জবাবঃ-
(০১)
তাকবিরে তাশরিক জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত পড়া হয়।
তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে, যাতে নিজে শোনে। ( শামি : ২/১৭৮)
হাদিস শরিফে এসেছেঃ
عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى الصبح من غداة عرفة يقبل على أصحابه، فيقول: على مكانكم، ويقول: “الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد” فيكبر من غداة عرفة إلى صلاة العصر من آخر أيام التشريق، (سنن الدار قطنى، باب العيدين-2/38، رقم-1721)
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন আরাফার দিন ফজর নামাজ পড়তেন,তখন ছাহাবায়ে কেরামদের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন।
নিজ স্থানে থেকেই বলতেনঃ
الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد”
আরাফার দিনের ফজর নামাজ থেকে আইয়্যামে তাশরিকের আছর পর্যন্ত তাকবির বলতেন।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত তাকবীরে তাশরিক জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর হয়ে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত আইয়ামে তাশরিক উপলক্ষ্যে পড়া ওয়াজিব।
কিন্তু এই দিন গুলোতে যেসব নারীরা হায়েজগ্রস্থ থাকবে, তাদের উপর এই আমল ওয়াজিব নয়।
আরো জানুনঃ-
তবে তারা যদি এই দিন গুলিতে উক্ত তাকবির পাঠ করে,তাহলে তাহা নাজায়েজ হবেনা।
আরো জানুনঃ-
(০২)
রহমতের ফেরেশতা আসবে,এতে বাধা নেই।
তবে গায়রে মাহরাম পুরুষ যেনো চুরির ঝনঝন আওয়াজ শুনতে না পায়।
(০৩)
লাগানো যাবে।
তবে আইনি ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেক্ষেত্রে তাহা ভিন্ন কথা।
(০৪)
সে ব্যক্তি যদি আশেপাশের মানুষদেরকে বলে ভালোভাবে অনুসন্ধান করে,দলিল ইত্যাদি গবেষণা করে তারপর কেবলার দিক একটি নির্ধারণ করে নামাজ আদায় করে এবং নামাজের মধ্যে কেউ এসে যদি তাকে সঠিক দিক বলে দেয় তাহলে সে সঠিক দিক হয়ে নামাজ বাকি নামাজ আদায় করবে।
এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজটি আদায় করার প্রয়োজন নেই।
আর যদি সে ব্যক্তি আশেপাশের মানুষদের থেকে অনুসন্ধান না করে এবং কোন প্রকারের গবেষণা না করে,একটা দিক হয়ে নামাজ পড়তেছে,এমতাবস্থায় যদি কেউ এসে বলে যে সে ভুল দিক হয়ে নামাজ আদায় করছে। সঠিক দিক হলো অন্যটা। সেক্ষেত্রে সে নামাজ ছেড়ে দিয়ে নতুন করে সঠিক দিক হয়ে পুরো নামাজ আদায় করবে।