ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
নাবলকের সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হয় না। জানুন-১০৭৬০
নাবালক সন্তানের মাতাপিতা বা অভিভাবক সন্তানের মালকে বিনা প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে না।সুতরাং মাতপিতা বা অভিভাবক শিশু সন্তানের মালের যাকাত দিতে পারবে না।
(খ)
তথা এমন ঋণ যা উপস্থিত নেসাব পরিমাণ সকল মালকে গ্রাস করে ফেলে।তথা ঋণ দিয়ে দিলে আর তার নিকট আর মালই থাকছে না।
(গ)
উস্তাদ যা বলেছেন,সেটাই সঠিক।অর্থাৎ পরিশোধের সময় নির্ধারিত নয়,এমন মহরের টাকা কোনো প্রভাব ফেলবে না।তবে যদি মহর এমন হয় যে,তা পরিশোধের একটা সময় সীমা উল্লেখ রয়েছে।তাহলে সেই ঋণ যাকাতের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।
আপনি কোন কিতাবে পেয়েছেন।সেটা একটু কমেন্টে জানাবেন।আমরা মূল কিতাব দেখবো।জাযাকাল্লাহ।
(ঘ)
সুদের টাকার একমাত্র খাতই হল,সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সুতরাং সুদের টাকা দিয়ে আপনি আর কোনো কাজ করতে পারবেন না।জাযাকুমুল্লাহ।