আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
37 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
কারো বেসিক ইলম ও হালাল-হারাম নিয়ে ধারণা আছে। সে অনেকটা সময় পর দুয়া ও ইস্তেখারার পর একটা মুযাকারায় কথা বলতে রাজি হয়েছে। এর আগে আল্লাহর ভয়ের কারণে মুখ খোলেনি। আল্লাহর কাছে দুআ করেছিল আল্লাহ যখন চান তখনই সে কথা বলবে, এর আগেনা। এরপর এক জায়গায় মুযাকারা করার জন্য এক জায়গা থেকে আবেদন আসে। যেখানের টপিক হলো কুরআন থেকে জীবনে কী শিক্ষা পাচ্ছি সেগুলো বলা। কুরআনের আয়াত থেকে একপ্রকার তাদাব্বুর করা। ব্যাখ্যা করা না।
কথা বলতে বলতে নিজে কীভাবে আমলিগত বা তাকওয়ার পথে মেহনত করা হচ্ছে বা কীভাবে চেষ্টা করা যায় এই রাস্তায় এটা বলা হয়। কিন্তু কোনোরূপ ব্যাখ্যা না। বা কোনোরূপ মাসায়ালাও প্রদান করা হয়না। শুধু কি শিক্ষাটুকু পাচ্ছি বা তাদাব্বুরের ফলে কোন কোন ভালো শিক্ষা আল্লাহ তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন সেগুলোই বোনদের মাঝে শেয়ার করা। উদ্দেশ্য বোনরা যেনো কুরআনের সাথে খুব সম্পর্কে জুড়ে যায় ও তাকওয়ার পথে কীভাবে মেহনত করতে হবে বুঝে। কারণ অনেকের অবস্থায় খারাপ। তাকওয়ার পথ কীভাবে ধরতে হবে জানা নেই। এছাড়া কুরআন তাদাব্বুর করতে অনেকেই ভয় পায় কিংবা একেবারেই বুঝেন না কিভাবে তাদাব্বুর করতে হবে। তাদাব্বুরের অংশের মধ্যে প্রায় পয়েন্ট এমন যে- আউয়াল ওয়াক্তের সলাতের উপর জোর,নারীর ঘরে কঠোর অবস্থান করা,অন্ধের মতো নজরের হিফাযত করা এবং নিজের সংশোধনের লিপ্ত থাকা। নিজের সংশোধনে কীভাবে লিপ্ত থাকতে পারি ও পরিবারে দাওয়াহ দিতে পারি। এভাবেই করে আলোচনা করা হয় মূলত।
প্রশ্ন: এভাবে কি কুরআন তাদাব্বুর নিয়ে মুযাকারা করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (637,320 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

হযরত আবু উমামা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের বললেন-

خُذُوا الْعِلْمَ قَبْلَ أَنْ يَذْهَبَ

‘ইলম অর্জন কর তা বিদায় নেওয়ার আগে’। সাহাবীগণ আরয করলেন-

وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ، وَفِينَا كِتَابُ اللَّهِ؟

আল্লাহর নবী! ইলম কীভাবে বিদায় নেবে, আমাদের মাঝে তো রয়েছে আল্লাহর কিতাব?

বর্ণনাকারী বলেন, এ কথায় তিনি রুষ্ট হলেন। এরপর বললেন-

ثَكِلَتْكُمْ أُمَّهَاتُكُمْ أَوَلَمْ تَكُنِ التَّوْرَاةُ وَالْإِنْجِيلُ فِي بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمْ شَيْئًا؟ إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ، إِنَّ ذَهَابَ الْعِلْمِ أَنْ يَذْهَبَ حَمَلَتُهُ

তোমাদের  মরণ হোক! বনী ইসরাইলের মাঝে কি তাওরাত ও ইঞ্জীল ছিল না, কিন্তু এতে তো তাদের কোনোই উপকার হল না! ইলমের প্রস্থানের অর্থ তার বাহকগণের প্রস্থান। -মুসনাদে আহমদ ৫/২৬৬; আদদারেমী ১/৮৬, হাদীস ২৪৫


আল্লামা ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘সঠিকভাবে কুরআন মাজীদের অর্থ ও তাফসীর বুঝার জন্য পনের রকমের জ্ঞানে পারদর্শী হতে হয়। যথা,
১)আরবী ভাষা,
২)ব্যাকরণ,
৩)ইলমে ছারফ,
৪)ইলমে ইশতিকাক,
৫)ইলমুল বায়ান,
৬)ইলমে বাদী‘,
৭)ইলমুল কির‘আত,
৮) ইলমু উসূলিদ্দীন,
৯) ইলমু উসূলিল ফিকহ,
১০)আসবাবে নুযূল,
১১)কাসাস বা ঘটনাবলী,
১২)নাসেখ ও মানসূখ,
১৩)ইলমে ফিকহ,
১৪)ইলমুল হাদীস এবং
১৫)ইলমে লাদুনী।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
আপনি যেহেতু তাফসীর করছেননা,শুধুমাত্র কুরআন নিয়ে কিভাবে তাদাব্বুর করা যায়,গবেষণা করা যায়,তার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেছেন,সুতরাং এটি ঠিজ আছে।

এ সম্পর্কে আলোচনা করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...