আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
16 views
ago in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
১. নামাজে মধ্যে যদি বুঝতে পারি ইমাম সাহেবের তিলওয়াত শুদ্ধ নয় তাহলে করনীয় কি? ঐ নামাজ কি আবার পড়তে হবে??

২. যদি কারো পরীক্ষা থাকে তাহলে দুআ করতে গিয়ে কি  পরীক্ষার তারিখ বা সময় উল্লেখ করে দুআ করা যাবে কি?? এতে কোন সমস্যা আছে কি??

1 Answer

0 votes
ago by (634,530 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,


ألا كُلُّكُمْ راعٍ ، وكُلُّكُمْ مَسؤولٌ عن رَعِيَّتِهِ’


 তোমরা প্রত্যেকে দায়িত্বশীল আর তোমাদের প্রত্যেককে সে দায়িত্ব সম্পর্কে জবাব দিতে হবে।’ ( বুখারি ৭১৩৮)


সুতরাং যোগ্য ইমাম নির্বাচন করার ক্ষেত্রে মসজিদ কমিটি দায়িত্বশীল। জেনে শুনে অযোগ্য ব্যক্তিকে ইমাম নিয়োগ দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ (বিশেষতঃ মসজিদ কমিটিকে) সমাজের সকলের হক নষ্টকারী হিসেবে আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।


নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমাম ও মুয়াযযিনের ব্যাপারে বলেছেন,

ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺿﺎﻣﻦ ﻭﺍﻟﻤﺆﺫﻥ ﻣﺆﺗﻤﻦ، ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺃﺭﺷﺪ ﺍﻷﺋﻤﺔ ﻭﺍﻏﻔﺮ ﻟﻠﻤﺆﺫﻧﻴﻦ

‘ইমাম হচ্ছে দায়িত্বশীল আর মুয়াজ্জিন আমানতদার, হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ দেখান এবং মুয়াজ্জিনদেরকে ক্ষমা করুন’। (তিরিমিযী ২০৭)


এজন্য মসজিদ কমিটির দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কর্তব্য হল, কোরআন-সুন্নাহর যথাযথ অনুসারী,সঠিক কিরাআত আদায় কারী যোগ্য ইমাম নির্বাচন করা।

কেননা নামাজে কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন্থী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।

فى الفتاوى الهندية – ولا يصح اقتداء القارئ بالأمي


উম্মির(অর্থাৎ যার কেরাত অশুদ্ধ) পিছনে ক্বারীর(অর্থাৎ যার ক্বিরাত বিশুদ্ধ) ইকতিদা সহীহ নেই। ফাতাওয়া শামী- ২/৩২৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৪৩-১৪৪, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া-২/২৫৬


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

আপনাদের মসজিদে যদি এমন কেউ নামায পড়ান, যাদের তিলাওয়াত এই প্রকারের হয় যে, অর্থ বদলে যাচ্ছে, তাহলে এমতাবস্থায় নামায হবে না। 


তবে যদি মুক্তাদিদের মধ্যে এর চেয়ে ভালো তিলাওয়াকারী কেউ না থাকে, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবেনা।যার তিলাওয়াত এর চেয়ে ভালো মানের হবে, তারজন্য উক্ত ইমামের পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না।


আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/96294/


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ইমামের তিলাওয়াতে কুরআনের অর্থের বিকৃতি সাধন করে,সেক্ষেত্রে  আপনি জনগনকে বুঝিয়ে সেই ইমাম পরিবর্তন করানোর সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।


নিজে অথবা স্থানীয় হক্বানী উলামায়ে কেরামের মাধ্যমে কমিটির লোকদেরকে ভালো ভাবে বুঝাবেন যে, ইমামের তিলাওয়াতে কুরআনের অর্থের বিকৃতি সাধন করে।  


এবং আপনি নিজে বিশুদ্ধ তিলাওয়াত কারী হলে সেক্ষেত্রে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করবেন,ইমাম পরিবর্তন হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি পার্শবর্তী এলাকার ভিন্ন মসজিদে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করবেন।


(০২)

পরীক্ষার তারিখ বা সময় উল্লেখ করে দুআ করা যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই 

তবে এটি অপ্রয়োজনীয় একটি কাজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 342 views
...