জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত জাবের রাযি থেকে বর্ণিত
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( الْبَقَرَةُ عَنْ سَبْعَةٍ ، وَالْجَزُورُ - أي : البعير - عَنْ سَبْعَةٍ )
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,গরু সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।এবং উট ও সাতজনের পক্ষ্য থেকে যথেষ্ট হবে।(সুনানু আবি-দাউদ-২৮০৮)
وعن جابر قال : أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم أن نشترك في الإبل والبقر كل سبعة منا في بدنة.
জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন যে, আমরা একটি গরু এবং একটি উটে সাতজন করে শরীক হয়ে যাই।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১২১৮
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
আপনি তাকে নিষেধ করেননি,তার মানে আপনার মৌন সমর্থন ছিল, সুতরাং সদকায়ে ফিতর আদায় হয়ে গিয়েছে, পুনরায় আপনার সদকায়ে ফিতর আদায় করতে হবে না।
(০২)
একটি ওয়াজিব কুরবানী কেবল নিজের পক্ষ থেকে করা যেতে পারে। ওয়াজিন কুরবানীতে মৃত ব্যক্তির জন্য নিয়ত করা ঠিক নয়।
অতএব, যার উপর কুরবানী ওয়াজিব, তাকে প্রথমে নিজের ওয়াজিব কুরবানী আদায় করতে হবে।
এছাড়াও, যদি তিনি মৃত প্রিয়জনের জন্য কুরবানী করতে চান, তাহলে তিনি তা আলাদা পশু দিয়ে বা আলাদা ভাগ নিয়ে কুরবানী করতে পারেন।
তবে, যদি নিজের উপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়া সত্ত্বেও, কেউ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করার নিয়তে কুরবানী করে, তবে তার ওয়াজিব কুরবানী পূর্ণ হবে।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (6/ 335):
(قوله: وعن ميت) أي لو ضحى عن ميت وارثه بأمره ألزمه بالتصدق بها وعدم الأكل منها، وإن تبرع بها عنه له الأكل؛ لأنه يقع على ملك الذابح والثواب للميت، ولهذا لو كان على الذابح واحدة سقطت عنه أضحيته، كما في الأجناس. قال الشرنبلالي: لكن في سقوط الأضحية عنه تأمل اهـ. أقول: صرح في فتح القدير في الحج عن الغير بلا أمر أنه يقع عن الفاعل فيسقط به الفرض عنه وللآخر الثواب، فراجعه.
সারমর্মঃ-
কেউ যদি কারো পক্ষ থেকে তারা আদেশ ব্যতীতই হজ আদায় করে, এক্ষেত্রে হজ আদায়কারী ব্যক্তির থেকে হজের ফরজিয়াত সাকেত হয়ে যাবে,যার পক্ষ থেকে হজ আদায় করা হলো, সেও উক্ত হজ্জের সওয়াব পাবে।
فتاوی قاضی خان:
"ولو ضحی عن میت من مال نفسه بغیر أمر المیت جاز، وله أن یتناول منه ولایلزمه أن یتصدق به؛ لأنها لم تصر ملكًا للمیت؛ بل الذبح حصل على ملکه، ولهذا لو كان علی الذابح أضحیة سقطت عنه".
(فتاویٰ قاضي خان علی هامش الفتاویٰ الهندیة ۳؍۳۵۲ )
সারমর্মঃ-
কেউ যদি নিজের সম্পদ থেকে কোন মাইয়্যিতের পক্ষ থেকে কুরবানী আদায় করে, মাইয়্যিতের পক্ষ থেকে আদেশ ব্যতীতই, তাহলে এটি জায়েজ আছে। এক্ষেত্রে তার গোশত সেও খেতে পারবে, গোস্ত ছদকা করে দেয়া আবশ্যক নয়। কেননা এক্ষেত্রে তাতে মাইয়্যিতের এর মালিকানা নেই।
এক্ষেত্রে যে কুরবানী দিচ্ছে,তার উপর যদি কুরবানী ওয়াজিব হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তার থেকে কুরবানী সাকেত হয়ে যাবে।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যার ওপর কুরবানী ওয়াজিব, নাম তার ই দিতে হবে।
সুতরাং আপনার উপর যেহেতু কুরবানী ওয়াজিব, সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার নামই দিবেন।
মৃত মায়ের নামে আলাদা কুরবানী দিবেন।
তদুপরি সেই কুরবানী যদি আপনি নিজের নামে না দিয়ে আপনার মৃত মায়ের নামে দেন, তদুপরি আপনার পক্ষ থেকে ওয়াজিব কুরবানি আদায় হয়ে যাবে এবং আপনার মা কুরবানীর ছওয়াব পাবেন।
(০৩)
এক ভাগ গরু নফল কুরবানি দিলে সেই সওয়াব সকল কবরবাসীর নিকট ঈসালে সওয়াব করা যাবে।