আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
33 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ উস্তায,
আমার কিছু প্রশ্ন আছে। আর কিছু পরামর্শ ও নসীহত চাইছি। একটু লম্বা করে লিখলাম-


আমার বিয়ের ৫-৬ মাস হলো মাত্র। আমি কখনো এমন মাইন্ডসেট নিয়ে আসিনি যে, আমার শশুর-শাশুড়ি থেকে আলাদা থাকবো। বিয়ের পর থেকে তাদের সাথে আদব, ভালো আচরণ, হাসিখুশি চলাফেরা সবকিছু বজায় রেখে চলি। রান্নার কাজে হেল্প করি। সংসারের সকল দায়িত্ব শিখে নেয়া ও পালন করার চেষ্টা করি। তারাও অনেক উদার ও মহান আচরণ করেছেন আমার সাথে। আমার স্বামী একজন দ্বীনদার মানুষ এবং আমিও দ্বীন দেখেই বিয়ে করেছি, দ্বীনের পথে আমিও চলার চেষ্টা করি। কিন্তু রিসেন্ট, আমার শশুর-শাশুড়ি আমার পিতামাতা রিলেটেড কটু কথা/খোঁচা কথা শুনাইছেন। বিয়ের সময় বাবার বাড়ি থেকে কিছু দেয়নি, সামাজিকতার উদাহরণ, ঈদের সময় পোশাক না দেয়া, আমার পিতামাতার ম্যানারস নাই ইত্যাদি অনেক কথা। উল্লেখ্য আমার পরিবার ও আমার শশুড়বাড়ির পরিবার কঠোরভাবে দ্বীন মানেন না (আল্লাহ তাদেরকে হিদায়াত দান করুন আমিন)। সবচেয়ে কষ্ট লেগেছে তারা একটি পাঞ্জাবি চুরি করার অপবাদ দিয়েছে আমার ভাইকে। এখন তাদের প্রতি আমার আর ভালো লাগা কাজ করে না, মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে তাদেরকে। তবুও আমি হাসিখুশি চলার চেষ্টা করি তাদের সাথে, আসলে মায়াও লাগে মাঝে মাঝে। আপাতত তারাও আমার সাথে খারাপ আচরণ কিছু করতেছে না, আমার সাথে ভালোই চলতেছেন। কিন্তু মন থেকে তাদের এইসব মেন্টালিটি আমি মুছতে পারছি না। আর তাছাড়া এখানে পর্দার কিছু সমস্যা হয়। আমার শশুড় একদিন উনার পিঠ মুছে দিতে বলেছিলো। আমি আসলে তাদের সাথে থাকতে এখন নাখোশ, কিন্তু নারাজ নই। কারণ আমার স্বামী যেন আরামে তাদের হক আদায় করতে পারে তাই আমি সহ্য করছি, রাজি হয়ে আছি। আমি জানি, ইসলামে একক পরিবার সাপোর্ট করে, আর আমি তাদের খেদমত করতে বাধ্যও নই। আর যদি আমি আর আমার স্বামী তাদের থেকে দূরে কোথাও আলাদা অবস্থান করি তাহলে তেমন কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। আমার শাশুড়ী এখনো কর্মঠ, রান্নাবান্না সব নিজেই করতে পারেন। শশুড়ও রিসেন্টলি হার্ট অ্যাটাক করেছেন, কিন্তু বাজার সদাই তিনিই করেন। মানা করলেও কথা শোনেন না। বাসায় আমার দেবর আর জা আছে। জা চাকরি করে। আমার স্বামী আর দেবর আপাতত