আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
30 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এমন পাঁচটি কাজ আছে যে ব্যক্তি একই দিনে ওই কাজগুলো করবে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতবাসী বলে লিখে দেবেন। আর তা হলো-
১. রোগী দেখা তথা রোগীর সেবাযত্ন বা খোঁজ-খবর নেওয়া।
২. জানাজায় অংশগ্রহণ করা।
৩. রোজা রাখা।
৪. জুমার নামাজ আদায় করা।
৫. গোলামমুক্ত করে দেওয়া। (মুসলিম)
এটি কি আসলে ই মুসলিম শরীফের হাদীস
অন্য এক হাদীসে শুক্রবার রোযা না রাখার কথা আছে
এক্ষেত্রে সঠিক কোনটা

1 Answer

0 votes
by (635,130 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

ومن الأحاديث حديث أبي سعيد الخدري أنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (خمس من عملهن في يوم كتبه الله من أهل الجنة: من عاد مريضاً، وشهد جنازة، وصام يومه، وراح إلى الجمعة، وأعتق رقبة).
--------
ص4 - كتاب شرح الترغيب والترهيب للمنذرى حطيبة - خمس من فعلها في يوم دخل الجنة - المكتبة الشاملة،
سلسله احاديث صحيحه
حدیث نمبر: 1756


হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'এমন পাঁচটি কাজ আছে যে ব্যক্তি একই দিনে ওই পাঁচটি কাজ করবে; আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতবাসী বলে লিখে দেবেন।' আর তাহলো-- কেউ রোগাগ্রস্ত হলে তাকে দেখতে যাওয়া, তার সেবাযত্ন বা খোঁজ-খবর নেয়া।- কেউ মারা গেলে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করা।- এ দিন রোজা রাখা।- জুমআর নামাজ আদায় করা।- গোলামমুক্ত করে দেয়া।'

শরীয়তের বিধান হলো শুধু শুক্রবার বা শুধু শনিবার রোযা রাখা মাকরূহ।

মুশরিকদের বিরোধীতা করার জন্য। কারণ তারা এ দু’দিন রোযা রাখতো। হাদীসে খাস করে শুধু এ দু’দিন আলাদা আলাদা রোযা রাখতে অপছন্দ করা হয়েছে। তবে আগে বা পরের দিনের সাথে মিলিয়ে একসাথে দু’টি রোযা হলে কোন সমস্যা নেই।

হাদীস শরীফে এসেছে   
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال سمعت النبي صلى الله عليه و سلم يقول ( لا يصومن أحدكم يوم الجمعة إلا يوما قبله أو بعده

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমআর আগে অথবা পরে একদিন মিলানো ব্যতিত শুধু জুমআর দিন রোযা রেখো না। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৪}

عن جويرية بنت الحارث رضي الله عنها أن النبي صلى الله عليه و سلم دخل عليها يوم الجمعة وهي صائمة فقال ( أصمت أمس ) . قالت لا قال ( تريدين أن تصومي غدا ) . قالت لا قال ( فأفطري )

হযরত জুআইরিয়া বিনতে হারেস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ একদা শুক্রবার তার কাছে এলেন। সেদিন তিনি রোযা ছিলেন। রাসূল সাঃ জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি গতকাল রোযা ছিলে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমার কি আগামীকাল রোযা রাখার ইচ্ছে আছে? তিনি বললেনঃ না। রাসূল সাঃ বললেনঃ তাহলে রোযা ভেঙ্গে ফেল। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-১৮৮৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৪২৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৩৬১১, সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-২১৬২}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উভয় কথাই সঠিক।
এক্ষেত্রে আপনি শুক্রবার রোজা রাখবেন পাশাপাশি বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার রোজা রাখবেন, তাহলে উভয় হাদীসের উপরে আমল হবে হাদিস গুলোর মাঝে কোন দ্বন্দ্ব হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...