আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
26 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। ছোটবেলায় আমার বাবা আমাকে কিছু স্বর্ণ ব্যবহার করতে দেন যেমন: গলার চেইন, হাতের চুড়ি, কানের দুল। বালেগ হওয়ার পরও আমি সেগুলো ব্যবহার করতে থাকি এবং তখন আমার ব্যাংক একাউন্টে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ছিল। আমি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া সত্ত্বেও আমার পক্ষে কুরবানী করা সম্ভব ছিল না কারণ আমার কাছে নগদ অর্থ ছিলনা, যা ছিল সব ব্যাংকে জমা। প্রতিবছর আমার বাবা পরিবারের সবার পক্ষ থেকে একটি গরু ও ছাগল কুরবানী করতেন। তাহলে কি আমার পক্ষ থেকে কুরবানী হয়ে গেছে?  নাকি আমাকে অতীত বছরগুলোর কুরবানির টাকা সাদাকাহ করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (76,110 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/81414/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

,

শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

ولو تركت التضحية ومضت ايام النحر تصدق….. بقيمتها غنى شراها اولا لتعلقها بذمته بشرائها اولا، والمراد بالقيمة قيمة شاة تجزئ فيها وتحته فى الشامى قيمة شاة وسط (الدر المختار مع الشامى-9/463-465

সারমর্মঃ- কেহ যদি কুরবানী ছেড়ে দেয়,এবং কুরবানীর নির্দিষ্ট দিন গুলি অতিবাহিত হয়ে যায়,তাহলে একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করবে।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

,

১. শরীয়তের বিধান হলো যে ব্যাক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে, সে যদি কুরবানীর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে তার ওয়াজিব কুরবানী আদায় না করে, সেক্ষেত্রে তার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

পুরো টাকা একবারে সাদাকা করা আবশ্যক নয়। অল্প অল্প করে যেমন ৫০০ টাকা/ ১০০০ টাকা এভাবেও সাদকাহ করা যাবে।

,

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু আপনার মালিকানায় নেসাব পরিমান সম্পদ ছিলো। তাই আপনার উপর আলাদা ভাবে কুরবানী করা আবশ্যক ছিলো। সুতরাং যদি আপনার বাবা বিগত বছরগুলোতে আপনার অনুমতি নিয়ে গরুর সপ্তমাংশের মধ্যে আপনার পক্ষ থেকেও কুরবানী করে থাকে তাহলে বিগত বছরগুলোর কুরবানী এখন আর আপনাকে করা লাগবে না। আর যদি না করে থাকে তাহলে বিগত প্রত্যেক বছরের জন্য সেক্ষেত্রে আপনার উপর উপর আবশ্যক হল, একটি কুরবানী করা যায় এমন বকরীর মূল্য সদকা করা।

পুরো টাকা একবারে সাদাকা করা আবশ্যক নয়। অল্প অল্প করে যেমন ৫০০ টাকা/ ১০০০ টাকা এভাবেও সাদকাহ করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...