পরিবারের বাজার সদাই বা এমন কোনো দায়িত্ব পালন করেন না, টুকটাক হঠাৎ করেন, সারাদিন চাকরি করেই তাদের সময় যায়। আর তাছাড়া শশুর-শাশুড়ি নিজেও তাদেরকে সাংসারিক কাজ করতে চাপ দেন না, আদরে যত্নে রাখেন। সবমিলিয়ে আমি মনে করি, আমরা আলাদা হইলে তাদের চলাফেরায় তেমন অসুবিধা হবে না। আর তাছাড়া আমাদের ঘরের কাজ করার জন্য প্রতিদিন একজন বোয়া আসেন, তবুও যদি আমার স্বামী তাদের জন্য আলাদা খাদিমা ঠিক করে দেয় তাহলে আমরা দূরে থাকতে সমস্যা হওয়ার কথা না।
আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আমি রাসুল ﷺ এর দেশে যেতে চাই। কিন্তু আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আপাতত যাওয়া অসম্ভব। আল্লাহর উপর তাওয়াককুল আছে, আল্লাহ ব্যবস্থা করলেই সম্ভব যেকোনো উছিলায়। সৌদি আরবে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া যায় নারীদেরও। এখন পুনরায় সার্কুলার এসেছে। আমি সব ইনফরমেশন নিয়ে দেখেছি, আমার স্বামীর পিএইচডি এপ্লাই করার সুযোগ আছে আর আমার অনার্স এপ্লাই করার সুযোগ আছে। এবং আল্লাহ চাইলে আমাদের দুজনেরই চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি উনি পিএইচডি শেষ করে ওই দেশে জব পাইলে থেকে যেতেও পারবে, সাথে উনার ফ্যামিলি হিসেবে আমিও থেকে যেতে পারবো। ওই দেশে সহশিক্ষাও নাই। এখন এই সুযোগটাকে সফল করতে আমার অনেক ইচ্ছে হচ্ছে। আমি আল্লাহর কাছে দু'আ করতেছি, ভিক্ষা চাইতেছি। এক্ষেত্রে আমাদের স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পাশাপাশি আমি আমার শশুর-শাশুড়ি থেকেও আলাদা অবস্থান করতে পারবো। যদিও তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবো ইনশাআল্লাহ। আর স্কলারশিপে পড়তে গেলে মাসিক বৃত্তি থেকে আমরা পরিবারকে টাকাও পাঠাতে পারবে, খাদিমা ঠিক করে দিতে পারবো। এভাবে দূরে গেলে আলাদা হওয়ার কোনো দাঙ্গা হাঙ্গামাও হবে না। সবদিক মিলিয়ে আমি এই পথটাই চাচ্ছি। আরেকবার আমি বিয়ের আগে সৌদি স্কলারশিপ এপ্লাই করতে চাইছিলাম, কিন্তু আইওএমের ইফতা বিভাগ থেকে মাহরাম ছাড়া সফর জায়েজ হবে না জেনে তা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করেছিলাম। এবার যেহেতু মাহরামসহ সুযোগ আছে তাহলে ইস্তেখারা করে এবং আল্লাহর উপর তাওয়াককুল করে এগিয়ে যাওয়া উচিত না?
এখন আমার এই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কিছু প্রশ্ন-


