আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
edited by

اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللّٰهِ وَبَرَكَاتُهُ

 

১। সেক্যুলারিজমে বিশ্বাসী ব্যক্তি কাফের, যতই সালাত আদায় করুক আর হজ্ব করে আসুক। কাজ হবে না। এগুলো কুফরি মতবাদ। এগুলো বিশ্বাস করলে কাফের হয়ে যাবে। হজ্ব করে আসলেও কাজ হবে না। সেক্যুলারিজম অন্তর থেকে দূরে সরিয়ে দিতে হবে

 

২। ক্লাসেরবেঞ্চে ছাত্রের সাথে ছাত্রীর বসাটা ফিতনার সবচেয়ে বড় কারণগুলির অন্তর্ভুক্ত।

 

৩। একজন মুসলিম সেকুলার হতে পারে না, আর কেউ সেকুলার হলে মুসলিম থাকতে পারে না।

 

ওস্তায, এগুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 
(أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ) [البقرة: 85]

তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশে ঈমান রাখ আর কিছু অংশ অস্বীকার কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা তা করে দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ব্যতীত তাদের কী প্রতিদান হতে পারে? (সূরা বাক্বারাহ ২:৮৫)।

অপর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

وَالَّذِينَ كَفَرواْ وَكَذَّبُواْ بِآيَاتِنَا أُولَـئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ

আর যে লোক তা অস্বীকার করবে এবং আমার নিদর্শনগুলোকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার প্রয়াস পাবে, তারাই হবে জাহান্নামবাসী; অন্তকাল সেখানে থাকবে।[বাকারাহ : ৩৯ ]

সেক্যুলারিজম (Secularism) হলো রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মকে পৃথক করে চলা — অর্থাৎ, ধর্মীয় বিধান ও রাষ্ট্রীয় শাসন আলাদা থাকবে। এ দর্শনে ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়, রাষ্ট্রীয় আইনে ধর্মের হস্তক্ষেপ নেই।

এটি একটি কুফরি মতবাদ। 
সেক্যুলারিজমে বিশ্বাস করলে কুরআনের শত শত আয়াতকে অমান্য করা হয়ে যায়। কেননা কুরআনের শত শত আয়াত রাষ্ট্রীয় আইন ব্যতীত বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যেমন চোরের হাত কাটা, জেনাকারীর শাস্তি কিসাস যাবতীয় দন্ড বিধি ইত্যাদি। 

https://www.ifatwa.info/11844 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে,
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুন, হে কাফেরকূল,
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।(সূরা কাফিরুন)

আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।(সূরা ইখলাছ)

এ সম্পর্কে দু-একটি আয়াত লক্ষণীয় যেমনঃ-
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৪)

ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤُﻮﻥَ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৫)

ﻭَﺃَﻥِ ﺍﺣْﻜُﻢ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢ ﺑِﻤَﺂ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻻَ ﺗَﺘَّﺒِﻊْ ﺃَﻫْﻮَﺍﺀﻫُﻢْ ﻭَﺍﺣْﺬَﺭْﻫُﻢْ ﺃَﻥ ﻳَﻔْﺘِﻨُﻮﻙَ ﻋَﻦ ﺑَﻌْﺾِ ﻣَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﺇِﻟَﻴْﻚَ
আর আমি আদেশ করছি যে, আপনি তাদের পারস্পরিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী ফয়সালা করুন; তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না এবং তাদের থেকে সতর্ক থাকুন-যেন তারা আপনাকে এমন কোন নির্দেশ থেকে বিচ্যুত না করে, যা আল্লাহ আপনার প্রতি নাযিল করেছেন।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৯)

 ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘُﻮﻥَ
যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪)

অর্থাৎ যারা আল্লাহর আইনকে অস্বীকার করবে,তারা কাফির। আর আল্লাহর আইনকে অস্বীকার না করলে সে হয়তো জালিম বা ফাসিক হবে। বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন। জাযাকাল্লাহ।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
আল্লাহ তাআলা বলেন,

زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاء

মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে নারী…। (সূরা আলি ইমরান ১৪)

আল্লাহ তা'আলা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেনঃ- 

ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ

তরজমাঃ তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।(সূরা-আহযাব-৩৩)

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

مَا تَرَكْتُ بَعْدِي فِتْنَةً أَضَرَّ عَلَى الرِّجَالِ مِنْ النِّسَاءِ

আমি আমার পরে মানুষের মাঝে পুরুষদের জন্য নারীদের চাইতে অধিকতর ক্ষতিকর কোন ফিতনা রেখে যাই নি।(বুখারী ৪৮০৮ মুসলিম ২৭৪০)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,

الْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ ، وَإِنَّهَا إِذَا خَرَجَتِ اسْتَشْرَفَهَا الشَّيْطَانُ ، وَإِنَّهَا لا تَكُونُ أَقْرَبَ إِلَى اللَّهِ مِنْهَا فِي قَعْرِ بَيْتِهَا

‘নারী গোপন জিনিস, যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে তাড়া করে। আর সে আল্লাহ তাআলার সবচে’ নিকটতম তখন হয় যখন সে নিজের ঘরের মাঝে লুকিয়ে থাকে।’ (তাবরানী ২৯৭৪)

হযরত উম্মে  হুমাইদ আস সাআদী রাযি. থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাই। নবী করীম ﷺ উত্তরে বললেন,

 قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلاةَ مَعِي وَصَلاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ وَصَلاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلاتِكِ فِي دَارِكِ وَصَلاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَصَلاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِي قَالَ فَأَمَرَتْ فَبُنِيَ لَهَا مَسْجِدٌ فِي أَقْصَى شَيْءٍ مِنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهِ فَكَانَتْ تُصَلِّي فِيهِ حَتَّى لَقِيَتْ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ

‘আমি ভালো করেই জানি, তুমি আমার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাও। কিন্তু তোমার জন্য তোমার রুমে নামাজ আদায় করা অন্য রুমে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার ঘরের কোনো রুমে আদায় করা বাড়িতে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার  বাড়িতে নামাজ আদায় করা কওমের (এলাকার ) মসজিদে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার কওমের (এলাকার ) মসজিদে নামাজ আদায় করা আমার পিছনে নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। এরপর ঐ মহিলা তার অন্ধকার কুঠরিতে নামাজের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে নেয়। এবং মৃত্যু পর্যমত সেখানেই নামাজ আদায় করতে থাকে।’ (মুসনাদে আহমাদ ৩৭/৪৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
"ক্লাসের বেঞ্চে ছাত্র ও ছাত্রীর একসাথে বসা ফিতনার অন্যতম বড় কারণ” 

নিচে এর কারণগুলো যুক্তিসহ তুলে ধরা হলো:

১. নারী-পুরুষের অবাধ মিশ্রণ ইসলামে নিষিদ্ধ।

ইসলাম নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সতর্ক দৃষ্টি, পর্দা এবং সীমিত মেলামেশা নির্দেশ করেছে। কারণ, অবাধ মেলামেশা ধীরে ধীরে ফিতনা (বিপদ, ব্যভিচার, চরিত্রহানি) ডেকে আনে।

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

“তোমরা যিনা’র ধারে-কাছেও যেয়ো না, নিশ্চয় এটি অশ্লীল কাজ এবং খুবই খারাপ পথ।”
(সূরা আল-ইসরা, ১৭:৩২)

যদিও ‘একসাথে বসা’ সরাসরি যিনা নয়, কিন্তু এটি অনেক সময় প্রথম ধাপ বা মুখোমুখি প্রলোভনের সূত্রপাত হয়ে দাঁড়ায়।

২. দৃষ্টি এবং দৃষ্টির প্রলোভন

হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন-

اَلْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظْرُ وَالْاُذُنَانِ زِنَاهُمَا الْاِسْتِمَاعُ وَاللِّسَانُ زِنَاهُمَا الْككَلَامُ وَالْيَدُ زِنَاهُمَا الْبَطْشُ وَالرِّجْلُ زِنَاهُمَا الخُطَا وَالْقَلْبُ يَهْوِىْ وَيَتَمَنَّى وَيُصَدِّقُ ذَالِكَ الْفَرْجُ اَوْ يُكَذِّبُه

“দুই চোখের ব্যভিচার হল হারাম দৃষ্টি দেয়া, দুই কানের ব্যভিচার হল পরনারীর কণ্ঠস্বর শোনা, যবানের ব্যভিচার হল অশোভন উক্তি, হাতের ব্যভিচার হল পরনারী স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হল গুনাহর কাজের দিকে পা বাড়ান, অন্তরের ব্যভিচার হল কামনা-বাসনা আর গুপ্তাঙ্গঁ তা সত্য অথবা মিথ্যায় পরিণত করে।” (মেশকাত ১/৩২)

যখন ছেলে-মেয়ে কাছাকাছি বসে, স্বাভাবিকভাবেই দৃষ্টি ও মনের আকর্ষণ জন্মায়। প্রথমে নিরীহ মনে হলেও সময়ের সাথে তা অন্তরগত মোহ, সম্পর্ক এবং অবৈধ কাজের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

৩. শয়তান ধাপে ধাপে প্ররোচনা দেয়

রাসূল ﷺ বলেছেন:
"তোমাদের কেউ যেন কোন নারী সঙ্গে একাকী না থাকে, কারণ তৃতীয় ব্যক্তি হয় শয়তান।"
(বুখারী ও মুসলিম)

যদিও ক্লাসরুম একাকী না, তবে একই বেঞ্চে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হলে শয়তান ধীরে ধীরে গোপন সম্পর্ক, হাসি-ঠাট্টা, নম্বর আদান-প্রদান, চ্যাট ইত্যাদি দ্বারা ফিতনা সৃষ্টি করে।

৪. মানবস্বভাবই আকর্ষণের দিকে ঝুঁকে পড়ে

ছেলে ও মেয়ে উভয়ের মধ্যেই একে অপরের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণ থাকে।

কাছাকাছি বসলে শারীরিক ভাষা, কণ্ঠ, হাসি, স্পর্শের আশঙ্কা, কথোপকথন — এসব ধীরে ধীরে পবিত্রতা ও আত্মসংযম নষ্ট করতে পারে।

৫. পরবর্তীতে সম্পর্ক, প্রেম, এবং ব্যভিচার — সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে

অনেক সময় বেঞ্চে শুরু হওয়া বন্ধুত্ব গোপন প্রেমে রূপ নেয়।

পরিবার ও সমাজে অনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।
বিবাহপূর্ব প্রেমিক-প্রেমিকার সংখ্যা বাড়ে।

এটি কেবল ব্যক্তিগত গুনাহ নয়, সমগ্র সমাজে চরিত্র ও নৈতিকতার অবক্ষয়ের কারণ হয়।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

(০৩)
সেক্যুলারিজম (Secularism) হলো রাষ্ট্র বা সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মকে পৃথক করে চলা — অর্থাৎ, ধর্মীয় বিধান ও রাষ্ট্রীয় শাসন আলাদা থাকবে। এ দর্শনে ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়, রাষ্ট্রীয় আইনে ধর্মের হস্তক্ষেপ নেই।

সুতরাং সেক্যুলারিজম একটি কুফরি মতবাদ।
তাই কেহ যদি আল্লাহর শারিয়াহকে বাতিল বা ভুল বলে মনে করে, সেক্যুলারিজমকে শ্রেষ্ঠ মানে,তার ঈমান থাকবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...