আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (5 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ, উস্তায।

১.নগদে সরকার অনেককে অনুদান দিচ্ছে। আমার বোনও সাত হাজার টাকা পেয়েছে। এই টাকা গ্রহণ করা কি জায়েজ? যদি নাজায়েয হয় তাহলে কিভাবে এটা ব্যবহার করব? বলে রাখা বাহুল্য,  আমাদের ফ্যামিলি যথেষ্ট স্বাবলম্বী।

২. বিতরের সালাত কাযা হলে কখন আদায় করা উত্তম? দিনে নাকি রাতে?

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনারা যদি সেই টাকা গ্রহণের যোগ্য না হোন,এটা যদি গরিবদের জন্য দেয়া অনুদান হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এ টাকা গ্রহণ করবেননা।

গ্রহণ করলে তাহা ফকির মিসকিনদের মাঝে দিয়ে দিবেন

(০২)

https://ifatwa.info/674/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

বিতির নামায ওয়াজিব এবং ওয়াজিবের কাযা করতে হয়।

যদি সুবহে সাদিকের আগে আপনার ঘুম না ভাঙ্গেঅন্যদিকে সময় এ পরিমাণ বাকী থাকে যেফজর পড়া ছাড়া আরো ও কিছু নামায পড়া যাবেওয়াক্ত বাকী রয়েছেতাহলে প্রথমে বিতিরকে কাযা করবেন। তারপর ফজরের নামায পড়বেন।


তবে যদি সময় এতটুকু বাকী  না থাকে যেফজরের নামায ছাড়া আরো কিছু নামায পড়া যাবেতাহলে এমতাবস্থায় শুধু্ ফজরের নামায পড়বেন। বিতিরের নামাযকে পরবর্তীতে কাযা করে  নিবেন।

আবকে মাসাঈল-২/৩৩৬


বিতিরের কাযা রয়েছে।যেভাবে তাকে তার ওয়াক্তে আদায় করতে হয় সেভাবে তার কাযা পড়তে হবে। এক্ষেত্রে হানাফি মাযহাব মত আদ্বা এবং কাযার মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৭/৩৬৬)


আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...