وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব
(০১)
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আর অবশিষ্ট থাকেনা।
এক্ষেত্রে তার হুকুম অন্যান্য গায়রে মাহরাম পুরুষের হুকুমের ন্যায়।
তাকে নিয়ে ভাবা,ইত্যাদি ইসলাম সমর্থন করেনা।
,
তবে মনে থেকে যদি তাকে বের করে না দিতে পারে,হাজার চেষ্টার পরেও যদি খেয়াল তার দিল থেকে ফিরানো না যায়,আর কোনো কুচিন্তাও মাথায় না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে এটি ওযর।
যাহা ক্ষমা যোগ্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وفیہ أیضاً(۱۷۶/۱):عن أبی ھریرۃ رضی الله عنہ قال: قال ﷺ "إن الله تجاوز عن أمتی ماحدثت بہ أنفسھا مالم تعمل أو تتکلم" أخرجہ البخاری
যার সারমর্ম হলো নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উপেক্ষা করেন, যতক্ষন পর্যন্ত উক্ত কাজ না করবে বা মুখে কোনো কথা না বলবে,ততক্ষন পর্যন্ত কোনো বিধান জারী হয়না।
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।
(আবু দাউদ ২২০৯)
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ
উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে।
(নাসায়ী শরিফ ৩৪৩৮)
,
(০২)
এই ভাবে সন্যাসীর মতো জীবন যাপন জায়েজ নেই।
যদি তিন তালাক না হয়ে থাকে,তাহলে সেই ছেলেরটির সাথে আলোচনা ইত্যাদি করে অভিভাবক আবার তার সাথে বিবাহ দিতে পারে।
এক্ষেত্রে উক্ত ছেলে যদি ২ স্ত্রীর মাঝে সমতাসূচক ব্যবহার ভরনপোষণ ইত্যাদি তথা উভয় স্ত্রীর পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারেন,তাহলে সে এই বিবাহ আবার করবে।
,
আর যদি তিন তালাক দেয়,বা উক্ত ছেলে কোনোভাবেই তাকে আর বিবাহ করতে না চায়,
তাহলে মা বাবা তাকে অন্যত্রে বিবাহের জন্য জোড় করতে পারে।
,
(০৩)
এভাবে জিবন যাপন না করে বিবাহ করে নেওয়া।