আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
526 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ

আমার বাসার পাশে মাজারে ওরশ হচ্ছে,ওরা আমাদের বাসায় আইসা বিরিয়ানি দিয়ে গেছে,প্রথমে একবার আইসা দিয়ে গেছে,পরবর্তীতে আবার আইসা দিয়ে গেছে তখন আমি নিজ হাতে নিয়েছি কিন্তু জানি এগুলো শিরক মিশ্রিত অনুষ্ঠান এর খাবার।কিন্তু বাসায় দিতে চলে আসছে তাই পরিস্থিতির জন্য হাতে নিয়ে নিয়েছি।
এতে কি আমার ঈমান নষ্ট হবে??

উক্ত খাবার গুলো কি করবো? কারণ এগুলো খাওয়া তো হারাম।

সুদখোর, অন্যায়ভাবে হত্যাকারী এবং সম্পদ বন্টনে প্রতারণাকারী কি চিরস্থায়ী জাহান্নামি?
আল্লাহ সুবহানাওয়াতায়ালা কুরআনে এই ব্যাপারে কি বলেছেন?

ইমামের সাথে রুকুতে গিয়ে সালাত ধরেছি এবং আমার একবার সুবহানা রব্বিয়াল আজীম এর আজীম বলার সময় ইমাম সামিআল্লাহ হুলিমান হামিদাহ বলা শুরু করেছে।
আমি ধরে নিয়েছি আমার রাকাত টি ছুটে গেছে এবং অই রাকাত টি আবার পড়ে সালাত সম্পন্ন করেছি।
আমার সালাত হয়েছে তো?

1 Answer

0 votes
by (590,040 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
১৩৮২ নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি

আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : « ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘﺒﻞُ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻳُﺜﻴﺐُ ﻋﻠﻴﻬﺎ »
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়া গ্রহণ করতেন।এবং তার বিনিময়/প্রতিদান ও দিতেন।(সহীহ বুখারী-২৪৪৫)

ﻭﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : « ﻟﻮ ﺃُﻫـﺪﻳـﺖ ﺇﻟـﻲَّ ﺫﺭﺍﻉٌ ﻟﻘﺒـﻠﺖُ، ﻭﻟﻮ ﺩُﻋﻴﺖُ ﺇﻟﻰ ﻛُﺮﺍﻉٍ ﻷَﺟﺒﺖُ »
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ আমার নিকট জন্তুর বাহু হাদিয়া পাঠায়,তাহলে আমি তা কবুল করব।আর যদি কেউ আমাকে পায়ের খুরা রেঁধেও দাওয়াত দেয়, তাহলেও আমি জবাব দিবো।(সহীহ বুখারী-৪৮৮৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিদ'আতিদের অনুষ্টানে তৈরীকৃত খাবার যদি পশু গোস্ত দ্বারা হয়,এবং উক্ত পশুকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন ব্যতীত অন্য কারো নৈকট্য অর্জনের বা সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জবাই করা হয়,তাহলে বিসমিল্লাহ বলে জবাই করার পরও উক্ত খাবার জায়েয হবে না।কেননা এখানে আল্লাহ ব্যতীত ভিন্ন কারো সম্মানে জবাই করা হয়েছে,যা স্পষ্টত হারাম ও নাজায়েয।যেমনটা মুফতী শফী রাহ মা'রিফুল কুরআন গ্রন্থে নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় উল্লেখ করেছেন।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللّهِ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلاَ عَادٍ فَلا إِثْمَ عَلَيْهِ إِنَّ اللّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মৃত জীব, রক্ত, শুকর মাংস এবং সেসব জীব-জন্তু যা আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো নামে উৎসর্গ করা হয়। অবশ্য যে লোক অনন্যোপায় হয়ে পড়ে এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন পাপ নেই। নিঃসন্দেহে আল্লাহ মহান ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু।(সূরা বাকারা-১৭৩)


তবে যদি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের নিমিত্তেই জবাই করা হয়ে থাকে,কিংবা খাবার/শিরণি গোস্ত ব্যতীত ভিন্ন কিছু হয়,তাহলে বিদ'আতিদের তৈরী এমন খাবার ভক্ষণ/গ্রহণ করা যদিও হালাল।তবে এসব খাবার ভক্ষণ/গোহণ করা বা তাদের অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করা কখনো উচিৎ হবে না।যাতেকরে বিদ'আতিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়াটা কথায় কাজে মিল থাকে।

হ্যা যদি বাসায় দিয়ে দেয়,তাহলে সেটা গ্রহণ করে নিতে পারেন,তবে সাথে সাথে তাদেরকে বিদ'আত সম্পর্কে কিছু নসিহতও করে দিবেন।যাতেকরে তারা সহ আশপশের লোকজন বুঝে নিতে সক্ষম হয় যে,তাদের করে যাওয়া কাজটি নিঃসন্দেহে বিদ'আতের অন্তর্ভুক্ত।

(২)সুদখোর, অন্যায়ভাবে হত্যাকারী এবং সম্পদ বন্টনে প্রতারণাকারী চিরস্থায়ী জাহান্নামি নয় তবে দীর্ঘস্থায়ী জাহান্নামি।

(৩)
রু'কুতে ইমাম সাহেবকে এক মুহুর্তের জন্য যদি মুক্তাদি পেয়ে যায়,তাহলে রুকু পাওয়া গিয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/6167
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার ফরয নামায নামায ত্রুটির সাথে আদায় হয়েছে, আপনি ঐ নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
উক্ত বিরিয়ানি গুলো কি করবো?যেহেতু বাসায় খাবার গুলা দিয়ে গেছে,এগুলো কি ফেলে দিবো নাকি কাউকে দিয়ে দিবো?কোনো গরীবকে দিলে কি নাজায়েজ হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...