১. শশুর-শাশুড়ির কটু কথা শুনে মন খারাপ হওয়ায় আমার স্বামী আমাকে স্বান্তনা দিয়েছে, সবর করতে বলেছে। কিন্তু আবার এটাও বলেছিলো যদি আমি সহ্য করতে না পারি তাহলে নাকি আমাকে আলাদা রেখে তিনি মা-বাবার কাছে থাকবে তাদের হক পূরণের জন্য। এটার শরয়ী দিকনির্দেশনা কি? স্ত্রীর সাথে থেকে পিতামাতার খেদমত দূর থেকে করা যায় না? নাকি স্ত্রীকে দূরে ফেলে রাখা যায়?
২. স্কলারশিপের ব্যাপারে পরামর্শ কি উস্তায? আমি কি আমার স্বামীকে বুঝিয়ে দুজনে এভাবে যাওয়াটা ভালো হবে?


৩. আর দূরে থেকে ছেলেদের জন্য পিতামাতার সেবা করার নমুনা কেমন? মানে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে টাকা পাঠিয়ে তাদেরকে যাবতীয় সকলকিছুর সুব্যাবস্থা করে দিলে হবে না? শারীরিক খেদমত নিজে করার সুযোগ না থাকলে কি গোনাহ হবে?


৪. আমার রুমের বেলকনিতে পর্দা দিয়ে আবৃত করতে মন চায় আমার। কিন্তু আমার শাশুড়ী এখানে অনেক ছোট ছোট গাছ লাগিয়েছেন শখ করে। আর তিনি এটাকে বাড়াবাড়ি মনে করবে। অথচ আমার কাপড় শোকানোর জন্য বেলকনিই একমাত্র জায়গা। এই অবস্থায় কি করবো আমি?


৫. আমার বিয়েতে ফাতেমি মোহর নির্ধারণ করা হয়েছিলো। শশুর শাশুড়ি আমার জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকার স্বর্ণ দিছেন। আমার স্বামী বলেছে এটা মোহর হিসেবে আর বাকি টাকা তিনি আস্তে আস্তে দিবে। (বাকি টাকা না দিলেও আমার সমস্যা নাই, মন থেকে মাফ দেয়া আমার)। কিন্তু আমার শাশুড়ী সেদিন আমাকে কথা শোনানোর সময় বলছিলো সামাজিকতা মেইনটেইন করতে গয়না দিছেন, এগুলো মোহর না। এখন আমি কি এগুলোকে মোহর ধরতে পারবো? তাহলে কি আমার স্বামীর তরফ থেকে মোহর পুরোটাই বাকি রয়ে গেছে? যদিও আমি এটা মাফ করে দিয়েছি, কারণ আমার স্বামী তো আমাকে ইচ্ছাকৃত মোহর না দিয়ে হক নষ্ট করেনি। গয়নাটা তো উনার ইখতিয়ারে না, উনার পরিবারের দেয়া। নাকি এই গয়নাকে আমি আমার মোহর ধরতে পারবো?
by (14 points)
উস্তায, আরেকটু সংযোজন করি। আমি কিন্তু চাই না আমার স্বামী তার নিজ পিতামাতার সাথে খারাপ আচরণ করুক। আমি চাই তাদের মাঝে সুসম্পর্ক থাকুক। আর তারাও তাদের ছেলেকে অর্থাৎ আমার স্বামীকে অনেক ভালোবাসে, আমাকেও হয়তো  ভালোবাসে। আমার শশুড় আমাকে জিজ্ঞেস করেন, "আমার সাথে রাগ করছো মা?" কিন্তু আমার স্বামী অফিসে চলে যাওয়ার পরে এসে বলে গেছেন, আমি যদি আমার স্বামীর সাথে এসব ব্যাপার নিয়া অশান্তি করি তাহলে নাকি আমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিবে!! এটা কি আমার শশুড় ভয় দেখাইলেন নাকি হুমকি! সুবহানআল্লাহ! 

1 Answer

0 votes
by (629,460 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا… أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ
বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যে, তোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত, ১/৬০৪)

قَوْلُهُ خَالٍ عَنْ أَهْلِهِ إلَخْ) ؛ لِأَنَّهَا تَتَضَرَّرُ بِمُشَارَكَةِ غَيْرِهَا فِيهِ؛؛ لِأَنَّهَا لَا تَأْمَنُ عَلَى مَتَاعِهَا وَيَمْنَعُهَاذَلِكَ مِنْ الْمُعَاشَرَةِ مَعَ زَوْجِهَا وَمِنْ الِاسْتِمْتَاعِ إلَّا أَنْ تَخْتَارَ ذَلِكَ؛ لِأَنَّهَا رَضِيَتْ بِانْتِقَاصِ حَقِّهَا هِدَايَةٌ )

