আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
426 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
closed by
ক)যাকাত কি নাবালেগ এর টা দিয়ে দিলে সে সওয়াব পাবে? বা যাকাত আদায় হবে?
কিন্তু তার তো বালেগ হওয়া ফরয শর্ত। বালেগ না হলে তো জায়েযই না যাকাত দেওয়াটা।
খ) নেছাব পরিবেষ্টনকারী ঋণ মানে কি? এটা হলে যাকাত দেওয়া লাগে না(ফিকহুল মুয়াসসারে যাকার ফরয  হওয়ার শর্তের ৮ নং পয়েন্ট এ আছে এইটা)

গ) উস্তাদ দরসে বলেছেন, মোহরানা না দিয়ে থাকলে সেটা নেসাব এ প্রভাব ফেলে না। মানে নেসাব কমবে না।

কিন্তু বইয়ে আছে নেসাব থেকে মোহরানা বাদ দিতে হবে যদি না দেওয়া থাকে। কোনটা ঠিক?
ঘ) আমি ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম। সবেমাত্র বের হচ্ছি। আমাদের ভার্সিটি থেকে মাসিক কিছু টাকা দিতো। যা এবি ব্যাংকের মাধ্যমে পেতাম। এতে সুদ যোগ হতো একাউন্টে 6 মাস পরপর। আবার 6মাস (বা অন্য যেকোন সময়ে) অনেক টাকা কেটেও নিত ব্যাংকিং চার্জ হিসেবে। আমি এখন ব্যাংক স্টেটমেন্ট তুলতে চাচ্ছি 4বছর ভার্সিটি জীবনের।  এতেও প্রতি বছরেরটা তুলতে ৫৭৫ টাকা করে লাগবে।
প্রশ্ন হলো সুদ যা পেয়েছি তা কি এইসব ব্যাংকিং চার্জ (যা ব্যাংক কেটে রাখে) বা স্টেটমেন্ট তোলার (৫৭৫*৪) টাকা দ্বারা কমে যাবে? নাকি আমাকে 4বছরের সব সুদ দান করে দিতে হবে সওয়াব এর আশা ছাড়া। আমার এইসব টাকা যে ব্যাংক কেটে রাখে এইসব কি সুদের পরিমাণ কমাচ্ছে না?
closed

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ক)
নাবলকের সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হয় না। জানুন-১০৭৬০

নাবালক সন্তানের মাতাপিতা বা অভিভাবক সন্তানের মালকে বিনা প্রয়োজনে খরচ করতে পারবে না।সুতরাং মাতপিতা বা অভিভাবক শিশু সন্তানের মালের যাকাত দিতে পারবে না।

(খ)
তথা এমন ঋণ যা উপস্থিত নেসাব পরিমাণ সকল মালকে গ্রাস করে ফেলে।তথা ঋণ দিয়ে দিলে আর তার নিকট আর মালই থাকছে না।

(গ)
উস্তাদ যা বলেছেন,সেটাই সঠিক।অর্থাৎ পরিশোধের সময় নির্ধারিত নয়,এমন মহরের টাকা কোনো প্রভাব ফেলবে না।তবে যদি মহর এমন হয় যে,তা পরিশোধের একটা সময় সীমা উল্লেখ রয়েছে।তাহলে সেই ঋণ যাকাতের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে।

আপনি কোন কিতাবে পেয়েছেন।সেটা একটু কমেন্টে জানাবেন।আমরা মূল কিতাব দেখবো।জাযাকাল্লাহ।

(ঘ)
সুদের টাকার একমাত্র খাতই হল,সওয়াবের নিয়ত ব্যতীত সদকাহ করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সুতরাং সুদের টাকা দিয়ে আপনি আর কোনো কাজ করতে পারবেন না।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (22 points)
গ নং প্রশ্নের বইয়ের নাম এসো ফিকহ শিখি। বইয়ের পৃষ্ঠা ১২০, পিডিএফ এর পৃষ্ঠা ১২৮. সেখানে এতো ভালোভাবে বলা নাই।
by (22 points)
উস্তাদ ঘ এর উত্তর পুরোপুরি পেলাম না। ব্যাংক আমার থেকে টাকা কাটে কিছুদিন পর পর, এইসব কি সুদের পরিমাণ কমাচ্ছে?  এইটা জিজ্ঞেস করেছিলাম। দয়া করে উত্তর দিবেন। অনেক মানসিক অস্থিরতায় আছি। জাযাকাল্লাহু খাইরান।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...