আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
35 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম,
জনাব কেমন আছন?

বাংলাদেশের একজন আমদানিকারক (ইম্পোর্টার), আমাদের এক পরিচিত ভাইকে একটি নির্দিষ্ট পণ্য বিদেশ থেকে সোর্সিং করে দিতে বলেছেন। সাধারণত এই পণ্যের মোড়কে “Made in Taiwan” লেখা থাকে এবং আমদানিকারকও সেটি চায় মোড়কে লিখা থাকুক।

কিন্তু আমাদের ওই ভাই লক্ষ্য করেছেন, একই গুণগত মান বজায় রেখে যদি পণ্যটি চীনে (China) তৈরি করা হয়, তাহলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে এবং ব্যবসায়িকভাবে তা আরও লাভজনক হবে।

এখন পণ্যটি যদি চীনে তৈরি করে, তার মোড়কে “Made in Taiwan” লিখতে  দেয়া হয়। এবং এই ব্যাপারটা আমদানিকারককে এই বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হবে যে, পণ্যটি চীনে তৈরি, তাইওয়ানে নয়। অর্থাৎ, সেই ব্যাক্তি জানবে পণ্যের প্রকৃত উৎপত্তিস্থান, কিন্তু মোড়কে তা উল্লেখ থাকবে না। বলে রাখা উল্লেখ্য যে সাধারণ ক্রেতার কাছে তা অজানা থাকবে।

এই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন হলো:
যেহেতু পণ্যের প্রকৃত উৎপত্তি চীন হলেও এর মোড়কে  “Made in Taiwan” লেখা হলে—তাহলে এ ধরনের কাজ কি ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবে? এই কাজ কি প্রতারণা, মিথ্যাচার, বা হারাম উপার্জনের শামিল হবে? ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজের বিধান কী?

1 Answer

0 votes
by (626,850 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে এ ধরনের কাজ ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ হবেনা। এই কাজ প্রতারণা, মিথ্যাচার এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

তবে পন্য হালাল হলে এটি হারাম উপার্জনের শামিল হবেনা। উপার্জন হালাল হিসেবেই থাকবে।

ইসলামের দৃষ্টিতে এই কাজ ধোকার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় নাজায়েজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...