আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
41 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (90 points)
reshown by
১।আগের প্রশ্নের ৪নং প্রশ্নের ভিতর আরেকটা বেপার ছিলো যে সে যে পতিতা বা খারাপ মহিলা মানুষ বলতো আমি প্রায় শিওর সে এরকম করতো। সে ঘুম থেকে ভয় পেয়ে উঠে যায় সে কারনে মাফ চাইতে হবে কি ।  আরেকটা বেপার ছিলো তার ঘরে খাটের উপর কম্বলের নিচে হস্তেমৈথুন করি কম্বল এবং চাদরে তোশকে লাগছে কি না শিওর না।আরেকবার  তাদের এটাছ  বাথরোম ছিল সেখানে হস্তেমৈথুন করি এবং বাথরুম ব্যাবহার করি পানি ব্যাবহার করি বা তার যাই হক নষ্ট করছি বলতে গেলে যদি ঝামেলা হয় এখনও কি তার নামে দান করে দিলে হবে?
২।১১ বছর আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ৫ থেকে ৬ কিলো দূরে ডাব চুরি করে খাইছিলাম কয়েকজন মিলে এখন কাদের গাছ থেকে  খাইছিলাম আমি চিনিনা। একজনের মোবাইল  নাম্বার আছে তার সাথে তেমন একটা কথা বলি না সেও ছিলো সাথে তাদের গ্রামের শেষ মাথার দিকে তার মনে আছে কিনা জানি না। এখন আমি দান করে দেই তাহলে কি হবে যেহেতু চুরির বিষয় খোঁজখবর নিতে গেলে ঝামেলা হতেও পারে
৩।আমাদের গ্রামের একপাশে মারামারি করছি সে পাশে আমাদের তেমন একটা যাওয়া হয়না এখন।প্রায় ৭ বছর আগে আমি একজনকে মারছি কাকে মারছি  তাকে আমি চিনিনা তবে এর মধ্যে একজনকে চিনি। আবার আমাদের পাশের এলাকায় মাহফিলে আসছে তারা তাদের ঐখানে আবার মারতে গেছিলাম তারা চলে গেছে। আগে দাড়ি ছিলো না বা ছোট ছিল এখন দাড়ি রাখছি ঐ এলাকায় যাওয়া হয় না এইজন্য তারা মনে হয় আমাকে ভুলে গেছে এখন মাফ চাইতে গেলে আমার ধারনা হয় কোনো ঝামেলা হতে পারে। এখন তাদের নামে কিছু দান করে দেই তাহলে কি হবে?
৪। ঘুমের ঘরে একজন মেয়ের শরীরে হাত দেই সে সজাগ হয় সে জানেনা কে দিছে আমি পালিয়ে যাই । সে ঘরে ডুকি একটা খিলি ভাংগা ছিল সেই ভাংগা কাঠের টুকরো খিলির যায়গায় লাগানো ছিলো আমি একটু জোরে ধাক্কা দেই ভেঙে গেছে ঘরে ডুকি। যার শরীরে দরছি কার কাছে মাফ চাইতে হবে কি যেহেতু সে জানেনা তার কাছে মাফ চাইলে যদি ঝামেলা হয়। যে মেয়ের শরীরে তার ঘর ছিলো না।  আর ঘরের মালিকের কাছে মাফ চাইতে হবে কি সে যদি জিজ্ঞেস করে কি কারনে যদি কোনো ঝামেলা হয়। তাদের নামে কিছু দান করে দেই তাহলে কি হবে?

৫।নাবালক বাচ্চাদের হক নষ্ট করলে কিভাবে মাফ পাওয়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (662,340 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1364

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) তার কাছে সরাসরি এসব জিনিষ উল্লেখ না করে বরং এভাবে বলবেন যে, আমার দ্বারা যদি আপনার জান মালের কোনো ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। যদি তাকে খুঁজে পাওয়া না যায়, তাহলে তার নামে দান সদকাহ করে দিবেন।
(২) যাদের যাদের ডাব খেয়েছেন, তাদের সবার কাছে অনির্দিষ্ট ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে নিবেন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে তাদের নামে কিছুটা সদকাহ করে নিবেন।
(৩) জ্বী, তাদের সাথে সম্পর্কের উন্নতি করবেন। এবং তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।
(৪) সদকাহ করে দিলেই হবে।
(৫) তাকে খুশী করে দিতে হবে।

বিঃদ্রঃ সর্বক্ষেত্রে সর্বপ্রথম আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...