আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
31 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (15 points)
আসসালামুআলাইকুম উস্তাদ। আমার প্রশ্নটা একটু ভিন্ন।আমার ২৬,০০০ টাকা ঋণ আছে, ৩ ভরি স্বর্ণ আছে। ঈদের দিন আমার কাছে ৩ভরি স্বর্ণ, আর ২০০ টাকা ছিলো। দুপুরে ২০০ টাকা ভাইবোনকে হাদিয়া দিয়ে দেই। ঈদের পরদিন অর্থাৎ আজ হাসবেন্ড ১০০০ টাকা হাদিয়া দিয়েছিলো, সেটা দিয়ে ধার পরিশোধ করবো আজ।
আমার প্রশ্ন আমার কি এর মাধ্যমে কোরবানি ওয়াজিব হয়েছে? কাল ই কোরবানি দেয়ার শেষ দিন। দয়া করে আজই উত্তর টা জানাবেন উস্তাদ মিন ফাদ্বলিক।

1 Answer

+2 votes
by (632,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)

শরীয়তের বিধান হলো,প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০ যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব। টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। 

সুতরাং কাহারো কাছে যদি স্বর্ণের পাশাপাশি টাকা থাকে,তাহলে তার জন্য করনীয় হলো এই টাকা আর উক্ত স্বর্ণের মূল্য হিসেব করে সারে বাহান্ন ভরি রুপার সমমূল্য হয়েছে কিনা?
হলে তার উপর যাকাত,কুরবানী আবশ্যক হবে।

যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ হতে যিলহজ্ব মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত, এ সময়ের মাঝে কোনো সময়ে আপনি যদি সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি সমপরিমাণ মূল্যের মালিক হোন,আর তাহা যদি দৈনন্দিন প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে, নতুবা কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।


فتاوی ہندیہ:

"و لو كان عليه دين بحيث لو صرف فيه نقص نصابه لاتجب."(5/ 292)

যদি কারো উপর ঋণ থাকে এক্ষেত্রে সেই ঋন  পরিশোধ করা হলে যদি তার নেসাব কমে যায়,সেক্ষেত্রে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না।

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) :

"وشرائطها: الإسلام والإقامة واليسار الذي يتعلق به) وجوب (صدقة الفطر)

(قوله: واليسار إلخ) بأن ملك مائتي درهم أو عرضاً يساويها غير مسكنه وثياب اللبس أو متاع يحتاجه إلى أن يذبح الأضحية، ولو له عقار يستغله فقيل: تلزم لو قيمته نصاباً، وقيل: لويدخل منه قوت سنة تلزم، وقيل: قوت شهر، فمتى فضل نصاب تلزمه. ولو العقار وقفاً، فإن وجب له في أيامها نصاب تلزم." (٦ / ٣١٢ )

মর্মার্থঃ-
যখনই নেসাব পূর্ণ হবে,তখনই কুরবানী ওয়াজিব হবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মালিকানায় যদি কোনো রুপা না থাকে,প্রয়োজন অতিরিক্ত কোনো বাড়ি গাড়ি আসবাব পত্র না থাকে,আর আপনি যদি আজ সেই ১০০০ টাকা দিয়ে ধার পরিশোধ করেন,সেক্ষেত্রে ১২ ই জিলহজ্জ সুর্যাস্থের আগ পর্যন্ত যদি আপনার মালিকানায় আর কোনো টাকা/রুপা না আসে,সেক্ষেত্রে আপনার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাজাকাল্লাহ খইরন উস্তাজ, এত দ্রুত জবাব দেয়াতে খুব উপকার হলো, আলহামদুলিল্লাহ। 
by (15 points)
+1
উস্তাদ আমি ১৩০০০ টাকা এক আত্মীয় কে ধার দিয়ে রেখেছি অনেকদিন ধরে। কবে দিবে জানিনা। যাকাতের ক্ষেত্রে তো ধারও যুক্ত হয়। তাই কুরবানিতে এটার জন্য আমার যে ফতোয়া টা দিলেন তাতে পরিবর্তন হবে কি?
ago by (632,370 points)
১২ ই জিলহজ্জ সুর্যাস্থের আগ পর্যন্ত যদি আপনাকে টাকাটি ফেরত না দেয়,সেক্ষেত্রে উক্ত ফতোয়াটিতে পরিবর্তন হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...