্য থেকে ১০% টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট টাকা ক্রেতাকে ফেরত প্রদান করা হবে।
এভাবে জরিমানা আরোপ কি জায়েজ হবে?

খ) প্লট ক্রয়বিক্রয়ের চুক্তিপত্রে বাংলাদেশে সাধারনত বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বা IN THE NAME OF ALMIGHTY ALLAH, THE MERCIFUL লেখা থাকে। অন্যদিকে প্রায়শই এধরনের চুক্তিতে ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত এমন কিছু ধারা থাকে যা শরিয়াহসম্মত নয়। সেক্ষেত্রে কোনো ক্রেতা জমি ক্রয়ের সময় শরিয়াহসম্মত নয় ঐরুপ শর্ত থাকার পরেও জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিক্রেতা কোম্পানির সাথে চুক্তি (শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখাযুক্ত) সম্পাদন করে থাকেন সেটা কি কুফরি হবে? ঈমান কি চলে যাবার সম্ভাবনা আছে?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1364

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(ক) কিস্তিতে প্লট ক্রয় বিক্রয়ের সময় চুক্তিপত্রে কোনো  বিক্রেতা কোম্পানি যদি উল্লেখ করে যে, কিস্তি পরিশোধের কোনো পর্যায়ে ক্রেতা প্লট ক্রয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলে মোট পরিশোধকৃত কিস্তিমূল্য থেকে ১০% টাকা কেটে রেখে অবশিষ্ট টাকা ক্রেতাকে ফেরত প্রদান করা হবে। এভাবে জরিমানা আরোপ করা জায়েয হবে না।

(খ) প্লট ক্রয়বিক্রয়ের চুক্তিপত্রে বাংলাদেশে সাধারনত বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম বা IN THE NAME OF ALMIGHTY ALLAH, THE MERCIFUL লেখা থাকে।

এখন যদি এ ধরনের চুক্তিতে ক্রয়বিক্রয় সংক্রান্ত এমন কোনো ধারা থাকে যা শরিয়াহসম্মত নয়। সেক্ষেত্রে ক্রেতা জমি ক্রয়ের সময় শরিয়াহসম্মত নয় ঐরুপ শর্ত থাকার পরেও জমি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিক্রেতা কোম্পানির সাথে চুক্তি (শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখাযুক্ত) সম্পাদন করে থাকেন, তাহলে সেটা কুফরি হবে না। হ্যা, গোনাহ তো অবশ্যই হবে। কেননা তিনি আল্লাহ বা শরীয়তের বিধানকে অস্বীকার করছেন না। তবে আল্লাহর বিধানকে না মানার দরুণ উনার গোনাহ হবে।