আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
21 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)
১।মোবাইল ফোন ব্যাবহার, নিজের বাচ্চার সাথে সময় কাটানো,স্ত্রীর সাথে সময় কাটানো সেটা  সহবাস ছাড়া এবং  কথা বলা  , বাবা মার খেদমত করা উনাদের সাথে কথা বলা, জিনের ঘটনা শোনা, স্ত্রীর সাথে সহবাস করা, ঘুমের চেষ্টা করার সময় মনে মনে চিন্তা ভাবনা করা এপাশ ওপাশ হওয়া নড়াচড়া করা। এই উপরের বিষয়ের মধ্যে কোনটা এশার নামাজের পরে করলে অনর্থক কথা কাজ হবে  মাকরূহ হবে?
২।ধরেন আমার একটা কাজ আছে ১০ টায় বা সাড়ে ১০টায় বা ১১ টায়। কাজগুলো হলো স্ত্রী সহবাস, বাবা মার বিছানা রেডি করা, ইস্তেঞ্জা করান ইত্যাদি জরুরি কাজ যদি থাকে এর আগে তো আর ঘুমানো যাচ্ছে না যদি কোনও অনর্থক কথা বা কাজ করি তাহলেও কি মাকরূহ হবে?
৩।আমার বাবা অনেক কাজের হারা দেয় শক্ত পোক্ত এখনো আছে কিন্তু পানিও ঢেলে খায়না, আরও অনেক হারা দেয়। এখন আমি যদি এশার নামাজের পরে ঘুমাতে যাই বা ঘুমানোর চেষ্টা করি  আমাকে বারবার ঢাক দিতেও পারে অনেক সময় দেয়ও ঘুমাতে গেলেও বিরক্ত লাগবে ঘুমিয়ে গেলে খারাপ লাগবে  এখন আমি কি বাবা-মার খেদমত করার জন্য দেরিতে ঘুমাবো নাকি এশার নামাজের পরপর ঘুমাতে চেষ্টা করবো। যদি বাবা মার খেদমতের জন্য দেরি করে ঘুমানো যায় তাহলে আগে অনর্থক যা করি মাকরূহ হবে কি?

৪।আমার  রুমের ভিতরে স্টিলের আলমারির আয়নার ভিতরে আল্লাহু লিখা আছে বা দেওয়ালে আল্লাহ লিখা আছে আর কোরআন শরিফ বা বিভিন্ন ইসলামিক জিনিস বিভিন্ন ড্রয়ারে বা ঢাকা রয়েছে। সেই রুমে সহবাস করলে আর ইসতেঞ্জা করা যাবে কি?
★আমার বউ জিনের ভয়ে বাহিরে টয়লেটে যায় না রুমের ভিতরে ইস্তেঞ্জা করে

1 Answer

0 votes
by (632,940 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
ঈশার নামাজের পর দুনিয়াবি (অনার্থক) কাজ বা (অনার্থক) কথাবার্তা বলা মাকরুহ।
তবে জরুরী কাজ বা কথা হলে কোনো সমস্যা নেই।    (ফাতাওয়ায়ে শামী (১/৩৪১)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

 حَدَّثَنَا جَرِيرٌ ، عَنْ مَنْصُورٍ ، عَنْ خَيْثَمَةَ ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَا سَمَرَ بَعْدَ الصَّلَاةِ

অর্থাৎ ঈশার নামাজের পর কথা বলা যাবেনা (মুসনাদ আহমদ হাদীস নং ৩৬০৩)

,
হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে কখনো এশার আগে ঘুমাতে এবং এশার পর গল্পগুজব করতে দেখিনি। এশার পর হয়তো জিকিরে মশগুল থাকতেন, এতে তো কেবল লাভই, নচেৎ ঘুমিয়ে পড়তেন, এর দ্বারা সব অপ্রয়োজনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়। আয়েশা (রা.) বলেন, তিন ধরনের মানুষের জন্য রাত জাগার অনুমতি রয়েছে : বিয়ের রাতে নবদম্পতি, মুসাফির ও নফল নামাজ আদায়কারী। (মুসনাদে আবি ইয়ালা, হা. : ৪৮৭৯)
 
হাদিস শরীফে বর্ণিত হয়েছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং এশার নামাজের পর অপ্রয়োজনীয় অহেতুক গল্প গুজব করতে অপছন্দ করতেন (সহিহ বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫১৪)

বিস্তারিত জানুনঃ-

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
 ইশার নামাজের পর অনার্থক কাজ বা অনার্থক কথাবার্তা বলার সুযোগ নেই।

এক্ষেত্রে জরুরী কাজ বা জরুরী কথা বলা যাবে,তাতে কোনো সমস্যা নেই।

অনার্থক কাজ করা বা অনার্থক কথাবার্তা বলা মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। 

(০১)
বিনা প্রয়োজনে মোবাইল ফোন ব্যাবহার, 
বিনা প্রয়োজনে নিজের বাচ্চার সাথে সময় কাটানো (প্রয়োজন বশত হলে সমস্যা নেই),  জিনের ঘটনা শোনা মোট কথা উপরে উল্লেখিত যেসব কর্মকান্ড বিনা প্রয়োজনে করা হবে, সেগুলো ঈশার পর করা যাবেনা।

(০২)
ঈশার নামাজের পর ঐ কাজটার জন্য এতোটা সময় বিলম্ব ঠিক নয়।

এটি আরো আগেই করা যেতো।

সুতরাং প্রয়োজন ছাড়া দেড়ি করা হলে মাকরুহ হবে।
অন্যথায় মাকরুহ হবেনা।

(০৩)
আপনার বাবা মাকেও উপরোক্ত মাসয়ালা বুঝিয়ে তারাতাড়ি ঘুমানোর জন্য বলবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।

বাবা মা ওযর বশত দেড়িতে ঘুমালে সেক্ষেত্রে আপনি যদি তাদের খেদমতে নিয়োজিত থাকেন,এবং খেদমতের পাশাপাশি মাঝে মাঝে কোনো অনার্থক কাজ হয়ে যায়,সেক্ষেত্রে আশা করি মাকরুহ হবেনা।

(০৪)
ইস্তিঞ্জা করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...