রমাদান মাস ছাড়া রোযায় সেহেরির সময় বিষয়ক

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আজ ২০ জিলক্বদ ১৪৪৬

আজকে সেহেরির শেষ সময় ফোনের মুসলিম বাংলা এপে দেখিয়েছে ৩:৪৯. আমি ৩:৪৯এ খাবার শেষ করে পানি খাওয়া শুরু করি এবং ৩: ৫০ বেজে যায়, অর্থাৎ প্রায় ৩০-৩৫ সেকেন্ড অতিক্রম হয়। এখন কি আমার রোযা হবে?

এই এপে রমাদান মাসে সেহেরির সময় শেষ হওয়ার প্রায় ৫ মিনিট পর ফজরের সময় শুরু দেখায়। কিন্তু রমাদান ব্যাতিত সেহেরির সময় শেষ এবং পরের মিনিটেই ফজর শুরু। অর্থাৎ ৩:৫০ থেকে ফজর শুরু দেখাচ্ছিলো। এখন আমার কি রোযা হবে?
আর এই রোযা আমার আগের ফরজ কাযা রোযার নিয়তে রাখা। তাহলে যদি আমি ভাংতে চাই তখন কি গুনাহ স্বরূপ কাফফারা দিতে হবে নাকি বাদ দিলে কিছু হবে না?

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ ۚ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ

রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা বাকারা,১৮৭

★চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বে সেহরীর শেষ টাইম লিখে দেয়া থাকে, সুতরাং নিজ ইবাদতকে হেফাজত করার স্বার্থে  সতর্কতামূলক ৩ মিনিট পূর্বেই খাবারদাবার শেষ করা ও উচিৎ ও  জরুরী।তবে যদি সঙ্গত কোনো কারণে দু-তিন মিনিট দেড়ী হয়ে যায়,তাহলেও রোযা হবে।কেননা ৩ মিনিট তো রিজার্ভ রয়েছে।যা প্রয়োজনের মূহুর্তে ব্যবহার করা হবে।কিন্তু ৩ মিনিট থেকে একটি মূহুর্তও আর ক্ষমাযোগ্য হবে না। 

আরো জানুনঃ- 

https://www.ifatwa.info/1959

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার রোযা হবে।

(তদুপরি আপনার জেলার নাম বললে সাহরীর শেষ টাইম দেখে নেয়া যেতো।)

এই রোযা ভেঙ্গে ফেললে পুনরায় কাজা আদায় করে নিতে হবে।

কাফফারা দিতে হবেনা।