জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নূর নবী অর্থ নবীর নূর এবং নূর মুহাম্মাদ অর্থ মুহাম্মাদের নূর। যদি এর মাধ্যমে উদ্দেশ্য নেয়া হয় যে, নবী-মুহাম্মাদ ﷺ নূরের তৈরি; তাহলে এ নাম রাখা জায়েয হবে না। কেননা, কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ কথা দিবালোকের মত স্পষ্ট যে, সকল আদমসন্তানের মতই তিনিও একজন মাটির তৈরি মানুষ ছিলেন, পিতা-মাতার থেকেই তাঁর জন্ম। তবে নবুওত, রিসালাত ও ওহী তাঁকে অন্যান্য আদমসন্তান থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছে। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلۡ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٞ مِّثۡلُكُمۡ يُوحَىٰٓ إِلَيَّ أَنَّمَآ إِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ٠
হে রাসূল! (আপনার উম্মাতকে) আপনি বলে দিন যে, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি ওয়হী নাযিল হয় যে, নিশ্চয় তোমাদের ইলাহ বা উপাস্য একজনই। (সূরা কাহাফ ১১০)
পক্ষান্তরে নূর শব্দের আরেকটি অর্থ হল, হেদায়েত। সুতরাং নূর নবী এবং নূর মুহাম্মাদ অর্থ তাঁর প্রদর্শিত হেদায়েত। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنزِلَ مَعَهُ
এবং ওই নূরের অনুসরণ করেছে যা তাঁর সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আ’রাফ ১৫৭)
সুতরাং এই বিবেচনায় নূর নবী এবং নূর মুহাম্মাদ নাম রাখার অবকাশ আছে। তবে যেহেতু এ জাতীয় নামে ভুল ও সঠিক–উভয় ব্যখ্যার সুযোগ থাকে তাই এই জাতীয় নাম না রাখাই উত্তম। কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ.
সে জিনিস বর্জন কর যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে এবং তা অবলম্বন কর যা তোমাকে সন্দেহে ফেলে না। (আহমদ, তিরমিযী, নাসাঈ, দারেমী, মিশকাত ২৭৭৩)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই নাম রাখা অনুচিত। এ নামে কাউকে সম্বোধন করাও অনুচিত।
কারন এক্ষেত্রে আকীদাগত বিভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
অনেকে বিশ্বাস করে থাকেন যে নবী ﷺ আলো থেকে সৃষ্টি, যা কুরআন ও সহীহ হাদীসে নেই।
এই ধরনের নাম ভ্রান্ত আকীদার লোকজনের ধারণা প্রচারে ভূমিকা রাখতে পারে।
এতে নবীকে নূর (আলো) বলা আকীদার বিচ্যুতি হতে পারে:
রাসূল ﷺ ছিলেন মানবজাতির মধ্য থেকে একজন।
নাম যেন আকীদা বা শিরকীয় চিন্তাধারা প্রচার না করে,সেদিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
(০২)
এ খাবার বিনিময় হিসেবে দিলে তা গ্রহণ করা এবং আপনার তা খাওয়া জায়েজ হবে না।
হ্যাঁ যদি তাদের মাঝে আগে থেকেই হাদিয়া আদান-প্রদানের প্রচলন থাকে, এমনিতেই একে অপরকে খাওয়ায়,বিনিময় হিসেবে না দেয়,বিষয়টি এমন হয় যে গান না শুনালেও খাবার দিতো,তাহলে সেক্ষেত্রে উক্ত খাবার গ্রহণ জায়েজ হবে।
(০৩)
এমতাবস্থায় সেই পানির রং ও পানির স্বাদ ঠিক থাকলে সে পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।
আরো জানুনঃ-
(০৪)
এতে সমস্যা নেই।
(৫-৬)
এক্ষেত্রে থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
অন্যথায় অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
এ রক্ত নাপাক।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنِ الْحَسَنِ فِي رَجُلٍ بَزَقَ فَرَأَى فِي بُزَاقِهِ دَمًا، أَنَّهُ لَمْ يَرَ ذَلِكَ شَيْئًا حَتَّى يَكُونَ دَمًا غَلِيظًا، يَعْنِي فِي الْبُزَاقِ
হাসান বসরী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার উপর অযু করা আবশ্যক হয় না। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩৩০)
عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الرَّجُلِ يَبْزُقُ فَيَكُونُ فِي بُزَاقِهِ الدَّمُ، قَالَ: إِذَا غَلَبَتِ الْحُمْرَةُ الْبَيَاضَ تَوَضَّأَ، وَإِذَا غَلَبَ الْبَيَاضُ الْحُمْرَةَ لَمْ يَتَوَضَّأْ
ইবরাহীম নাখয়ী রহ. বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে, তাহলে সাদার উপর লাল রঙ বেশি থাকে, তাহলে অযু করবে, আর যদি লালের উপর সাদার আধিপত্য থাকে, তাহলে অযু লাগবে না। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩৩২)
(০৭)
শরীয়তের গন্ডির মধ্যে থেকে কাজ করা হলে তাহা জায়েজ হবে।
(০৮)
এটা ধোকার আশ্রয়
তবে এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি থাকলে ক্লাইন্টকে বিষয়টি জানিয়ে তাহা ক্লাইন্টকে দেয়া যাবে।
তবে শরীয়াহ নীতিমালা বিরোধী কোনো কিছুর ডিজাইন হওয়া যাবেনা।
(০৯)
না,এক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা এবং ব্যাক্তির হক নষ্ট হবেনা।
(১০)
এগুলো সত্যি হয়ে থাকলেও পড়াশোনার ক্ষেত্রে অঙ্ক করা ও অঙ্ক শেখানো জায়েয হবে।