শরীয়তের দৃষ্টিতে নিজ পিতা ছাড়া কাউকে বাবা বলে ডাকা,নিজ মা ব্যাতিত অন্য কাউকে মা বলে ডাকা জায়েজ নেই।
,
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ سَعْدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: «مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ، وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ، فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرَامٌ»
” যে ব্যক্তি আপন পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে মেনে নেয় অথচ সে জানে যে, সে তার পিতা নয়, তার জন্য জান্নাত হারাম। “।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১২৩)
উক্ত হাদীসের অর্থ হল, যে ব্যক্তি নিজের জন্মদাতা পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা হিসেবে মেনে নয় বা অন্য কারও সাথে জন্মগত সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠার দাবী করে তার জন্য জান্নাত হারাম। যেমন অন্য হাদীসের ভাষায়:
مَنِ ادَّعى إِلى غَيْرِ أَبيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حَرامٌ
“যে ব্যক্তি জেনে-শুনে নিজের পিতা ছাড়া অন্য কাউকে পিতা হিসেবে দাবী করে তার জন্য জান্নাত হারাম।” (বুখারী ও মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, সে কুফুরী করবে। কেননা, তখন এতে নানা ধরণের বিধি-বিধান জড়িয়ে যাবে।
,
সম্মান প্রদর্শন পূর্বক কাউকে বাবা বা মা বলে সম্বোধন করা জায়েয আছে।তবে কাউকে বাস্তবে বাবা-মার স্থান দিয়ে দেয়া বা নিজ পিতা-মাত ব্যতীত নিজেকে অন্যকারো সন্তান বলে পরিচয় দেয়া, আইডি কার্ড বা পাসপোর্টে নাম দেয়া কখনো জায়েয হবে না।এটা সম্পূর্ণই না জায়েয।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে শিক্ষককে সম্মান প্রদর্শন পূর্বক হওয়ার কারনে এমনটি বলে সম্বোধন করা জায়েজ আছে।