আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
19 views
ago in সালাত(Prayer) by (2 points)
আমি তাহাজ্জুদ এর সময় উঠতে গিয়ে দেরি করে ফেলি,ফযর এর ওয়াক্ত ৩.৫১ থেকে ,আমি তাহাজ্জুদ এর ৪ রাকাত নামায আদায় করেছি ৩.৫২ থেকে...
ঘুম ঘুম ভাব থাকায় মনে ছিল না যে ফযরের ওয়াক্তে অন্য নামায আদায় করা নিসেধ...আমি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে কয়েকদিনের জন্য নিয়মিত তাহাজ্জুদ এর নামায আদায় করার প্লান করেছিলাম,
এখন উক্ত দিনের তাহাজ্জুদ কি আদায় হয়েছে আমার?

1 Answer

0 votes
ago by (75,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তাহাজ্জুদের প্রধান সময় রাতের শেষ প্রহর। শেষ প্রহর বলতে রাতের শেষ তৃতীয়াংশ থেকে ফজর সালাতের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগ পর্যন্তকে বোঝানো হয়েছে।

জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ বলেছেন,

مَنْ خَافَ أَنْ لَا يَقُومَ مِنْ آخِرِ اللَّيْلِ فَلْيُوتِرْ أَوَّلَهُ، وَمَنْ طَمِعَ أَنْ يَقُومَ آخِرَهُ فَلْيُوتِرْ آخِرَ اللَّيْلِ، فَإِنَّ صَلَاةَ آخِرِ اللَّيْلِ مَشْهُودَةٌ ، وَذَلِكَ أَفْضَلُ

যে ব্যক্তি শেষ রাতে উঠতে না পারার আশংকা করবে, সে যেন শুরু রাতেই বিতির পড়ে নেয়। আর যে ব্যক্তি রাতের শেষ ভাগে উঠে (ইবাদত) করার লালসা রাখে, সে যেন রাতের শেষ ভাগেই বিতির সমাধান করে। কারণ, রাতের শেষ ভাগের সালাতে ফেরেশতারা হাজির হন এবং এটিই উত্তম আমল। সহীহ মুসলিম ৭৫৫

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

,

যদি তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত সামান্য পরিমাণ অবশিষ্ট থাকা কালেও আপনি উক্ত সালাত শুরু করে থাকেন তাহলে তা তাহাজ্জুদ হিসেবে গণ্য হবে। অন্যথায় নয়। আর এটা ভুলবশত হওয়ার কারণে কোনো সমস্যা নেই ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...