বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
(يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ ، مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ ، فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ ، وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ ، وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)
হে যুবকদের দল! তোমাদের মধ্যে যারা সামর্থবান,তারা যেন বিয়ে করে নেয়।কেননা বিয়ে চক্ষুকে নিচু রাখে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে।আর যাদের বিয়ের সামর্থ্য নেই তারা যেন রোযা রাখে।কেননা রোযা ঢাল স্বরূপ।(সহীহ বোখারী-১৯০৫,সহীহ মুসলিম-১৪০০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেই রোগের যেই ঔষধ সেই ঔষধ আমাদেরকে গ্রহণ করতে হবে। এটা পরিহার করে অন্য ঔষধ গ্রহণ করা চেষ্টা করলে কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন। হস্তমৈথুন থেকে বাচতে বিয়ে করাই চিকিৎসা। যদি বিয়ে করা সম্ভব না হয়, তাহলে খাবার গ্রহণকে কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে এবং লাগাতার রোযা রাখতে হবে যতদিন না শরীরে দুর্বলতা এসে জৈবিক চাহিদাকে দূরে সরিয়ে দেয়।
যদি পরিবার বিয়ের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে,তাহলে এক্ষেত্রে অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিত বিয়ে করে নেওয়াও অনুচিত হবে না।এমনকি তখন নিজের ঈমান আমলের হেফাজতে যে কোনো ভাবে বিয়ে করে নেয়াটাই জরুরী হবে।
মনে রাখতে হবে,
জৈবিক চাহিদা পূরণের জন্য হস্তমৈথুন কোনো সমাধান নয়, বরং প্রকারান্তরে এটা ভবিষ্যতে সংসার ধ্বংসকারী রূপ ধারণ করতে পারে। যদি কেউ শতচেষ্টার পরও বিবাহ করতে ব্যর্থ হয়, অথবা স্ত্রী থেকে দূরে থাকে, তাহলে নিজের ঈমান হেফাজতের জন্য সাময়িক হস্তমৈথুন বৈধ হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4344