আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
560 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (38 points)
edited by
  1. অনেক মুসলিম রয়েছে যারা সমকামিতা, বাবার সাথে ছেলের , ছেলের সাথে মায়ের তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক কে হালাল মনে করে তাদের জবাব দেয়া যাই কিভাবে কোরান আর সুন্নাহ এর মাধম্মে ?
  2. সেক্যুলারিজম কি জিনিস ? কেন এটা ইসলাম এর বিরুদ্ধে ?
  3. Ghazwa-e-Hind এটা কোন হাদিস ? এখানে হিন্দুস্তান এর সাথে যে যুদ্ধের কথা বলা আছে ইটা আসলে কি বুঝায় ?
  4. মনোলিথ কি জিনিস এটা কি আমাদের ইসলাম এর সাথে কোন সম্পর্ক আশে ?এই বিষয়ে একটা লিংক নিচে দেয়া হল  https://en.wikipedia.org/wiki/List_of_works_similar_to_the_2020_Utah_monolith

1 Answer

0 votes
by (709,320 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
  • (১)আল্লাহ তা’আলা বলেন,
وَلُوطًا إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ أَتَأْتُونَ الْفَاحِشَةَ مَا سَبَقَكُم بِهَا مِنْ أَحَدٍ مِّن الْعَالَمِينَ
এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ?
إِنَّكُمْ لَتَأْتُونَ الرِّجَالَ شَهْوَةً مِّن دُونِ النِّسَاء بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ مُّسْرِفُونَ
তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।
وَمَا كَانَ جَوَابَ قَوْمِهِ إِلاَّ أَن قَالُواْ أَخْرِجُوهُم مِّن قَرْيَتِكُمْ إِنَّهُمْ أُنَاسٌ يَتَطَهَّرُونَ
তাঁর সম্প্রদায় এ ছাড়া কোন উত্তর দিল না যে, বের করে দাও এদেরকে শহর থেকে। এরা খুব সাধু থাকতে চায়।
فَأَنجَيْنَاهُ وَأَهْلَهُ إِلاَّ امْرَأَتَهُ كَانَتْ مِنَ الْغَابِرِينَ
অতঃপর আমি তাকে ও তাঁর পরিবার পরিজনকে বাঁচিয়ে দিলাম, কিন্তু তার স্ত্রী। সে তাদের মধ্যেই রয়ে গেল, যারা রয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের উপর প্রস্তর বৃষ্টি বর্ষণ করলাম।
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا فَانظُرْ كَيْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُجْرِمِينَ
অতএব, দেখ গোনাহগারদের পরিণতি কেমন হয়েছে।(সূরা আরাফ-৮০--৮৪)

আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র বলেন,
كَذَّبَتْ قَوْمُ لُوطٍ الْمُرْسَلِينَ
লূতের সম্প্রদায় পয়গম্বরগণকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
إِذْ قَالَ لَهُمْ أَخُوهُمْ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ
যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বললেন, তোমরা কি ভয় কর না ?
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيعُونِ
অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর।
وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى رَبِّ الْعَالَمِينَ
আমি এর জন্যে তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্ব-পালনকর্তা দেবেন।
أَتَأْتُونَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِينَ
সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمْ رَبُّكُمْ مِنْ أَزْوَاجِكُم بَلْ أَنتُمْ قَوْمٌ عَادُونَ
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্যে যে স্ত্রীগনকে সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।
قَالُوا لَئِن لَّمْ تَنتَهِ يَا لُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ الْمُخْرَجِينَ
তারা বলল, হে লূত, তুমি যদি বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাকে বহিস্কৃত করা হবে।
قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ الْقَالِينَ
লূত বললেন, আমি তোমাদের এই কাজকে ঘৃণা করি।
رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এবং আমার পরিবারবর্গকে তারা যা করে, তা থেকে রক্ষা কর।
فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ
অতঃপর আমি তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করলাম।
إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ
এক বৃদ্ধা ব্যতীত, সে ছিল ধ্বংস প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ
এরপর অন্যদেরকে নিপাত করলাম।
وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا فَسَاء مَطَرُ الْمُنذَرِينَ
তাদের উপর এক বিশেষ বৃষ্টি বর্ষণ করলাম। ভীতি-প্রদর্শিত দের জন্যে এই বৃষ্টি ছিল কত নিকৃষ্ট।
إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَةً وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ
নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে; কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
নিশ্চয়ই আপনার পালনকর্তা প্রবল পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। ( সূরা শুআরা-১৬০--১৭৫)


হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ( مَنْ وَجَدْتُمُوهُ يَعْمَلُ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ فَاقْتُلُوا الْفَاعِلَ وَالْمَفْعُولَ بِهِ )
যদি তোমরা সমকামী কাউকে পাও,তাহলে তাদের উভয়কে হত্যা করো(এ নির্দেশ সরকারের জন্য)
(সুনানে আবি-দাউদ-৪৪৬২,সুনানে তিরমিযি-১৪৫৬,সুনানে ইবনি মা'জা-২৫৬১)


عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضي الله عنهما أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (لَعَنَ اللَّهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ ، لَعَنَ اللَّهُ مَنْ عَمِلَ عَمَلَ قَوْمِ لُوطٍ ، ثَلاثًا) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন, যারা লুত আঃ এর কওমের পথভ্রষ্টদের মত আ'মল(সমকাম) করবে,তাদের উপর আল্লাহর লা'নত।এ কথা রাসূলুল্লাহ সাঃ তিনবার বলেছেন(মসনদে আহমদ-২৯১৫)

  • (২)সেক্যুলারিজমঃ
মূলত ধর্মহীনতাকে বাজারজাত করার জন্য ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রচার করা হচ্ছে।সুতরা ধর্মহীনতা ইসলামে নেই।তবে ধর্মনিরপেক্ষতা ইসলামে রয়েছে।তথা কোথাও ইসলামি শাসন চলা অবস্থায় বিজাতীয়রা ও তাদের ধর্মকে নিরাপত্তার সাথে পালন করতে পারবে।


  • (৩)হযরত সওবান রা. থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন-
 عِصَابَتَانِ مِنْ أُمَّتِي أَحْرَزَهُمَا اللَّهُ مِنَ النَّارِ: عِصَابَةٌ تَغْزُو الْهِنْدَ، وَعِصَابَةٌ تَكُونُ مَعَ عِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ عَلَيْهِمَا السَّلَام. روى النسائي فى سننه: ٣١٧٥ ، و أحمد فى المسند:١٨/٣٧ رقم ٢٢٣٩٦, وهو حديث صحيح، صححه الإمام السيوطي في الجامع الصغير، والألباني في صحيح الجامع: ٤٠١٢ والصحيحة: ١٩٣٤ –
 ‘আমার উম্মতের মধ্যে দুটি দল রয়েছে, আল্লাহ তাদের উভয়কে দোযখ থেকে মুক্তি দিবেন। (১) হিন্দ (ভারত)-এর সাথে গাজওয়া (জিহাদ) করনেওয়ালা দল এবং (২) ঈসা ইবনে মানইয়াম আ.-এর সঙ্গী দল।’। [সুনানে নাসায়ী, হাদিস ৩১৭৫; মুসনাদে আহমদ, হাদিস ২২৩৯৬]

 হযরত আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
 وَعَدَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ الْهِنْدِ فَإِنْ أَدْرَكْتُهَا أُنْفِقْ فِيهَا نَفْسِي وَمَالِي فَإِنْ أُقْتَلْ كُنْتُ مِنْ أَفْضَلِ الشُّهَدَاءِ وَإِنْ أَرْجِعْ فَأَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ الْمُحَرَّرُ. روى النسائي ٣١٧٣ ، وأحمد ٢/٢٢٩, والحديث ضعفه الألباني في ضعيف سنن النسائي ٢٠٢ ، ٢٠٣ . وكذلك الشيخ شعيب الأرنؤوط في تخريجه لمسند أحمد ١٢/٢٩ , البداية والنهاية لابْنُ كَثِيرٍ: ١٩/١٠ 
– ‘রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে গাজওয়ায়ে-হিন্দ -এর ওয়াদা করেছেন। সুতরাং  আমি যদি তা পেয়ে যাই, তাহলে আমি আমার জান ও মাল (আল্লাহ’র রাস্তায়) দিয়ে দিবো। আর যদি আমাকে (ওই যুদ্ধে) কতল করে ফেলা হয়, তাহলে আমি হবো সর্বোত্তম শহিদগণের মধ্যে একজন। আর আমি যদি (ওই জিহাদে বেঁচে) ফিরে আসি, তাহলে আমি আবু হুরায়রাহ হবো (দোযখের শাস্তি থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত ’। [সুনানে নাসায়ী, হাদিস ৩১৭৩; মুসনাদে আহমদ- ২/২২৯; আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ইবনে কাসির- ১০/১৯]