স্ত্রীকে এমন একটি বাসস্থান দান করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব,যা স্বামীর পরিবার থেকে খালি থাকবে,কেননা সে অন্যর উপস্থিতির ধরুণ কষ্ট উপভোগ করবে,এবং তার মাল সামানা পুরোপুরি সংরক্ষিত থাকবে না।তৃতীয় কারো উপস্থিতি স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন ও একান্ত সময় অতিবাহিত করতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। এ জন্য একটি পৃথক বাসস্থান স্ত্রীর মৌলিক অধিকার।তবে যদি সে তার নিজ অধিকার বিসর্জন দিতে রাজি হয় যায় তাহলে তার জন্য অনুমিত রয়েছে (যদি এক্ষেত্রে গোনাহের কোনো সম্ভাবনা না থাকে)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/430

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনার স্বামীকে নিয়ে আলাদা বাসস্থানে থাকতে পারেন,বা প্রশ্নে উল্লেখিত দেশে গিয়েও থাকতে পারেন,এক্ষেত্রে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ হতে কোন সমস্যা নেই।

(০২)
আপনার স্বামী যেতে রাজি হইলে সেক্ষেত্রে আপনারা উভয়ে যেতে পারেন।

(০৩)
তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলে বা তারা উপার্জনে সক্ষম থাকলে সেক্ষেত্রে তো তাদের টাকা পৌঁছানোর আবশ্যকীয়তা নেই।

তবে যদি তারা উপার্জন অক্ষম হয়ে যায় এবং আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকে নিজেদের টাকায় যদি তাদের ভরণ পোষণ কোনোভাবেই সম্ভব না হয় এবং আপনার স্বামীর দৈনন্দিন খরচ, পরিবারের খরচাদি বাদ দিয়েও তার যদি অতিরিক্ত টাকা বেঁচে যায় সেক্ষেত্রে আপনার স্বামীর আপনার শ্বশুর শাশুড়ির খরচের টাকা দেয়া আবশ্যক। 

এক্ষেত্রে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে টাকা পাঠিয়ে তাদেরকে যাবতীয় সকল কিছুর সুব্যাবস্থা করে দিলে হবে।

যদি অসুস্থতার দরুন শারীরিক খেদমতের  জরুরত থাকে, সেক্ষেত্রে খাদেম বা খাদেমা রাখা যেতে পারে।

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
পর্দার সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বামীর সাথে আলোচনা করে আপনার রুমের বেলকনিতে পর্দা দিয়ে আবৃত করতে পারেন।

পর্দার সমস্যা হলে এটি আপনার স্বামীর উপর আবশ্যক। 

(০৫)
এক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বামীর সাথে স্পষ্ট ভাবে কথা বলবেন যে তিনি তার বাবা-মার উপস্থিতিতে উক্ত গহনা আপনাকে একেবারে দিয়ে দিবেন মোহরানা স্বরূপ, এবং বিষয়টি তার বাবা-মা সকলের সামনে যেন স্পষ্ট আকারে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।

যদি আপনার স্বামী উক্ত ব্যবস্থা না নেয়,সেক্ষেত্রে (আপনি যেহেতু মৌখিক/লিখিত ভাবে ভাকি মোহরানা মাফ করে দেননি) তাই পুরোপুরি মোহরানা গ্রহণের হকদার আপনি এখনো থেকে যাবেন।

আপনার স্বামীকে অবশ্যই মোহরে ফাতেমী পরিমাণ টাকা বা সমপরিমাণ মূল্যের কোন কিছু আপনাকে দেওয়া আপনার স্বামীর উপর আবশ্যক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
উস্তায, দয়া করে একটু দেখুন। তিন নং প্রশ্নটি আমি মেয়েদের পিতামাতার খেদমত সম্পর্কে করিনি, আমার স্বামী দূরে থেকে কিভাবে তার পিতামাতার হক পূরণ ও খেদমত আঞ্জাম দিবে তা জানতে চাচ্ছি। 
by (629,460 points)
মেয়েদের আর ছেলেদের একই বিধান


by (629,460 points)
উভয়ের বিধান একই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...