আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
38 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১. ছেলের সংসার যদি আলাদা হয়।তাহলে কি শ্বশুরের সংসার থেকে না বলে কিছু নেয়া যাবে বা শ্বশুর পক্ষের কেউ কি ছেলের বউ বা ছেলেকে না বলে কিছু নিতে পারবে?

২. শ্বশুর জীবিত সম্পত্তি এখনও ভাগ হয়নি। সেই জমিতে ফসল ফলাদিতে কি ছেলের হক আছে বা ছেলে সেটা না বলে নিয়ে খেতে পারবে? (বিঃ দ্রঃ ছেলের আর শ্বশুরের সংসার আলাদা)

1 Answer

0 votes
by (676,170 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না।  
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯) আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/1364


এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1382

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ছেলের সংসার যদি আলাদা হয়। তাহলে না বলে শ্বশুরের সংসার থেকে কিছু নেয়া যাবে বা শ্বশুর পক্ষের কেউ ছেলের বউ বা ছেলেকে না বলে কিছু নিতে পারবে না।হ্যা, শশুড় শাশুড়ির নিজস্ব কোনো ইনকাম না থাকলে, সন্তানের উপর নিজ পিতামাতার ভরণপোষণ ওয়াজিব। সন্তান ঠিকমত না দিলে এবং সন্তান সামর্থ্যেবান হলে, তখন শশুর পক্ষের লোকজন না বলে নিতে পারবে।

(২) শ্বশুর জীবিত, সম্পত্তি এখনও ভাগ হয়নি। এমতাবস্থায়ও জমিতে উৎপাদিত ফসল ফলাদি থেকে মাতাপিতাকে অবগত না করে ছেলে সেটা নিতে পারবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
হুজুর শ্বশুরের ইনকাম আছে(খুব ভালো ইনকাম, যা দিয়ে ২/৩ ফ্যামিলি অনয়াসে চলতে পারবে)।বরং, ছেলেরই ইনকাম নেই। আমরা কিছু নিলে জিজ্ঞেস করে বা বলে নেই। কিন্তু তারা কখনও আমাদের জিনিস আমাদের বলে নেয়না।না বলে নিলেও পরবর্তীতে সেটা ফেরতও দেয়না যেকোনো খাবার হোক,ব্যবহৃত জিনিস হোক নিয়ে যাবে না বলে।এমনও করে প্রায় সময় জিনিস যদি অল্প থাকে যেটা আমাদের অতীব প্রয়োজন ওইটা না থাকলে খাবার খাওয়া হবেনা তাও তারা নিয়ে যায় না বলে। 

এই যে না বলে যে নেয় এটার জন্য কি তারা গুনাহগার হবে বা চুরির শামিল কি হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...