আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
27 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)

আসসালাম ওয়ালাইকুম। 
আমার নেফাস প্রায় ২ মাস ছিলো ( গ্যাপ দিয়ে দিয়ে মানে ৩/৪ দিন অফ থাকতো তারপর আবার ৪/৫ দিন হত)। আজকে ২ মাস ২২ দিন চলছে।   যখন ৬০ তম দিন হয় অইদিন ডাক্তার দেখালে ওষুধ দেয়।ওষুধ খেয়ে  ১০ দিনের মতো অফ ছিলো। তারপর আবার ২ দিন হাল্কা  ব্লাড যায়। মধ্যে ১/২ দিন গ্যাপ দিয়ে আবার ব্লাড যাচ্ছে আজকে ৯ দিন হলো। আজকে ৯ম দিনে ব্লাড বেশি যাচ্ছে তাই বুঝতে পারছিনা এটা হায়েজ নাকি ইস্তেহাযা। আমি এত দিন ইস্তেহাজা ধরে নামায আদায় করেছি কিন্তু আজকে ব্লাড বেশি যাওয়ায় আমি কনফিউস।

এই ক্ষেতরে নামাযের বিধান কি?? আমি জানি ২ হায়েজের মধ্যে ১৫ দিনের ব্যবধান থাকতে হবে।
কিন্তু আমার তো ১০ দিনের মত অফ ছিলো তাই আমি এত দিন নামায আদায় করেছি। আজকে কি নামায আদায় করবো??
নাকি আজকে হায়েজ শুরু হয়েছে?? 
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_250519_090613_113.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (623,190 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]


فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি নেফাসের ৪১ তম দিন থেকে ইস্তেহাজা ধরে নামাজ আদায় শুরু করবেন।

৪১ তম দিন থেকে হিসাব করে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন। 
এরপর ১৬ তম দিন থেকে হায়েজ ধরবেন।
এক্ষেত্রে পূর্বের মানুষগুলোতে যে কয়দিন হায়েজের আপনার অভ্যাস ছিল,সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন।
রক্ত আসা অব্যাহত থাকলে আপনি এভাবেই হিসাব চালিয়ে যাবেন।

অর্থাৎ তার পরবর্তী দিন থেকে আবারো ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন। 
এরপর ১৬ তম দিন থেকে হায়েজ ধরবেন।
এক্ষেত্রে পূর্বের মানুষগুলোতে যে কয়দিন হায়েজের আপনার অভ্যাস ছিল,সে কয়দিন হায়েজ ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাজাকাল্লাহ খাইর। 
আমি এই মাসালা না জানার কারনে ২ মাসের মধ্যে ইস্তিহাযা ধরে যে নামায আদায় করার কথা সে গুলা আদায় করতে পারিনি। এখন কি এই কয়দিনের নামায কাযা আদায় করতে হবে????
ago by (623,190 points)
হ্যাঁ,ইস্তেহাজার দিন গুলির নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...