ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নামায পড়বে। মোটকথা, ফজর ও ইশরাকের সালাতের মধ্যবর্তী সময়ে জায়নামাযে বসে যিকিরের আ’মলই করতে হবে। এটাই সওয়াব পাওয়ার জন্য জরুরী। (ফজরের সালাত যে স্থানে আদায় করা হবে সে স্থান পরিবর্তন না করাই উত্তম। তবে মসজিদের ভিতর হলে স্থান পরিবর্তন করা যাবে। পুরুষের জন্য এটা জামাতের সাথে নির্দিষ্ট। জামাত চায় মসজিদে হোক বা বাড়িতে হোক। আর নারীরা ফজরের নামায পরবর্তী যদি ঘরোয়া কোনো কাজে লিপ্ত না হয়, বরং ঘরের ভিতরই যিকির আযকারে লিপ্ত থাকে, তাহলে জায়নামাযে থেকে উঠে গিয়ে অন্যত্র বসে যিকির করার পর আবার এসে ইশরাক পড়লেও হাদীসে বর্ণিত ইশরাকের সওয়াব পাবে। তবে এক জায়গায় বসে থাকাটাই উত্তম।
كنز العمال في سنن الأقوال والأفعال(2/ 152):
"من صلى الفجر فقعد في مقعده، فلم يلغ بشيء من أمر الدنيا يذكر الله عز وجل، حتى يصلي الضحى أربع ركعات، خرج من ذنوبه كيوم ولدته أمه"
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/14439
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সময়টুকুতে জায়নামায থেকে উঠে বিছানাতে বসে বসে জিকির আযকার করার পর কারো সাথে কথা না বলে যদি ইশরাক পড়া হয় অথবা যদি প্রাকৃতিক কাজ সাড়তে বাথরুমে গিয়ে তাহারাত অর্জন করে এসে যদি ইশরাক নামাজ পড়া হয়, তাহলেও ইশরাক নামাযের সওয়াব পাওয়া যাবে।