আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ।
1.কুরআন হিফজ করসি এমন অবস্থায় সলাতে প্রতিদিনের হিফজের অংশ পড়তে চাই।যেমন 5 আয়াত হিফজ করে প্রত্যেক ওয়াক্তের প্রত্যেক রাকাতে নতুন হিফজের 5 আয়াত পড়া যাবে?
2.ছোট বেলায় আম্মুর ইচ্ছা ছিলো আমাকে কুরআনের হাফিজা বানানোর বাট হয় নাই।তিন পারা হিফজ করে জেনারেলে চলে আসি।এখন আবার হিফজ শুরু করসি নতুন করে। নিয়ত শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টি, দুনিয়া এবং আখিরাতে আল্লাহর প্রিয় হওয়া, জান্নাত লাভ,জীবনে বারাকা লাভ করা। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি হিফজ করলে আম্মু অনেক খুশি হবে এবং সবাই আমাকে ভালোবাসবে হাফিজা হওয়ার জন্য, পাত্রী হিসেবে হাফিজা হওয়ার জন্য আমাকে প্রায়োরিটি দেওয়া হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।এসব চিন্তা আসলে কি আমার নিয়ত চেঞ্জ হয়ে যাবে? নেগেটিভ চিন্তা আসলেই পজিটিভ চিন্তা করতে ট্রাই বাট বার বার এমন চিন্তা হয়।আমার কি করণীয় একটু বলবেন উস্তায,মিন ফাদ্বলিক।
3.কারো বাবা যদি খারাপ কাজ করে এর প্রভাব কন্যা সন্তানদের উপর পড়ে কেন? আমি অনেক মানুষকে দেখেছি তারা ভালো মানুষ, এজন্য তার সন্তানরা খুব বেশি দ্বীনদার না হলেও অনেক ভালো আছে। অনেক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারে।
কারো বাবা(কামিল পাশ আলেম,মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক) যদি পরকিয়া করে,পর্ন দেখে, আখলাক খারাপ এমন হয় তাহলে সন্তান হিসেবে কিভাবে তার সাথে উত্তম আচরণ করবে?বাবার কাজকর্মে অনেকের মনে হয় তিনি বেঁচে না থাকলেই বেটার হতো ,এরকম চিন্তা কি কবিরা গুনাহ?এরকম পুরুষ মানুষের হিদায়াতের জন্য দুআর সাথে সাথে কি কি করনীয়?
4.স্বামী তার স্ত্রীকে সংসার খরচের টাকা দিয়ে বলেছে এই টাকায় সংসার চালাবা।তারপর জমাতে পারলে জমাবা,না জমালেও প্রবলেম নাই। স্ত্রী টাকা জমালে , স্বামী খরচ করে ফেলে এজন্য লুকিয়ে জমানো যাবে?জমানোর পর জমি/ গহনা কেনা যাবে? অথবা জমানো টাকা দিয়ে উমরাহ করা/কুরবানী দেওয়া যাবে স্বামীকে না জানিয়ে? যেহেতু তার আপত্তি নাই টাকা জমিয়ে এসব করতে তবে সে টাকা জমাতে পারেনা একদমই।