আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,136 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (8 points)
১.বদ নজর মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে?
২.কেউ প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকালেও কি বদ নজর হবে?
৩.বদ নজর থেকে বাচার শরয়ী সমাধান জানতে চাই

৪. আমার দ্বারা যেন কেউ বদ নজরে আক্রান্ত না হয় তার জন্যে কি করতে হবে?

৫.বদ নজর থেকে বাচার জন্যে গোসলের আলাদা কোনো বিধান আছে?

৬.বদ নজরের লক্ষ্মণ কি কি? কখন বুঝবো আমি বদ নজর আক্রান্ত??

1 Answer

0 votes
by (588,630 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
আপনি যে চারটি শব্দ উল্লেখ করেছেন।সম্ভবত এই চারটি শব্দের একই অর্থ।আর সেটা হলো নজর লাগা বা বদনজর।

বদনজর কাকে বলে,
চক্ষু লাগা বা বদনজর লাগার অর্থ হলো,চাক্ষুষকারীর কোনো জিনিষ পছন্দ হয়ে যাওয়া।অতঃপর প্রদর্শনকারী থেকে বিষ বের হয়ে প্রদর্শিত ব্যক্তির নিকট চলে যায়।আল্লাহ তা'আলা উনার রাসূল সাঃ কে হাসিদের হসদ থেকে পানাহ চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।(সূরা ফালাক-৫)
বদনজর কারীর চক্ষু হিংসুকের মধ্যে শামিল।সুতরাং হিংসুক শব্দটা ব্যাপক।যার মধ্যে বদনজরকারীর চক্ষুও শামীল।হিংসুক থেকে পানাহ চাওয়া মানে বদনজর থেকেও পানাহ চাওয়া।
 
বদনজর জিনিষটা কি?
বদনজর হল,এক প্রকার বিষ যা হিংসুক এবং বদনজরকারীর চক্ষু থেকে বের হয়ে বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তির উপরে গিয়ে পড়ে।কখনো আক্রান্ত করে কখনো করে না।কখনো কখনো বদনজরের বিষ বদনজর কারীর দিকেও ফিরে আসে।(যা'দুল মা'আদ-দ্রষ্টব্য)

রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বদনজর সংক্রান্ত হাদীস বর্ণিত রয়েছে-
হযরত অায়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن عائشة رضي الله عنها قالت : " كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يأمرني أن أسترقي من العين "
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে চোখলাগা হতে (মুক্ত হওয়ার জন্য) ঝাড়ফুঁক করার আদেশ করতেন।(সহীহ মুসলিম-২১৯৫)

عن ابن عباس رضي الله عنهما عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : " العين حق ولو كان شيء سابق القدر لسبقته العين ، وإذا استغسلتم فاغسلوا "
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ভাগ্যকে কোন জিনিস অতিক্রম করতে সমর্থ হলে কু-দৃষ্টিই তা অতিক্রম করতে পারত। যদি এ প্রসঙ্গে কেউ তোমাদেরকে গোসল করাতে চায় তাহলে তোমরা তাতে সম্মত হও।(মুসলিম-২১৮৮)


আসমা (রাঃ) বললেন,
قالت أسماء يا رسول الله إن بني جعفرتصيبهم العين، فأسترقي لهم قال: «نعم، فلو كان شيء سابق القدر، سبقته العين
 হে আল্লাহর রাসূল! জাফরের সন্তানদের বদনজর লেগেছে, আপনি তাদের ঝাড়ফুঁক করুন। তিনি বলেনঃ আচ্ছা। যদি কোন কিছু তাকদীরকে পরাভূত করতে পারতো, তবে বদনজরই তাকে পরাভূত করতো।(সুনানু ইবনু মা'জা-৩৫১০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কুরআন সুন্নাহর আলোকে বদনজর অকাট্যভাবে সত্য।বদনজরের সত্যতা প্রমাণিত রয়েছে।যদি কেউ বদনজরে আক্রান্ত হয়ে যায়, তাহলে তখন বদনজরকারীকে অজু করতে বলা হবে,উনার অজুতে ব্যবহৃত পানি দ্বারা বদনজরে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজ সারা শরীরে ঢেলে দিবে।সূরা নাস ও ফালাক পড়বে।বেশী বেশী কুরআন তেলাওয়াত করবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2628

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.বদ নজর মানুষের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। এমনকি মানুষকে ধংসের ধারপ্রান্তে নিয়ে যায়।

২.প্রশংসার দৃষ্টিতে তাকালেও কি বদ নজর হবে না বরং হিংসার দৃষ্টিতে তাকালেই বদ নজর শুরু হয়।

৩.বদ নজর থেকে বাচার উপায়, হিংসুক থেকে নিজেকে ও নিজের আত্মীয় স্বজন ও ধন সম্পদকে আড়াল করে রাখা। সম্ভাব না হলে সুরা ফালাক্ব ও নাস পড়ে নিজ  শরীরে ফু দেওয়া।

(৪) হিংসাকে পরিহার করতে হবে।

(৫) না নাই।

(৬) যখন দেখবেন অসুস্থ, ডায়রিয়া চলছে, তথা যাবতীয় অসুস্থতা ও বে-বরকতিই বদ নজরের আলামত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 188 views
...