আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

শাইখ, এক বোন পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেছিলেন। স্বাক্ষী স্বরূপ ছেলে পক্ষের দুইজন বন্ধু ছিল। যে যার পরিবারেই অবস্থান করছিলেন এবং দুই বছর পর্যন্ত কারো পরিবারেই বিয়ের ব্যাপারটা জানতে পারেনি। এর মাঝেই ছেলেটি মেয়েটিকে না জানিয়ে পারিবারিক ভাবে দ্বিতীয় আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে নেয়। এই অবস্থায় মেয়েটির পরিবার বিষয়টি অবগত হলে তাকে ডিভোর্স এর জন্য চাপ দিতে থাকে। সব থেকে বড় কথা ছেলেটি নিজেই ডিভোর্স দিতে চায়। একসময় ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। বোনটি কোনভাবেই ডিভোর্স মানতে পারছেনা। সে ছেলেটিকে প্রচন্ড ভালবাসে। সে দ্বিতীয় কাউকে বিয়ে করার কথা ভাবতেই পারছেনা। সে বলছে, সে তাকে ভালবেসেই সারা জীবন কাটিয়ে দিবে আর বিয়ে করবেনা।

এখন প্রশ্ন হলো,

১.যার সাথে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে তার স্মৃতি আগলে রেখে সারা জীবন তাকে ভালবাসা কতটুকু জায়েয? এটা কি শরীয়ত সমর্থন করে?
২.আর সে যদি বিয়ে করতে না চায় সেক্ষেত্রে তার পরিবার জোর করে বিয়ে দিলে তা জায়েয হবে কিনা?

৩.এমতাবস্থায় আসলে বোনটির করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

জবাব

(০১)
বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আর অবশিষ্ট থাকেনা।
এক্ষেত্রে তার হুকুম অন্যান্য গায়রে মাহরাম পুরুষের হুকুমের ন্যায়।
তাকে নিয়ে ভাবা,ইত্যাদি ইসলাম সমর্থন করেনা।
,
তবে মনে থেকে যদি তাকে বের করে না দিতে পারে,হাজার চেষ্টার পরেও যদি খেয়াল তার দিল থেকে ফিরানো না যায়,আর কোনো কুচিন্তাও মাথায় না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে এটি ওযর।
যাহা ক্ষমা যোগ্য।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

وفیہ أیضاً(۱۷۶/۱):عن أبی ھریرۃ رضی الله عنہ قال: قال ﷺ "إن الله تجاوز عن أمتی ماحدثت بہ أنفسھا مالم تعمل أو تتکلم" أخرجہ البخاری 

যার সারমর্ম হলো নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা উপেক্ষা করেন, যতক্ষন পর্যন্ত উক্ত কাজ না করবে বা মুখে কোনো কথা না বলবে,ততক্ষন পর্যন্ত কোনো বিধান জারী হয়না।

حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي عَمَّا لَمْ تَتَكَلَّمْ بِهِ، أَوْ تَعْمَلْ بِهِ، وَبِمَا حَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا 

আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মাতের মনে যা উদয় হয় তা যতক্ষণ না সে মুখে বলে অথবা কার্যে পরিণত করে ততক্ষণ তা উপেক্ষা করেন।
(আবু দাউদ ২২০৯)

أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مِسْعَرٍ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفَى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لِأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ 

উবায়দুল্লাহ ইবন সাঈদ (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের মনে যা উদয় হয় বা খটকা লাগে, আল্লাহ্ তাআলা তা ক্ষমা করে দেবেন, যতক্ষণ না সে তা করে অথবা বলে।
(নাসায়ী শরিফ ৩৪৩৮)
,

(০২)
এই ভাবে সন্যাসীর মতো জীবন যাপন জায়েজ নেই।
যদি তিন তালাক না হয়ে থাকে,তাহলে সেই ছেলেরটির সাথে আলোচনা ইত্যাদি করে অভিভাবক আবার তার সাথে বিবাহ দিতে পারে।
এক্ষেত্রে উক্ত ছেলে যদি ২ স্ত্রীর মাঝে সমতাসূচক ব্যবহার ভরনপোষণ ইত্যাদি  তথা উভয় স্ত্রীর পরিপূর্ণ হক আদায় করতে পারেন,তাহলে সে এই বিবাহ আবার করবে।
,
আর যদি তিন তালাক দেয়,বা উক্ত ছেলে কোনোভাবেই তাকে আর বিবাহ করতে না চায়,
তাহলে মা বাবা তাকে অন্যত্রে বিবাহের জন্য জোড় করতে পারে।
,
(০৩)
এভাবে জিবন যাপন না করে বিবাহ করে নেওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...