ইমাম নুআইম বিন হাম্মাদ (মৃ: ২২৮ হি:) নিজ সনদে হযরত আবু হুরায়রাহ রা.-এর সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন-
 عن صفوان بن عمرو ، عن بعض المشيخة ، عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم – وذكر الهند – فقال : ليغزون الهند لكم جيش يفتح الله عليهم ، حتى يأتوا بملوكهم مغللين بالسلاسل ، يغفر الله ذنوبهم ، فينصرفون حين ينصرفون فيجدون ابن مريم بالشام . قال أبو هريرة : إن أنا أدركت تلك الغزوة بعت كل طارف لي وتالد وغزوتها ، فإذا فتح الله علينا وانصرفنا فأنا أبو هريرة المحرر ، يقدم الشام فيجد فيها عيسى بن مريم ، فلأحرصن أن أدنوا منه فأخبره أني قد صحبتك يا رسول الله . قال : فتبسم رسول الله صلى الله عليه وسلم وضحك ثم قال : هيهات ، هيهات . رواه نعيم بن حماد في ” الفتن ” : ص/٤٠٩, وفي سنده إبهام الراوي عن أبي هريرة ، كما أن في سنده بقية بن الوليد مدلس وقد عنعن – 
‘রাসুলুল্লাহ ﷺ (একবার) হিন্দ-এর উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন: অবশ্যই তোমাদের (মুসলমানদের একটি) সৈন্যদল হিন্দে’র সাথে গাজওয়া (জিহাদ) করবে (এবং) আল্লাহ (তাআলা তোমাদের মুজাহিদগণকে) তাদের উপর বিজয় দান করবেন। এমন কি তারা ওদের রাষ্ট্রনায়কদেরকে শিকলে বেঁধে নিয়ে আসবে। আল্লাহ তাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। এরপর তারা (তাদেরকে রেখে) চলে যাবে এবং শাম-এ (গিয়ে) তারা ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ.)-এর দেখা পাবে’। (রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর একথা শুনে) হযরত আবু হুরায়রাহ রা. বলেন: আমি যদি (আমার জীবনকালে) সেই গাজওয়া (জিহাদ) পেয়ে যাই, তাহলে আমার নতুন-পুরাতন তল্পিতল্পা সব বিক্রি করে দিয়ে সেই গাজওয়ায় অংশ নিবো। এরপর আল্লাহ তাআলা যখন আমাদেরকে বিজয় দান করবেন এবং আমরা সেখান থেকে ফিরে আসবো, তখন আমি আবু হুরায়রাহ হবো (দোযখের আগুন থেকে) মুক্তিপ্রাপ্ত। (আহা ! সেই সময়ে আবু হুরায়রাহ’র কি আনন্দ হত, যখন) সে শাম-এ গিয়ে সেখানে ঈসা ইবনে মারইয়াম (আ.)-এর দেখা পেতো! ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার খুব ইচ্ছে হয় তাঁর সান্নিধ্যে যেতে এবং তাঁকে এই খবর দিতে যে আমি আপনরা সাহাবী। তিনি বলেন: রাসুলুল্লাহ ﷺ (আমার একথা শুনে) মুচকি হেসে দিলেন, অতঃপর বললেন: এমনটা হবার নয় ! এমনটা হবার নয়’! [আল-ফিতান, নুআইম বিন হাম্মাদ, হাদিস ১২৩৬] 

মুফতী মুহাম্মাদ রফি উসমানী দা:বা: (প্রধান মাফতী, দারুল উলূম করাচী) বলেছেন যে, সাহাবাগণের জামানা থেকে নিয়ে পরবর্তীতে হিন্দ-এর কাফেরদের সাথে মুসলমানদের বহু জিহাদ সংঘটিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, তাহলে এতগুলো জিহাদের মধ্যে কোন জিহাদটির কথা হাদিসে বলা হচ্ছে? এর উত্তরে তিনি বলেছেন যে, হাদিসটিতে উল্লেখীত সুসংবাদটি ওগুলোর মধ্যে বিশেষ কোনো জিহাদ’কে নির্দিষ্ট করেনি। বরং হিন্দ-এর বিরুদ্ধে যতগুলো (শরয়ী দৃষ্টিতে সহিহ) জিহাদ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে হবে, তার সবগুলোই হাদিসের সুসংবাদের আওতায় পড়বে, ইনশাআল্লাহ। [আলামাতে কিয়ামাত ওয়া নুজুলে মাসিহ, রফি উসমানী- ৫৮ পৃষ্ঠা] অর্থাৎ, হিন্দ-এর কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদকারী বিভিন্ন সময়ের মুহাহিদগণ একত্রে মিলে একটি দল যাঁরা ইনশাআল্লাহ দোযখের আগুন থেকে নাজাত লাভ করবেন।

  • (৪)মনোলিথ সম্পর্কে গুগলে সার্চ দিলে আপনি দেখতে পারবেন যে,
গত কয়েক মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন - বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০টি শহরে এই একক প্রস্তরের তিনদিকওয়ালা চকচকে কাঠামোগুলি দেখা গিয়েছে। প্রথম দেখা গিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটা মরুভূমিতে। কীভাবে কোথা থেকে সেগুলি উদ্ভূত হল, তাই নিয়ে বিভিন্ন জনে বিভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। তবে ভারতের মনোলিথ-টির উৎস বাকিগুলির মতো অত রহস্যময় নয় বলেই দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিম্ফনি ফরেস্ট পার্ক-এর দেখভালের দায়িত্বে থাকা প্রাইভেট ফার্ম-ই ওই মনোলিথটি স্থাপন করেছে। এটি একটি ইস্পাতের তৈরি শিল্পকার্য। তবে, যে শিল্পী কাঠামোটি তৈরি করেছেন তিনি নাকি তাঁর নাম প্রকাশ করতে চান না। সম্ভবত কাঠামোর গায়ে খোদাই করা সংখ্যা ও চিহ্নগুলির মধ্যেই তাঁর হদিশ লুকিয়ে রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
মনোলিথ সম্পর্কে কুরআন হাদীসে স্পষ্ট কিছু আসেনি।তবে এগুলেকে ইসলামের বিধি-বিধান অনুযায়ী অস্বীকার করারও কোনে প্রয়োজন নাই।এগুলো মানুষেরই তৈরী হিসেবে সিংহভাগ বিজ্ঞানিরা মনে করেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (709,320 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...