আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
১. উস্তাদ  জিলহজের প্রথম ১০ দিন প্রতি ফরজ নামাজের পর তাকবীরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। কিন্তু যারা হায়েজগ্রস্ত থাকবে তাদের জন্য এই আমলের বিধান কী?

২. একসাথে অনেকগুলো কাঁচে চুরি পড়লে একটার সাথে আরেকটা লেগে ঝুন ঝুন   আওয়াজ হয়। এই আওয়াজের জন্য কি ঘরে রহমতের ফেরেশতা আসতে পারবে না?


৩.সরকারি গাড়ি,দেয়াল, বেঞ্চে কী ইসলামিক লেখালেখি,পোস্টার লাগানো যাবে? এর বিধান কি?

৪.অপরিচিত জায়গায় গিয়ে কেউ যদি কিবলা মুখী হয়ে নামাজ না পড়ে ভুল করে অন্যদিকে হয়ে নামাজ পড়তে থাকে।আর নামাজরত অবস্থায়  কেউ তাকে কিবলার কথা স্মরন করিয়ে দিলে করনীয় কী?নামাজ কি সাথে সাথেই ছেড়ে দিবে নাকি নামাজ পড়তে থাকবে?

1 Answer

0 votes
by (636,510 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
তাকবিরে তাশরিক জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত পড়া হয়। 

তাশরিকের দিনগুলোতে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষদের ওপর উচ্চৈঃস্বরে একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। আর নারীরা নিচু স্বরে পড়বে,  যাতে নিজে শোনে। ( শামি : ২/১৭৮)

হাদিস শরিফে এসেছেঃ  

عن جابر بن عبد الله رضى الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا صلى الصبح من غداة عرفة يقبل على أصحابه، فيقول: على مكانكم، ويقول: “الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد” فيكبر من غداة عرفة إلى صلاة العصر من آخر أيام التشريق، (سنن الدار قطنى، باب العيدين-2/38، رقم-1721)

সারমর্মঃ 
রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন আরাফার দিন ফজর নামাজ পড়তেন,তখন ছাহাবায়ে কেরামদের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিতেন।
নিজ স্থানে থেকেই বলতেনঃ
الله أكبر الله اكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر الله أكبر ولله الحمد”
আরাফার দিনের ফজর নামাজ থেকে আইয়্যামে তাশরিকের আছর পর্যন্ত তাকবির বলতেন।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত তাকবীরে তাশরিক জিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর হয়ে ১৩ তারিখ আছর পর্যন্ত আইয়ামে তাশরিক উপলক্ষ্যে পড়া ওয়াজিব।

কিন্তু এই দিন গুলোতে যেসব নারীরা হায়েজগ্রস্থ থাকবে, তাদের উপর এই আমল ওয়াজিব নয়।

আরো জানুনঃ- 

তবে তারা যদি এই দিন গুলিতে উক্ত তাকবির পাঠ করে,তাহলে তাহা নাজায়েজ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
রহমতের ফেরেশতা আসবে,এতে বাধা নেই।

তবে গায়রে মাহরাম পুরুষ যেনো চুরির ঝনঝন আওয়াজ শুনতে না পায়।

(০৩)
লাগানো যাবে।
তবে আইনি ভাবে নিষেধাজ্ঞা থাকলে সেক্ষেত্রে তাহা ভিন্ন কথা।

(০৪)
সে ব্যক্তি যদি আশেপাশের মানুষদেরকে বলে ভালোভাবে অনুসন্ধান করে,দলিল ইত্যাদি গবেষণা করে তারপর কেবলার দিক একটি নির্ধারণ করে নামাজ আদায় করে এবং নামাজের মধ্যে কেউ এসে যদি তাকে সঠিক দিক বলে দেয় তাহলে সে সঠিক দিক হয়ে নামাজ বাকি নামাজ আদায় করবে।

এক্ষেত্রে পুনরায় নামাজটি আদায় করার প্রয়োজন নেই।

আর যদি সে ব্যক্তি আশেপাশের মানুষদের থেকে অনুসন্ধান না করে এবং কোন প্রকারের গবেষণা না করে,একটা দিক হয়ে নামাজ পড়তেছে,এমতাবস্থায় যদি কেউ এসে বলে যে সে ভুল দিক হয়ে নামাজ আদায় করছে। সঠিক দিক হলো অন্যটা। সেক্ষেত্রে সে নামাজ ছেড়ে দিয়ে নতুন করে সঠিক দিক হয়ে পুরো নামাজ আদায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...