আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারাকাতুহ।
আমি জানি যে হায়েজ এর সর্বোচ্চ সীমা ১০ দিন ১০ রাত।আমার মুলত সাতদিন কি ছয়দিন এর দিন ভালো হয়ে যায়। তো লাস্ট দুই মাস যাবত আমি ভালো হয়ে গেছি মনে করে নামাজ পড়লেও প্রায় এক বা দের দিন  পর আবার পিরিয়ড এর যে বিভিন্ন রঙ থাকে সেইরকম দেখতে পাই।

এই মাসে আমি ছয়দিন এর দিন ভালো মনে করে নামাজ পড়ি সবই করি।সাতদিনের দিন আমি সাদাস্রাব ও দেখতে পাই।কিন্তু আট দিনের দিন আমি আজ লাল/সাদা/কালচে এই তিন রং মিলে মুলত সাদাস্রাব দেখি।এশা এর ওয়াক্ত। আমি সন্দেহে ছিলাম যে পিরিয়ড ধরব কিনা।কিন্তু আমি ত এর আগের দিন ও সাদাস্রাব দেখতে পাই।এই জন্য সালাত আদায় করি।কোন রকম পাক-পবিত্র হওয়া ছাড়া।
১)আমার প্রশ্ন আমি কি এইটা সাদাস্রাব ধরব নাকি হায়েজ?

২) যদি এইটা হায়েজ এর অন্তর্ভুক্ত হয় আমি যে মুসল্লায় নামাজ পড়েছি আর যে হিজাব দিয়ে পড়েছি সেগুলা ধোয়ার প্রয়োজন আছে?.

৩) বয়কট ইন্ডিয়ান প্রডাক্ট এর ক্ষেত্রে এদের প্রডাক্ট কিনতে এবং ব্যবহার করতে মানা করা হচ্ছে।অবশ্য করাও উচিত।কিন্তু আমাদের ঘরে বেশ কিছু স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট আগে থেকেই ছিল। এখন এইগুলা কি ব্যবহার করা উচিত কি আমার?

৪) আমি এই ওয়েবসাইট এ দেখেছি নিজেকে ইচ্ছাকৃত অন্য ধর্ম বললে সে কাফির হয়ে যায়।আরও বিভিন্ন প্রশ্ন দেখেছি।এইগুলা আমার মাথায় শুধু ঘুরে।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছ আমি যদি অন্য কাওকে ইচ্ছায়/ অনিচ্ছায় (বা ওয়াস ওয়াসায় পতিত হয়ে) ইত্যাদি ভেবে  কুধারনা করলে অর্থাৎ সে কাফের,মুশরিক,মুরতাদ এইগুলা মনে মনে বললে কি আমার গুনাহ হবে? আমি মনে মনে ভাবতে ভাবতে এইগুলা এসে পড়ে।পরে মনে হল এইগুলা ঠিক না। আসলে আমি নিজেও চাই না হঠাৎ এসে পরে।মুখ দিয়ে উচ্চারণ করি নাই।আমার অন্তরে তাদের এইগুলা ভাবার নিয়ত নাই কিন্তু অন্তরে এসে পরে।যদি কখনো মুখ দিয়ে উচ্চারণ হয়ে যায় তখন কি করনীয়?

হঠাৎ এমন ভাবে একটা কথা মাথায় আসল যে,, তারা যদি আসলেই এইগুলা করে থাকে তাহলে এরকম মুরতাদ্দের নিয়ে থাকা কেমনে সম্ভব। এই ব্যপারটি খুব ভয় দিচ্ছে।

কারন আমার ভাবনার কারনেই এইগুলা,তাদের নিয়ত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আমি অবগত নই।কিন্তু আমার মস্তিষ্কে এইগুলা এসে পরে।নিজের জন্য ও আসে কিন্তু আমি চাইনা।

আমার এহেন আচরনে গুনাহ হবে কি? ইচ্ছা/অনিচ্ছা তাদের বললে ভাব্লে?যদিতা আমার নিয়ত এ নেই আমি বিষয় গুলা না চাই বাট মুখ দিয়ে বের হতে চায় ব্যাপারগুলা

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/9904/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে 
আট দিনের দিন আপনি লাল/সাদা/কালচে এই তিন রং মিলে সাদাস্রাব দেখেন।

এখানে এটি নেপকিনে দেখা হলে যেহেতু সেটাকে স্পষ্ট সাদা কালারের স্রাব বলা যাবেনা।
আর এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ পড়া যাবেনা।
দশদিন পরেও যদি এমন কিছু আসে,তাহলে সেটিকে ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা ধরা হবে। 
তখন নামাজ পড়তে হবে।

★তবে স্পষ্ট সাদা কালারের হলে নামাজ  আদায় করতে হবে।

আরো জানুনঃ 

(০২)
যদি তাতে হায়েজের চিন্হ (দাগ) পাওয়া যায়,তাহলে সেটি পাক করতে হবে।

(০৩)
হ্যাঁ ব্যবহার করা উচিত।
কেননা এগুলো ফেলে দিলে আপনারই অর্থনৈতিক ক্ষতি। 
এতে তাদের কোনো ক্ষতি হবেনা।
কেননা তারা তো আপনার কাছে বিক্রয় করে লাভ নিয়েই ফেলেছে।
এগুলো ফেলে দিলে আপনারই ক্ষতি হবে। 
তাই এগুলো ব্যবহার করাই উচিত।

(০৪)
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।

তবে এহেন চিন্তা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন।
বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
এসব চিন্তা মাথায় আসলেই 
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم 
পড়বেন।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 306 views
...