ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/19450/ নং
ফাতাওয়াতে আমরা বলেছি যে,
নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ
হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
قَدْ
نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً
تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا
كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ
لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا
يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤]
নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের
দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব
যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই
থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা
অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর
নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}
,
★নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী
না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। যারা সরাসরি কিবলা দেখতে পায় না, তাদের জন্য যেহেতু সরাসরি বাইতুল্লামুখী হওয়া সম্ভব নয়। তাই তাদের
জন্য আবশ্যক হল জিহাতে কিবলা তথা কিবলামুখী হওয়া। আর যারা সরাসরি বাইতুল্লাহ দেখে তাদের
জন্য সরাসরি বাইতুল্লাহমুখী হওয়া আবশ্যক।
,
নামাযে কিবলামুখী হওয়া আবশ্যকীয়
বিষয়। এটি ছাড়া নামাযই শুদ্ধ হয় না। তাই নামায পড়ার সময় ভাল করে কিবলা দিক ঠিক করে
নেয়া জরুরী।
,
★ মসজিদ যদি বেঁকে গিয়ে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘুরে যায়, তাহলে এইভাবে নামাজ হবেনা। এক্ষেত্রে নামাজের সময় সঠিক ভাবে কিবলার
দিক মুখ করে কাতার সোজা করা বাধ্যতামূলক। বা সঠিক দিক করে কাতারের দাগ দিয়ে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে কোনো অভিজ্ঞ ব্যক্তির
দ্বারা মেপে নিতে হবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/4942/
,
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
,
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজ হয়ে
যাবে ইনশাআল্লাহ।