আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি একজন অবিবাহিত মহিলা। আমার বিয়ের আলাপ চলছে খুব সুশিক্ষিত আর দ্বীনদার একজনের সাথে। আমি প্রায় ৪/৫ বার ইস্তেখারা করেছি। দিন রাত দোয়া করেছি যাতে বিবাহ হলে কল্যানের সাথে হয়। আমি রাতে সেই পাত্রের বিষয়ে ইসতেখারা করলাম।সেদিন  ফজরের পর সকালে একটু ঘুমালাম  আর একটি খারাপ স্বপ্ন দেখলাম।স্বপ্ন টি এমন ছিল-

আমার বিয়ে হল সম্ভবত যে পাত্রের সাথে বিয়ের আলাপ হচ্ছে তার সাথে । আর আমি তাকে শীর্ন, কদাকার, দরিদ্র স্বামী রুপে দেখতে পেলাম।তাকে বেনামাজি হিসেবে দেখতে পেয়ে আরো আতকে উঠলাম।আর আমি দেখতে পেলাম আমার একটা কন্যাসন্তান হলো। আমার কষ্ট আর হতাশাটি আরো দীর্ঘায়িত হল। স্বপ্নে দেখা স্বামী টি অস্বীকার  করলেন কন্যা সন্তানের দ্বায়িত্ব নিতে বলায়।আমি কষ্টে দুঃখে, স্বপ্নে দেখা  স্বামীর দ্বীনহীনতায়, বিশ্বাস ঘাতকতায় অতিষ্ঠ হয়ে তালাক চেয়ে তার নিকট হতে বিদায় নিলাম। আর বাসায় এসে নিজের পরিবারকে অভিযোগ করে বললাম,  কেন আমার ইসতেখারার ফলাফল  নেতিবাচক অনুভব করার পরও তোমরা আমাকে বিয়ে দিলে এই পাত্রের সাথে ? এখন আমি কিভাবে সন্তান পালন করবো, কিভাবে একা জীবন যাপন করবো! এতটুকু দেখার পর ঘুম ভেঙে গেল।
এই হলো স্বপ্ন। আমার কি করা উচিত?মন কেমন যেন অজানা আতঙ্কে ভরে উঠেছে।আমি কি বিয়ে করবো না এই মানুষকে? পরিবার আমাকে বিদ্রুপ করছে স্বপ্ন টি বলায়।তারা বলছেন আমি নাকি ওলি হয়ে গেছি। কিন্তু তাদের কে বোঝাতে পারছি না যে, আমি সত্যি এই ভয়াবহ স্বপ্নটি দেখেছি। আমার পরিবার চাচ্ছে আমার বিয়ের আলাপ অগ্রসর করতে।আমি কি বোঝবো?
১. এটা কি আল্লাহ তরফ হতে ইসতেখারা করার ফলাফল হিসেবে সতর্কবার্তা?
২. নাকি শয়তানের তরফ হতে দুঃস্বপ্ন?
৩. আমার পরিবারের জানামতে পাত্র অনেক দ্বীনদার, অমায়িক। কিন্তু স্বপ্নে দেখলাম সম্পুর্ন বিপরীত চরিত্রে।

জনাব দয়া করে উত্তর দিয়ে আমাকে সাহায্য করুন।বিবাহ একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে গভির প্রভাব ফেলে।আমি কি করতে পারি এখন?

1 Answer

0 votes
by (665,010 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার অর্থ হল, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে রাব্বে কারীমের মদদ আর সাহায্য কামনা করা। সেটা হয়তো স্বপ্নের মাধ্যমে কাউকে ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে আবার কারো অন্তরে সেদিকে টান অনুভব সৃষ্টি করা হতে পারে। যাইহোক, যতদিন না কোনো একদিকে মন স্থির হচ্ছে ততদিন ইস্তেখারা করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।

বিঃদ্রঃ
বর্ণিত স্বপ্নটি নেগেটিভই মনে হচ্ছে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...