আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
24 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম
ফ্রম সামওয়াস,

১. বাচ্চা হওয়ার ঠিক কতদিন পর থেকে নামাজ শুরু করতে হয়,,আমার আজকে দেড় মাস এখনো কসের মত ব্রিডিং যার,,,কি করব???

২. আমি একটা গ্রুপের এডমিনের কাজ করছি।  এবং  ওই গ্রুপ  পরিচালনার সম্পূর্ণ  কাজ করে যাচ্ছি ।  এই গ্রুপটা অফলাইনে বোনেরা তাদের মা বোনকে  এবং  প্রতিবেশী কে কিভাবে  তালিম দিতে হয় তা শিখানে হয়।  এবং  সাথে  তাদেরকে আমলের দিক দিয়ে  প্রস্তুত করা হয়।  একটি আমল চার্ট  দেওয়া  হয় ফলো করার জন্য ।  যেটা থেকে প্রতিদিন আমলের আপডেট  নেওয়া  হয়।  আমল গুলোর মধ্যে  কিছু  পয়েন্ট  যোগ করে দেওয়া  হয়েছিল এমনিতেই  যেনো তারা প্রতিদিনের হিসাবটা করে এবং  দেখে তাদের মার্কটা কতো হয়েছে। আগের দিন থেকে আজকের দিনে ভালো হয়েছে নাকি আরো অবনতি হয়েছে। পয়েন্ট  গুলো  বসানোর উদ্দেশ্য  হলো যে  সারাদিনের আমল করার পর রাতে যখন খাতা নিয়ে  বসবে  তখন যেনো তাদের আমল নামার হিসাবটা চোখে পড়ে।  তবে এই পয়েন্ট গুলো যখন যা আসছে মাথায় তা বসানো হয়েছে। নির্ধারিত  করে বা অমুক আমল করলে এতো পয়েন্ট বা নেকি পাবেন এরকম করে বসানো হয় নি।  ঠিক তাদের অভ্যাস হওয়ার জন্য  যেনো তারা তাদের আমলের হিসাবটা করে সেই নিয়তে বসানো হয়েছে।  এখন কথা হচ্ছে  এইরকম করে কাজ করাটা কি আমার সঠিক হয়েছে।  বা এই রকম করে আমার গ্রুপ চালানো টা কি সঠিক হবে?


৩.
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
আযানের জবাব প্রসঙ্গে জানতে চাইছি

১।আযানের সময় ওয়াশরুমে বা অন্য কোনো কারণে আযানের জবাব দিতে না পারলে ুকটু পরে যদি সেই ব্যাস্ততা শেষ হয়ে যায় এবং ততক্ষণে আযান ও শেষ হয় তখন কি নিজে নিজে আযানের জবাব দিতে হবে? দিয়ে দোয়া পড়তে হবে?

২।আযান শেষ এ দরুদ পড়তে হয় ও আযানের দোয়া পড়তে হয়। তো একটা যে দোয়া আছে """আল্লাহুমা রব্বা হাজিহিদ দাওয়াতিত তাম্মাহ ওয়াস স্বলাতিল ক্বয়িমাতি মুহম্মাদানিল.............."" এটা কি দোয়া নাকি দরুদ।এটা পড়লেই কি দরুদ ও দোয়া পড়া দুটোই হয়ে যায়?? নাকি আলাদা কিছু আছে? জানাবেন মিন ফাদ্বলিগ

৩।দুরে কোথাও আযান শুনে আযানের জবাব দিচ্ছি এমন সময় কাছের মসজিদে আযানের কারণে দুরের টা আর শোনা যায়না এমতাবস্থায় কি করবো??

৪।বা গাড়িতে করে যাচ্ছি তখন আযানের শুরু থেকে শুনতে না পেয়ে মাঝে বা কিছু পরের লাইল শুনতে পেলাম আবার যেহেতু চলন্ত গাড়ি তাই কিছুদুর যাওয়ার পরে সেই আযান টা আর শোনা যায়না তখন কিভাবে আয়ানের জবাব দিবো?

৫।একসাথে কয়েকটা মসজিদে আযান হচ্ছে একটাও ভালো মতো বোঝা যায়না এমন সময় কিভাবে জবাব দিবো।

অনেক কনফিউশান এ থাকি এসব নিয়ে।একটু জানালে মুনাসিব হয়।
যাযাকুমুল্লাহ

Please log in or register to answer this question.

0 votes
by (635,610 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি ৪১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরবেন।
এসময়ে নামাজ সহ অন্যান্য ইবাদত করবেন।

ব্লিডিং চলমান থাকলে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
তারপর থেকে আপনি হায়েজ ধরবেন। এমতাবস্থায় আপনার পূর্বের মাস গুলোর  অভ্যাস এর দিন হিসেবে হায়েজ ধরবেন। 

(০২)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 

(০৩)

১. কোনো কারণে আযানের সময় জবাব না দেওয়া সম্ভব না হলে বা ভুলে গেলে আযান শেষ হওয়ার পরপরই আযানের জবাব দেওয়া যাবে।
তবে এটি জরুরী নয়।
না দিলে কোনো সমস্যা নেই,বা এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

২. এটা দোয়া। দরুদ নয়।
এটা পড়লে দরুদ ও দোয়া পড়া দুটোই হয়ে যায়না।

দরুদ আলাদা ভাবে পড়বেন।
এক্ষেত্রে উত্তম হলো আযানের শেষ সংক্ষিপ্ত দরুদ হলেও পাঠ করে জবাব এর উক্ত দোয়া পড়া।

৩. নিজ মহল্লার মসজিদের মসজিদের আজানের জবাব দিবেন।

৪. এমতাবস্থায় আপনি আযানের বাকি জবাব নিজে নিজেই দিয়ে দিবেন।

৫. নিজ মহল্লার মসজিদের মসজিদের আজানের জবাব দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

–1 vote
1 answer 193 views
0 votes
1 answer 312 views
...