ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এই হল সূরা নামল এর প্রথম দশ আয়াত
طس تِلْكَ آيَاتُ الْقُرْآنِ وَكِتَابٍ مُّبِينٍ
ত্বা-সীন; এগুলো আল-কোরআনের আয়াত এবং আয়াত সুস্পষ্ট কিতাবের।
هُدًى وَبُشْرَى لِلْمُؤْمِنِينَ
মুমিনদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সুসংবাদ।
الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلَاةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُم بِالْآخِرَةِ هُمْ يُوقِنُونَ
যারা নামায কায়েম করে, যাকাত প্রদান করে এবং পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে।
إِنَّ الَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِالْآخِرَةِ زَيَّنَّا لَهُمْ أَعْمَالَهُمْ فَهُمْ يَعْمَهُونَ
যারা পরকালে বিশ্বাস করে না, আমি তাদের দৃষ্টিতে তাদের কর্মকান্ডকে সুশোভিত করে দিয়েছি। অতএব, তারা উদভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
أُوْلَئِكَ الَّذِينَ لَهُمْ سُوءُ الْعَذَابِ وَهُمْ فِي الْآخِرَةِ هُمُ الْأَخْسَرُونَ
তাদের জন্যেই রয়েছে মন্দ শাস্তি এবং তারাই পরকালে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত।
وَإِنَّكَ لَتُلَقَّى الْقُرْآنَ مِن لَّدُنْ حَكِيمٍ عَلِيمٍ
এবং আপনাকে কোরআন প্রদত্ত হচ্ছে প্রজ্ঞাময়, জ্ঞানময় আল্লাহর কাছ থেকে।
إِذْ قَالَ مُوسَى لِأَهْلِهِ إِنِّي آنَسْتُ نَارًا سَآتِيكُم مِّنْهَا بِخَبَرٍ أَوْ آتِيكُم بِشِهَابٍ قَبَسٍ لَّعَلَّكُمْ تَصْطَلُونَ
যখন মূসা তাঁর পরিবারবর্গকে বললেনঃ আমি অগ্নি দেখেছি, এখন আমি সেখান থেকে তোমাদের জন্যে কোন খবর আনতে পারব অথবা তোমাদের জন্যে জ্বলন্ত অঙ্গার নিয়ে আসতে পারব যাতে তোমরা আগুন পোহাতে পার।
فَلَمَّا جَاءهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অতঃপর যখন তিনি আগুনের কাছে আসলেন তখন আওয়াজ হল ধন্য তিনি, যিনি আগুনের স্থানে আছেন এবং যারা আগুনের আশেপাশে আছেন। বিশ্ব জাহানের পালনকর্তা আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।
يَا مُوسَى إِنَّهُ أَنَا اللَّهُ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
হে মূসা, আমি আল্লাহ, প্রবল পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَأَلْقِ عَصَاكَ فَلَمَّا رَآهَا تَهْتَزُّ كَأَنَّهَا جَانٌّ وَلَّى مُدْبِرًا وَلَمْ يُعَقِّبْ يَا مُوسَى لَا تَخَفْ إِنِّي لَا يَخَافُ لَدَيَّ الْمُرْسَلُونَ
আপনি নিক্ষেপ করুন আপনার লাঠি। অতঃপর যখন তিনি তাকে সর্পের ন্যায় ছুটাছুটি করতে দেখলেন, তখন তিনি বিপরীত দিকে ছুটতে লাগলেন এবং পেছন ফিরেও দেখলেন না। হে মূসা, ভয় করবেন না। আমি যে রয়েছি, আমার কাছে পয়গম্বরগণ ভয় করেন না।
উক্ত দশ আয়াতের কোথাও তো শবে বরাত বা শবে মেরাজ সম্পর্কে কোনো আলোচনা নেই।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শা'বানের মধ্যরাত্র( শবে বরাত)এর ফযিলত সম্ভলিত হাদীস বর্ণিত রয়েছে। যেমন আমরা উপরে দেখতে পারলাম। তবে শা'বানের মধ্যরাত্র কে উপলক্ষ্য করে কিছু বিদ'আতের উপদ্রব ও হয়েছে। যেমন সম্মিলিতভাবে বিশেষ কোনো নামায কে জামাতের সাথে আদায় করা,আতশবাতি প্রজ্বলন করা। কিংবা শিরণি-পোলাও ইত্যাদিকে জরুরী মনে করা।এসব বিদ'আত। এগুলোকে অবশ্যই বিসর্জন দিতে হবে।পরিহার করতে হবে। হ্যা সারা রাত্র বা রাতের অধিকাংশ অংশজুড়ে নিজেকে ইবাদত বন্দেগীতে ব্যস্ত রাখা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে। এবং ইহা মুস্তাহাবও বটে। শবে বরাতের আলাদা বিশেষ কোনো নামায বা তাসবীহ নেই।তবে এ রাতে রাসূলুল্লাহ সাঃ কবর যিয়ারত করেছেন, তাই বিশেষ গুরুত্ব সহকারে পৃথক পৃথকভাবে কবর যিয়ারত করা যেতে পারে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1163
তবে শবে মেরাজের কোনো ফযিলত কুরআন হাদীসে বর্ণিত হয়নি। এবং ছাহাবা রাযি. ও তাবেঈনদের যুগে কখনো শবে ঘটা করে ঢাল ঢোল বাজিয়ে পালন করেননি। এবং এবং বিশেষ কোনো আ’মল তাদের নিটক থেকে প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং শবে মেরাজ উপলক্ষে রোযা রাখা বা বিশেষ কোনো রোযা রাখার কোনো বিধান নাই।